কী আর কমু, হেহ্...!! প্রকৃতির সাথে আমাদের জনজীবনের বিশেষত ব্যাক্তিজীবনের ভারসাম্য থাকাটা জরুরী। কারন তিনটি ভিন্ন ফ্যাক্টর মিলে আমাদের যাপিত সময়ের বর্তমান অংশটাকে পূর্ণতা দেয়। নিজ স্বত্তা, প্রকৃতি আর মনুষ্য সমাজ। এর মধ্যে তৃতীয়টিকে আলোচনার বাইরে রাখব, কারন এটি আমার চরম অপছন্দের একটি বিষয়। ঋতুচক্রের সাথে সাথে আমাদের অ্যাক্টিভিটির একটা অলিখিত শৃংখল আছে।
আমাদের এই ওরিয়েন্টাল ভৌগোলিক অঞ্চলটাতে আমি একটা ব্যাপার অনুধাবন করি:--- একেকটি কালপর্ব আমাদেরকে বিভিন্নরকম আমেজ দিয়ে আবিষ্ট করে রাখে। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বর্ষার সময়টায় ভেজা সতেজ পরিবেশ আমাদেরকে আগলে রাখে, ন্যাচারাল স্পা দিয়ে মোলায়েম করে। যখন মানুষজন কাজেকর্মে চলাফেরায় সাচ্ছন্দ বোধ করে।
এখন তো ট্রানজিশনাল পিরিয়ড চলছে। শারীরিক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে আমরা ক্রমশঃ ঊনবল হচ্ছি।
বায়ুমন্ডলের আদ্রতা কমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ত্বকে একধরনের মলিনতার প্রলেপ একটু একটু করে গাঢ় হচ্ছে। হওয়ার ই কথা।
শীতের স্বাভাবিক রুক্ষ পরিবেশে যখন ঘাস, তৃনলতা, গাছগুলো বাদামী হতে থাকে, মাটির ঝাঁঝালো পীড়াদায়ক গন্ধটা বায়ুপ্রবাহের সাথে মিশতে শুরু করে। এ রকম বিরূপ প্রকৃতি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে স্নায়ুকে বিপর্যস্ত করতে ব্যাপক সহায়তা করে।
তো যা বলছিলাম। মানে, প্রকৃতির সাথে আমাদের ভারসাম্যের ব্যাপারটা। এ সময়টায় একটু ভাল, কুল, স্মুথ লাইফ লীড করতে চাইলে, আমাদেও প্রাণশক্তিটা একটু বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। তা না হলে আমরা পিছিয়ে পরব,বাট লং উই হেভ টু গো।
তো, যে যেখান থেকে পারেন, খোরাক যোগাড় করে তেজটা বাড়িয়ে নেন।
মূল পেশার পাশাপাশি, পছন্দের যে বিষয়টা, ওখানো একটু মনোযোগ দেন। এক্ষেত্রে আমার অবশ্য কয়টা হিপহপ র্যাপ সং হলেই চলে।
গীটারটায় যারা টুংটাং করেন, তারা দুই একটা ট্র্যাক তুলে ফেলেন। কেউ হয়তো পেইন্টিং-ড্রয়িং শিখেছিলেন পিচ্ছিকালে, আাঁকতে বসে যান সময় করে। গল্প উপন্যাসপায়ীরা পি.ডি.এফ, ই-বুক বাদ দিয়ে, চট কওে কয়টা বই কিনে ফেলেন, পড়ে জোর পাবেন।
কাজ শেষে চুটিয়ে আড্ডা দেন বন্ধু, ভাই-বেরাদার নিয়ে।
আর যদি করো পছন্দ হয় প্রিয় মানুষটাকে সময় দেয়া দিতে পারেন, তবে বলে রাখি, ঋতু পরিবর্তনের সাথে আমি এর কোন রিলেশন খুজে পাই না। প্রেমানুভ’তি শীতে যা, গরমেও তা (মাদকের মত, তবে ইহা অবৈধ নহে)। যাই হোক এটা এখানে অফটপিক।
-------------------------------------------------------------------------------
আমার একটা ইস্পেশাল ইন্টারেস্টের কথা শেয়ার করি।
অনুকাব্য। অনুকাব্যের মধ্যে আমি আলাদা স্বাদ পাই । রোদ টনটন ব্যাস্ত শহরে হাটার প্রোগ্রামে দুই মিনিটের জন্য এসি শপিং সেন্টারে ঢুকলে যেমন অনুভ’তি হয়, অনেকটা ঐরকম। স্মল বাট পিউর রিফ্রেশমেন্ট।
অনুকাব্যতে কয়েকটা শব্দের মধ্যে মজবুতভাবে গাঁথা থাকে ঘটনা, মেসেজ,আবেগ, রস.......।
সবচে বড় কথা ছন্দ থাকে,খাটি মধুর মত।
বলে রাখি, এই জিনিস একবার পড়ে মজা পুরাটা পাওযা যায়না। তিন চার বার পড়ার পর দেখা যাবে, লাইনগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচেছ। জাস্ট ইন্টারেস্টিং। অনুকাব্যে শুরুটা কবে থেকে ঠিক বলতে পারছি না, সম্ভবত প্রথম আলোর সাইদুজ্জামান রওশন এটাকে জনপ্রিয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
উনার কিছু কালেকশন:
১।
টক শো এখন
বাজাইরা
প্যাচাল পাড়ে
আজাইরা।
২।
কাগজ গেল
দিস্তা দিস্তা
তবু শুকায়
আমার তিস্তা।
৩।
ভেবে দেখলাম
জীবনানন্দ দাশ
এখন শুধু
বনলতার লাশ।
আসিফ মেহেদির অনুকাব্য :
১।
অবাক খেয়ালে বেবাক দেয়ালে
দেখি আমি চিকামারা,
নানান রঙেতে বানান ঢঙেতে
লিখে গেছে কে বা কারা!
২।
রাগ করো না লক্ষ্মী মেয়ে
আমি আর প্রেম করবো না,
সত্যি এ ফেসবুকিং ছেড়ে
প্রেমের ও পথ ধরবো না!
দু একটা আমিও লেখার চেষ্টা করি:
১।
অপ্সরা অধরা
ক্লান্তিও ক্লান্ত
গল্পরা দিশেহারা
ভ্রান্তি অনন্ত।
২।
তোমার ভালবাসা পাবার আশা
এখন জলাঞ্জলী ?
তবে আমায় বাসবে ভাল
বীচের চোরাবালি।
৩।
জানালাটায় একফালি চাঁদ
যাচ্ছি ছুটে ট্রেনে,
আাঁৎকে উঠি তুমি হঠাৎ
ধরছো যেন টেনে।
৪।
জল কলকল
জল ছলছল
জল টলমল
মন উচাটন,
ঊনোবল, উন্মাতাল ।
তুমি যত দূরে তত
নোনা জল উত্তাল
৫।
ছিল নিদ্রার বাসনা
তুমি চোখ খুললে।
ভাল যে বাসনা
এত দিনে বললে?
৬।
তুমি
কাজগুলো সেরে যা্ও
বিছানায় ঘুমাতে,
আমি
লোডিংএর ফাঁকে, ফাও
ঘুম দেই সামুতে।
আবার বলি, কয়েকবার পড়েন আসল টেস্ট পেতে হলে। একটানে দুইটানে কিছু হয় না।
সবাই ভাল থাকবেন। আমাকেও ভাল রাখবেন, ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। নিরিশ্বরবাদীরা রাস্তা-ঘাটে পেলে কিছু খাওয়াবেন।
খেয়ে ভাল লাগবে।
শুভকামনা, শুভসন্ধা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।