আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী ভুত ঢুকে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এর কারণ, হিসেবে তারা বলছেন, কোন মুসলিম দেশে অতি সাধারণ ঘটনা ঘটলে বা সামান্য পটকা ফুটলে সেটিকে এটম বোমার সমতূল্য করে তুলে ধরে এসব গণমাধ্যম। মুসলিম দেশগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠিচার্য করলে সেটি হয়ে যায় 'চরম দমন অভিযান', মানবাধিকার লংঘন ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক মাস আগে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন পুলিশের হাতে বহু নাগরিক লাঠিপেটার শিকার হয়েছে। শত শত নাগরিককে গণ গ্রেফতার করা হয়েছে বহুবার।
গতকালও নিউ ইয়র্ক শহর থেকে আটক হওয়া এক মার্কিন নাগরিক জানিয়েছেন, পুলিশ তার ওপর হামলা চালিয়েছে এবং সে সময় কয়েকজন পুলিশ তাকে পায়ের তলায় পিষ্ট করেছে।
Click This Link
এটি কিন্তু সাধারণ কোন ঘটনা নয়। এটি পুঁজিবাদ বিরোধী শাসনব্যবস্থাসম্পন্ন কোন দেশে হলে এতদিন বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো লঙ্কাকাণ্ড করে ফেলতো এবং বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও তা আসতো। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো অকুপাই আন্দোলন নিয়ে (যা বিশ্বের প্রায় ১০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে) নিয়মিত কোন খবর চোখে পড়ছে না।
অন্যদিকে গ্রিসেও চলছে তুমুল আন্দোলন।
সেখানেও সেই পুঁজিবাদী ব্যবস্থার চরম পতনশীল রূপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজ পুনরায় দু'দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন দেশটির বহু সেক্টরের অসংখ্য মানুষ।
Click This Link
এই খবরও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নেই। গ্রিসের রাস্তায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ পড়ে আছে। কোন খবর নেই গণমাধ্যমগুলোর।
অথচ আমাদের গণমাধ্যম যেসব পশ্চিমা সংবাদ সূত্রগুলোর ওপর নির্ভরশীল, তারা বাংলাদেশের ময়লা আবর্জনার খবর ও ছবিই বেশি প্রচার করে। কোন্ ডাস্টবিনের পাশে কুকুর ও টোকাই একত্রে খাবার খাচ্ছে, কোন্ কুড়ে ঘর দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে, কোন্ পিতা তার সন্তানের জন্য কাপড় কিনে দিতে পারছে না, এসব ছবিই ওরা প্রচার করে। অথচ ওদের দেশের রাস্তায় যখন আবর্জনার স্তুপ পড়ে থাকে, সেটি যে কারণেই হোক না কেন, তা প্রকাশ করতে আমাদের গণমাধ্যমের এত কার্পণ্য কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।