আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনকমন (আশা করি) জোকস ১৮+

...ঘুম সকল রোগের মহৌষধ... মিনা এক অতি রক্ষনশীল ক্যাথোলিক ফ্যামিলির মেয়ে। ফ্যামিলিতে বাবা মার করা নির্দেশ, কোন মতেই কোন ছেলের সাথে ওসব করা যাবে না। এমনকি ১৮ বছর হবার আগে কোন ছেলের সাথে প্রেম ও করা যাবে না। কিন্তু আজকালকার মেয়ে মিনা, কে শোনে কার কথা। ১৬ বছর হতে না হতেই কলেজে জন নামের এক ছেলের সাথে চুটিয়ে প্রেম করে চলেছে।

২বছর পরে যখন মিনার ১৮তম জন্মদিন এল, তার বাবা মাকে ফাইনালি তাকে অনুমতি দিলেন একজন বয়ফ্রেন্ড রাখার। এমনকি সেই বয়ফ্রেন্ড কে বাসায় তাদের সাথে দেখা করতে নিয়ে আসার জন্যও বললেন। শুনে খুশিতে নাচতে নাচতে মিনা তার ঘরে গিয়ে জনকে ফোন করল, "হাই হানি, জানো, আমার বাবা মা অবশেষে আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। " জনঃ রিয়েলি??? মিনাঃ হ্যাঁ। এমনকি আগামি রবিবার তোমাকে ডিনারের নিমন্ত্রণও করেছে! অ্যাই শোন, ডিনারের পর বাবা মা প্রার্থনা করতে চলে যাবে।

পুরো বাসায় থাকব কেবল আমি আর তুমি... ওহ হানি এতদিন আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে! তুমি কিন্তু সাথে করে প্রোটেকশন নিয়ে আসবে...আর বাবা মাকে ইম্প্রেস করা নিয়ে চিন্তার কোন কারন নেই। জাস্ট বি ইয়োরসেলফ। ক্যাথোলিক ম্যানারগুলো ভাল করে না জানলেও চলবে। জনঃ তুমি কোন টেনশন কর না জান। আমি সময় মত আসবো।

রবিবার সন্ধ্যাবেলা জন কাপড়চোপড় পরে রেডি। এতদিনে মিনার পিছনে খরচ করা সব টাকা পয়সা উশুল হতে চলেছে! মনে মনে দারুন উত্তেজিত জন বাসা থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ল। বাসা থেকে বের হতেই তার মনে পড়ল "ওই যাহ্‌, কনডম তো নেওয়া হলনা। মিনা বারবার প্রোটেকশনের কথা বলে দিয়েছে। " ট্যাক্সি থামিয়ে পাশেই এক ফার্মাসিস্টের দোকানে ঢুকে পড়ল জন।

আধাবয়স্ক ফার্মাসিস্ট বসে বসে পেপার পড়ছিলেন। তার কাছে গিয়ে একবারে ১০টা কনডম চেয়ে বসল জন। বৃদ্ধ ফার্মাসিস্ট একটু অবাক হলেন। "এক রাতের জন্য এতগুলো?" জানতে চাইলেন তিনি। জন বলল "আর বলবেন না, আমার গার্লফ্রেন্ডের বাবা মা এতদিন পরে আমাকে তাদের বাসায় ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে।

যদিও ওসবের ব্যাপারে তারা আগের মতই কট্টর, তবুও ভাল যে ছাগল গুলো নাকি আজকে ডিনারের পরে প্রার্থনা করতে চার্চে যাবে। ওইসময় টাতে তো বুঝতেই পারছেন...দুই বছরের জ্বালা। "ফার্মাসিস্ট হেসে ওর হাতে কনডম গুলো দিয়ে দিলেন। নাচতে নাচতে বেরিয়ে এল জন। ভাবল "এই পর্যন্ত তো সব ঠিক মতই চলছে।

ঈশ্বর চাইলে আজকে রাতটা চিরকালের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। " হাঁটতে হাঁটতে জন পৌঁছে গেল মিনার বাসায়। কলবেলে চাপ দিতেই হাসি মুখে মিনার মা স্বাগত জানালেন তাকে। তাকে সালাম জানিয়ে ভিতরে প্রবেশ করল জন। মিনার মাঃ "কেমন আছ বাবা? আসতে কোন কষ্ট হয় নি তো?" জনঃ "আরে নাহ অ্যান্টি, কষ্ট কিসের? আপনারা সবাই কেমন আছেন? আঙ্কেলকে দেখছি না যে?" মিনার মাঃ "আর বল না বাবা, সে তো সারাদিন ব্যস্ত থাকে।

এমনকি এখন ডিনারের সময়ও দেরি করছে। তুমি কোন চিন্তা কর না বাবা একটু ফ্রেশ হয়ে নাও। তোমার আঙ্কেল এলেই আমরা ডিনার শুরু করবও। " সুবোধ বালকের মত সুরসুর করে সরে এল জন। উত্তেজনায় যেন মিনার দিকে তাকাতেই পারছে না।

কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছেনা। কখন যে আসবে মিনার বাবা, কখন যে শেষ হবে ডিনার, কখন যে জন আর মিনা.................. কলবেল বাজল। ওই রুম থেকেই মিনার মা চেচিয়ে উঠলেন "বাবা জন, মিনার বাবা এসে গেছে, ডাইনিং টেবিলে চলে এস। ডিনারের ঝামেলা টা চুকিয়ে ফেলি। " মিনা, মিনার বাবা, মিনার মা আর জন খেতে বসল।

সামান্য কুশল বিনিময়ের শেষে জন নিজেই খাবার প্রার্থনা শুরু করে দিল। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তার প্রার্থনা চলছেই তো চলছেই। আর জনের মুখ থেকে উত্তেজনার লেশ টুকুও যেন হারিয়ে গেছে। ভিত, অসহায়ের মত মুখ করে বিনয়ের সাথে সে প্রার্থনা করছে তো করছেই............ মিনা খুশি হয়ে জনের দিকে সামান্য ঝুকে পড়ে আস্তে করে বলল "জান, তুমি তো কখনও বল নি যে তুমি এত টা ধর্মভীরু?" জন কাঁপা কাঁপা গলায় আস্তে করে উত্তর দিল "তুমিও তো কখনও বলনি তোমার বাবা একজন ফার্মাসিস্ট। " ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.