আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ড্রামস শিখতে যাওয়া এবং....................................

!!!! তখন সবেমাত্র এস এস সি পাশ করে কলেজ এ উঠলাম । লাইফটা যেন কেমন কেমন লাগতে শুরু করল , হঠাৎ করেই বড় হয়ে যাওয়ার আনন্দ । সাথের পোলাপাইন আলগা ভাব নিয়া চলাফেরা করে । তো সাথের অনেক কেই দেখি গীটার-কি বোর্ড নিয়া দৌড়াদৌড়ি করে ,অনেকে আবার এরই মধ্যে ব্যান্ড দল ও করে ফেলছে, কয়দিন পরপরই বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে কনসার্ট ও করে আর বন্ধুমহলে তাদের সে কি ভাব । (অবশ্যি তারা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নিজেরাই কনসার্ট করত) তো তাদের এহেন কার্যক্রম দেখে আমার মাথায়ও গীটার শিখার ভূত চাপিল ।

আমাকেও ওদের মত কনসার্ট করতে হবে। আমার আগ্রহের কথা শুনে আমার মত আরও কিছু আগ্রহী বন্ধুর দেখা পেতে দেরী হল না । তাদের ও এ ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষণীয় । কয়েকদিনের ভেতর দেখা গেল যে আমরা ৫ জন বন্ধু একজোট হয়ে গেলাম এবং কে কি শিখব এটা নিয়ে আলোচনা করলাম । আমরা এ বিষয়ে একমত হলাম যে সবাই যার যার টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাল করে শিখবে ,এবং এরপর আমরা শহরের মধ্যে জোশশশশশ একটা ব্যান্ড গ্রুপ খুলব,পোলাপাইনগো দেখিয়ে দিতে হবে আমরা কি জিনিস।

তো বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বাসাতে অনেক বলেকয়ে আমি একটা একষ্টিক গীটার কিনলাম ,এবং শিখার জন্য একজনকে ঠিক করলাম । এর কয়েকদিনের মধ্যেই আমি একটা ভয়াবহ তথ্য আবিষ্কার করলাম আর তা হল গীটার শিখাটা মোটেও সহজ কাজ নয়,দিনের পর দিন ফিংগারিং এর মত বিরক্তিকর কাজ করেও আমি তেমন উন্নতি করতে পারছিলাম না । আমার আগের ধারণা ছিল গীটার শিখা দুনিয়ার সহজ কাজগুলোর একটি,ছয়টি তার বাজানো এ আর এমন কি। তো এভাবে কিছুদিন চলার পর আমি মোটামুটি হাল ছেড়ে দিলাম । এর মধ্যে একদিন আমাদের গ্রুপ এর যে ছেলেটা ড্রামস শিখে তার সাথে তার ড্রামসক্লাসে গেলাম, তো সেখানে গিয়ে কিছুক্ষন ড্রামস বাজিয়ে আমার মন পুরাই ড্রামসে চলে গেল ।

নাহ গীটার বাজানো আমার কাজ নয় আমার আসল জায়গা ড্রামসে ,নিজেকে শুধালাম । মনের এই বিশেষ সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ গীটার ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম । আমার এই মত পরিবর্তন এর কথা শুনে বাসায় সোজা বলে দিল তোমার কিছুই শিখতে হবে না। যে একশটা জিনিস শিখতে চায় সে কিছুই শিখতে পারে না । আমি বললাম, একশটা জিনিস শিখব না তো শুধু ড্রামস শিখব ।

বাবা মোটামুটি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, তাহলে গীটার কিনেছ কেন ? আর দেখলাম তো কয়েকদিন গীটারের ক্লাসে ও দৌড়াদৌড়ি করছ। আমি মাথা চুলকিয়ে বললাম, গীটার আমার কাছে কঠিন লাগে তাই এটা শিখব না ,ড্রামস শিখব । আর ড্রামস যে তোমার কাছে সোজা লাগবে এর গ্যারান্টী কি?ওইসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে পড়ালেখায় মন দাও । -বাবার উত্তর । যাইহোক অবশেষে অনেক বলেকয়ে বাসায় রাজী করিয়ে গেলাম ড্রামস ক্লাসে ভর্তি হতে ।

ড্রামস টীচার বলল যে, মাসিক হিসেবে শিখলে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা আর তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম এ শিখলে ৬০০০ টাকা যার অর্ধেক প্রথমে আর বাকি অর্ধেক ২ মাস পর দিতে হবে। তো আমি ৩০০০ টাকা জমা দিয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রামেই ভর্তি হলাম । প্রথম ৫ দিন সুন্দরভাবেই ক্লাস করলাম , ঘাপলা শুরু হল ৬ নং দিন থেকে ক্লাসে গেলেই টিউটর বলে আজ এই সমস্যা কালকে আস। পরেরদিন গেলেও উনার অন্যসমস্যা দেখা দেয় এভাবে উঠাউঠি গ্যাপ দিতে থাকেন । এর মধ্যেই আমি আবিষ্কার করলাম যে আমার ওই টিউটর পুরোমাত্রায় ড্রাগ আ্যাডিক্টেট আর ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ।

যদিও বাকি টাকা ২ মাস পরে দেওয়ার কথা উনি ১৫ দিন পরই টাকা চাইলেন এমনকি মাঝে মাঝে রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রাম হলে আমাকে নেওয়ার চেষ্টা করতেন । আর আসল কাজ যেটা যার জন্য আমি ভর্তি হলাম এ ব্যাপারে উনি পুরাই উদাসীন । আরে এ কোন লোকের পাল্লায় এসে পড়লাম এ ভেবে আমিতো মনে মনে পুরাই টেনশিত। এভাবে কয়েকদিন চলার পর আবারও কয়েকদিন গ্যাপ দিলেন,হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে বলেন , বাকি টাকা টা কি আজকে দিতে পারবা আমার খুব দরকার । ৩০০০ টাকা গেছে ৩০০০ টাকাই যাক আর এই লোককে টাকা দেবার দরকার নাই,এর কাছে ড্রামস শিখার ও দরকার নাই।

আমি বললাম,ভাই আমার তো প্রবলেম আছে তাই এখন দিতে পারব না । এরপরও উনি মাঝেমধ্যেই টাকার জন্য বিরক্ত করতেন । তখন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল ,একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্থানীয় পত্রিকায় দেখি আমার ওই মহান ড্রামস শিক্ষক পুলিশের হাতে আটক,উনি নাকি অবৈধ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত । পড়ে শিউরে উঠলাম ড্রামস শিখতে গিয়ে কার পাল্লায়ই না পড়েছিলাম। তখন সবেমাত্র এস এস সি পাশ করে কলেজ এ উঠলাম ।

লাইফটা যেন কেমন কেমন লাগতে শুরু করল , হঠাৎ করেই বড় হয়ে যাওয়ার আনন্দ । সাথের পোলাপাইন আলগা ভাব নিয়া চলাফেরা করে । তো সাথের অনেক কেই দেখি গীটার-কি বোর্ড নিয়া দৌড়াদৌড়ি করে ,অনেকে আবার এরই মধ্যে ব্যান্ড দল ও করে ফেলছে, কয়দিন পরপরই বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে কনসার্ট ও করে আর বন্ধুমহলে তাদের সে কি ভাব । (অবশ্যি তারা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নিজেরাই কনসার্ট করত) তো তাদের এহেন কার্যক্রম দেখে আমার মাথায়ও গীটার শিখার ভূত চাপিল । আমাকেও ওদের মত কনসার্ট করতে হবে।

আমার আগ্রহের কথা শুনে আমার মত আরও কিছু আগ্রহী বন্ধুর দেখা পেতে দেরী হল না । তাদের ও এ ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষণীয় । কয়েকদিনের ভেতর দেখা গেল যে আমরা ৫ জন বন্ধু একজোট হয়ে গেলাম এবং কে কি শিখব এটা নিয়ে আলোচনা করলাম । আমরা এ বিষয়ে একমত হলাম যে সবাই যার যার টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাল করে শিখবে ,এবং এরপর আমরা শহরের মধ্যে জোশশশশশ একটা ব্যান্ড গ্রুপ খুলব,পোলাপাইনগো দেখিয়ে দিতে হবে আমরা কি জিনিস। তো বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বাসাতে অনেক বলেকয়ে আমি একটা একষ্টিক গীটার কিনলাম ,এবং শিখার জন্য একজনকে ঠিক করলাম ।

এর কয়েকদিনের মধ্যেই আমি একটা ভয়াবহ তথ্য আবিষ্কার করলাম আর তা হল গীটার শিখাটা মোটেও সহজ কাজ নয়,দিনের পর দিন ফিংগারিং এর মত বিরক্তিকর কাজ করেও আমি তেমন উন্নতি করতে পারছিলাম না । আমার আগের ধারণা ছিল গীটার শিখা দুনিয়ার সহজ কাজগুলোর একটি,ছয়টি তার বাজানো এ আর এমন কি। তো এভাবে কিছুদিন চলার পর আমি মোটামুটি হাল ছেড়ে দিলাম । এর মধ্যে একদিন আমাদের গ্রুপ এর যে ছেলেটা ড্রামস শিখে তার সাথে তার ড্রামসক্লাসে গেলাম, তো সেখানে গিয়ে কিছুক্ষন ড্রামস বাজিয়ে আমার মন পুরাই ড্রামসে চলে গেল । নাহ গীটার বাজানো আমার কাজ নয় আমার আসল জায়গা ড্রামসে ,নিজেকে শুধালাম ।

মনের এই বিশেষ সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ গীটার ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম । আমার এই মত পরিবর্তন এর কথা শুনে বাসায় সোজা বলে দিল তোমার কিছুই শিখতে হবে না। যে একশটা জিনিস শিখতে চায় সে কিছুই শিখতে পারে না । আমি বললাম, একশটা জিনিস শিখব না তো শুধু ড্রামস শিখব । বাবা মোটামুটি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, তাহলে গীটার কিনেছ কেন ? আর দেখলাম তো কয়েকদিন গীটারের ক্লাসে ও দৌড়াদৌড়ি করছ।

আমি মাথা চুলকিয়ে বললাম, গীটার আমার কাছে কঠিন লাগে তাই এটা শিখব না ,ড্রামস শিখব । আর ড্রামস যে তোমার কাছে সোজা লাগবে এর গ্যারান্টী কি?ওইসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে পড়ালেখায় মন দাও । -বাবার উত্তর । যাইহোক অবশেষে অনেক বলেকয়ে বাসায় রাজী করিয়ে গেলাম ড্রামস ক্লাসে ভর্তি হতে । ড্রামস টীচার বলল যে, মাসিক হিসেবে শিখলে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা আর তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম এ শিখলে ৬০০০ টাকা যার অর্ধেক প্রথমে আর বাকি অর্ধেক ২ মাস পর দিতে হবে।

তো আমি ৩০০০ টাকা জমা দিয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রামেই ভর্তি হলাম । প্রথম ৫ দিন সুন্দরভাবেই ক্লাস করলাম , ঘাপলা শুরু হল ৬ নং দিন থেকে ক্লাসে গেলেই টিউটর বলে আজ এই সমস্যা কালকে আস। পরেরদিন গেলেও উনার অন্যসমস্যা দেখা দেয় এভাবে উঠাউঠি গ্যাপ দিতে থাকেন । এর মধ্যেই আমি আবিষ্কার করলাম যে আমার ওই টিউটর পুরোমাত্রায় ড্রাগ আ্যাডিক্টেট আর ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত । যদিও বাকি টাকা ২ মাস পরে দেওয়ার কথা উনি ১৫ দিন পরই টাকা চাইলেন এমনকি মাঝে মাঝে রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রাম হলে আমাকে নেওয়ার চেষ্টা করতেন ।

আর আসল কাজ যেটা যার জন্য আমি ভর্তি হলাম এ ব্যাপারে উনি পুরাই উদাসীন । আরে এ কোন লোকের পাল্লায় এসে পড়লাম এ ভেবে আমিতো মনে মনে পুরাই টেনশিত। এভাবে কয়েকদিন চলার পর আবারও কয়েকদিন গ্যাপ দিলেন,হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে বলেন , বাকি টাকা টা কি আজকে দিতে পারবা আমার খুব দরকার । ৩০০০ টাকা গেছে ৩০০০ টাকাই যাক আর এই লোককে টাকা দেবার দরকার নাই,এর কাছে ড্রামস শিখার ও দরকার নাই। আমি বললাম,ভাই আমার তো প্রবলেম আছে তাই এখন দিতে পারব না ।

এরপরও উনি মাঝেমধ্যেই টাকার জন্য বিরক্ত করতেন । তখন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল ,একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্থানীয় পত্রিকায় দেখি আমার ওই মহান ড্রামস শিক্ষক পুলিশের হাতে আটক,উনি নাকি অবৈধ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত । পড়ে শিউরে উঠলাম ড্রামস শিখতে গিয়ে কার পাল্লায়ই না পড়েছিলাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।