রাজধানীর বাজারে সব ধরনের চালের দাম আরও কমেছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চালে দাম কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালের মোকাম ও পাইকারি বাজারের তুলনায় সে হারে রাজধানীর খুচরা বাজারে দাম কমেনি। ফলে চালের মূল্য কমার প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে শীতকালীন সবজির দাম কমলেও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।
মাছ এবং মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের সরবরাহ প্রচুর। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামও কমেছে বেশ খানিকটা। আর চালের দাম কমে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের চাওয়া দাম আরও কুমুক-এমনটিই জানালেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ক্রেতা রিকশাচালক রশিদ মিয়া।
তবে পাইকারি বাজার ও দেশের বিভিন্ন এলাকার চালকলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৮-১০ দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় দাম কমেছে ১৮০ থেকে ২শ’ টাকা। তাছাড়া রাজধানীর বাইরের চাল উত্পাদনকারী এলাকার খুচরা বাজারের চেয়ে রাজধানীর খুচরা বাজারে চালের মূল্যে অনেক তফাত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল উত্পাদনকারী জেলা নওগাঁয় দাম এখন অনেক কম। সেখানকার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতিকেজি দাম কমেছে ৫-৭ টাকা। নওগাঁর খুচরা বাজারে বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪, মিনিকেট ৪২ থেকে কমে বর্তমানে ৩৬-৩৮, স্বর্ণা ৩৭ থেকে কমে ৩২-৩৫ এবং পারিজা ৩৫ থেকে কমে ৩০-৩২ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের চাল ৩০ থেকে কমে বর্তমানে ২৫-২৬ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ তথ্য জানান নওগাঁ পৌর বাজারের ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী মো. মকবুল হোসেন।
রংপুরেও প্রতি বস্তা চালে কমেছে দেড়শ’ থেকে ২শ’ টাকা। কুষ্টিয়ার সাগর রাইস মিলের মালিক সাগর চৌধুরী জানান, ভালো মানের মিনিকেট চালের বস্তাপ্রতি দাম কমেছে ১২০-১৫০ টাকা। তিনি জানান, কয়েক দিন আগেও ৫০ কেজির এক বস্তা চাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯শ’ থেকে ১ হাজার ৯৫০ টাকায়।
অথচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭শ’ থেকে ১ হাজার ৭৮০ টাকায়। তিনি বলেন, মূলত ওএমএসের মাধ্যমে সরকার চাল বিক্রি করায় এবং ভারত থেকে অবাধে চাল আমদানির কারণে দাম কমেছে। যেভাবে চালের দাম কমছে তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে চালের দাম সে হারে কমেনি। রাজধানীতে ভালো মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৬-৪৮ টাকায়।
তাছাড়া পারিজা ৩৬-৩৮, বি-আর২৮ ৩৩-৩৫ এবং স্বর্ণা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায়। তবে নাজিরশাইল চালের মূল্য রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে ভালো মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা। চালের দাম কমতির দিকে থাকলেও আটা-ময়দার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে খোলা আটা ৩০-৩২, প্যাকেটজাত আটা ৩৬-৩৮, খোলা ময়দা ৩২-৩৪ এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৪২-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে প্রচুর। দামও কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১শ’ টাকা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকায়। অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতিকেজি পটোল ৩০-৩৫, করলা ৪০-৪২, বরবটি ৪০, মুলা ৩০, কচুরলতি ৩৫, শসা ৪০, পেঁপে ১২, কচুরমুখী ৩০-৩৫, ঝিঙে-ধুন্দুল ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।