বিটিশ মিয়ার নাম নাই, লোকে তারে বিটিশ মিয়া বলেই ডাকে। বিড়ি ফুকায় সারাদিন। তেলাকুচা একজোড়া ঠোঁটে নারকেলের খোলের হুক্কায় চুম্বনে চুম্বনে ধূসর মেঘের মত ধোঁয়া ছাড়ে... এখন তামুক নাই বইলা বিড়ি। বিড়িতে চুম্বনের স্বাদ নেই। ঘর আছে, কাঠের দুয়ার আছে।
গায়ের মধ্যে বিড়ির আগুনে ছিদ্রঅলা গেঞ্জি আছে। বউ আছে, যান্ত্রিক সৌন্দর্য নাই তাই সরম ও নাই। কাঁচুলি ছাড়া সুতির কাপড়ে গা ঢাকে-ক্ষেতে যায়, রোয়া গুচে। শীতল পুরের বিটিশ মিয়া। আলু বেঁচে আলু কিনে।
দিনভর আলুর স্বপ্ন। আলুর গুদামে আলু পচেঁ... তেল চিটচিটে তোষক থেকে ছারপোকা বেড়িয়ে আছে, কামড়ায়-বেহুশ। হাত-পায়ের রগ চামড়া থাইকা আলাদা হইতে চায়। তারপর একদিন বিটিশ মিয়ারে সুন্দর শাদা কাপড় পড়ায়...ধবধবে.. সুগন্ধি মাখে বুক ভইরা। আমার ভাতের বাসনে বিটিশ মিয়ার চোখ ভাইসা উঠে...আলুর মত।
বিটিশ মিয়ারে ভুলি কেমনে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।