আমার যোগ্যতা কিছুই নেই। আজকে একটু সকালেই ঘুম থেকে উঠেছি। লক্ষ্য সবার আগে অফিসে গিয়ে নিজের কাজটা আগেভাগে সেরে ফেলব। যে অফিসটির কথা বলছি সেটা একটি সরকারী অফিস। তিন মাসের বকেয়া একটা বিল আজ পাবার কথা।
এর আগেও কয়েকবার গিয়েছি কিন্তু বিশেষ সুবিধা করতে পারিনি। বিলটি আজি যে পাব সে বিষয়ে ফোনে অফিসের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে নিয়েছি তাই আজ আমার এই সাত সকালে অফিস গমন। আমি কিছুদিন আগে এই অফিসে কন্ট্রাক্ট বেসিসে চাকুরীরত ছিলাম। যারা চুক্তিভিত্তিক চাকুরীরত তাদের মাসিক বেতনের ১০% বকেয়া থাকে যা চুক্তি শেষ হলে দেবার কথা। আমার বিল টি ও ঐ ১০% এর বকেয়া টাকা।
সরকারী অফিসের ব্যপার টা যাদের কোনদিন এই অফিস গুলতে যাবার দুর্ভাগ্য হই নি তাঁরা বুঝতে পারবেন না। দিনের প্রথম কর্মসূচী অনুযায়ী প্রথম ধাক্কায় ঢুকলাম হিসাব শাখায়। অপেক্ষা কৃত বড় কর্মকর্তার টেবিলের সামনে গিয়ে বসে আমার বিলটি সযত্নে উত্থাপন করলাম। বেশ কিছুক্ষণ অফিসের ফিরিস্তি শুনিয়ে তিনি আমাকে বললেন যে আমি যে কাজের জন্য এসছি সেই কাজটি উনি এখন করেন না। কারণ এই সমস্ত কাজ করতে গেলে মান সম্মান থাকে না।
বিল দিতে দেরি হলে সবাই তাঁকে গালিগালাজ করে। মনে মনে যারপরনাই বিরক্ত হলেও আমি অতি সদয় কণ্ঠে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম তাহলে আমার কাজটা এখন কে করছে?তিনি তার সামনের টেবিলে বসে থাকা একজন ভদ্রলোক কে দেখিয়ে দিলেন। আমি তার এই সৌজন্যতা বোধ দেখে কৃতজ্ঞতা অনুভব করলাম। এবার বসলাম চিহ্নিত ভদ্রলোকের সামনে। আমাকে দেখে চিহ্নিত ভদ্রলোক তার পান খাওয়া গাল বিস্তৃত করে জানতে চাইল আমি ভালো আছি কিনা?আমি সাতিশয় মিষ্ট কণ্ঠে তাঁকে জানালাম যে আমি ভালো আছি।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর আমি তাঁকে আমার বিলের কথাটা বললাম। তিনি অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে বললেন এই হাতের কাজটা সেরে আমি আপনার কাজ টা ধরবো। আমি তার সৌজন্যতাবোধ দেখেও একটু বিস্মিতই হলাম যাক তাহলে যতদূর শোনা যায় তত দূর নয়। সরকারী অফিসে চাকরী করলেও আমি অফিসিয়াল কাজ সম্পরকে তেমন একটা অবগত নই কারণ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং instrument ইন্সটলেশন নিয়েই আমার চাকরী অবস্থায় বিভিন্ন সাইটে ব্যস্ত থাকতে হত। সে যাই হোক তিনি একটা ফাইল নিয়েই কাটিয়ে দিলেন পুরো ৩ ঘণ্টা।
এরপর এলো লাঞ্চ টাইম। তিনি আমাকে লাঞ্চ করে আসার জন্যে বিনীত অনুরধ ক্রলেন। কারন তিনিও এখন লাঞ্ছ করবেন এবং লাঞ্চ করে এসেই যে তিনি আমার কাজে হাত দিবেন সে বিষয়ে আমার যেন বিন্দুমাত্র সন্দেহ না থাকে সে বিষয়ে বারংবার তাগাদা দিতে থাকলেন। তিনি খাবার জন্যে উঠে গেলেন। আমিও বসে না থেকে উদর পূর্তির লক্ষ্যে বের হব এমন সময় সেই প্রথম ভদ্রলোক আমায় ডেকে তার সামনে বসালেন।
তিনি ডায়েট কন্ট্রোল জাতিয় একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে লাঞ্চ করেন না। এটা আলাপের প্রথম পর্যায়েই তিনি পেশ করলেন। এরপর শুরু হল তার সামনে বসে থাকা তার জুনিয়র কর্মকর্তা সম্পর্কে গুণগান। তার ঐ জুনিয়র কর্মকর্তাটি টাকা ছাড়া কোন ফাইল নাড়ান না,ঐ লোক কোন কাজের না এবং অতি অবশ্যই এই ডিপার্টমেন্ট যে এই ভদ্রলোক ব্যতীত অচল এইসব শুনতে শুনতে মেজাজ এবং ক্ষুধা দুই টাই চরমে গিয়ে পৌঁছল। কিছুক্ষণ পড়ে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিচে আসলাম খেতে যেখানে এই অফিসের একটি নিজস্ব ক্যন্টিন আছে।
আমি এসে বসার আগেই এদের ভাত তরকারি সব শেষ। নিতান্ত মর্মাহত হয়ে জানতে চাইলাম কি আছে?জানালো ডালপুরি আছে। আমি বললাম যা আছে তাই দাও। এরা যে জিনিস আমাকে খেতে দিল তা পুরি জাতি দেখলে নির্ঘাত তিনদিনের সকাল সন্ধ্যা হরতাল দিত। কিন্তু কি আর করা এই অখাদ্য বস্তুটাই বসে বসে গলাধকরণ করে উপরে গিয়ে সেই চিহ্নিত ভদ্রলোকের সামনে গিয়ে বসলাম।
গিয়ে যথেষ্ট পুলক চিত্তে দেখলাম তিনি আমার ফাইল নিয়েই বসেছেন। আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে তার দিকে তাকালাম। তিনি আমার দিকে প্রেম পূর্ণ নয়নে তাকিয়ে,তিনি যে আমার ফাইল তৈরির জন্যে কতগুলো ফোট কপি করেছেন,কত জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেছেন এবং কত পিয়ন কে চা নাস্তার টাকা দিয়েছেন যা তার নিজের পকেট থেকে গেছে তাই আমাকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে লাগলেন। এবং সবশেষে আমি যেন তার দিকটা দেখি সে বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। তার দৃষ্টি উপেক্ষা করার মত সাহস আমার হল না,তাই তাঁকে বিভ্রান্ত করার জন্যে হিমু মার্কা একটা হাসি দিলাম।
সে কি বুঝল কে জানে। সে আমার কাজ টা করতে আরম্ভ করলো। আমার যে কাজ টা সেটা করার জন্যে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু অতি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম এক ঘণ্টা যাবার পরেও তিনি একটা বাক্য রচনা করতে পারেন নি। পারবেন কি করে!ভদ্রলোক যে একটা শব্দ লিখে টুথ পিক দিয়ে তার দাঁত গুলোকে সুবিন্যেস্ত করে,শেয়ার বাজারের দাম পড়া নিয়ে সরকার কে এক হাত নিয়ে,আগামী নির্বাচনের ফলাফল বুদ্ধিজীবীদের মত ব্যাখ্যা করে আবার আরেকটা শব্দ লিখার অবকাশ পাচ্ছেন।
এরমধ্যে আমার পেটের মধ্যে পুরি নামক বস্তুটি তার অস্তিত্ব জানান দেবার চেষ্টা করছে। বঙ্গপ সাগরের নিম্ন চাপের মত ফুলে ফুলে উঠে সে জানান দিচ্ছে তার অস্তিত্ব। নিরুপায় হয়ে ছুটলাম ছোট ঘরের দিকে। এই নিম্ন চাপ ঠেকাতে গিয়ে কয়বার যে ছোট ঘরের আশ্রয় নিয়েছি তা ঠিক মনে করতে পারছি না। ক্লান্ত হয়ে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ আবিস্কার করলাম আমার কাজটা হয়ে গেছে।
আনন্দে মোটামুটি লাফ দেবার যোগার। কেননা এই টাকা গুলো আমার কাছে এখন আমার ছেলে তুল্য। সেই তিন মাস আগে চাকরী ছারার পর এই দুর্মূল্যের বাজারে আরেকটা নতুন চাকরী এখনও যোগার করে উঠতে পারি নি। বাড়িতে বাবা মা আর ছোট বোন রয়েছে। সামনে ঈদ এই টাকা গুলো না পেলে হয়তো বাবা মার সাথে ঈদ করায় হত না।
একবার চাকরী তে ঢুকে গেলে বাবা মার কাছে টাকা পয়সা চাওয়াটা যে কতখানি বেদনা দায়ক তা সহজেই অনুমেয়। শুধু তাই নয় ঈদের বাজারে বাবা মা’র পাশে একটু দারালে তাঁরা যে কতখানি খুশি হন তা গত ঈদে দেখে ফেলেছি। আর এবার যদি না অংশ গ্রহণ করতে পারি তাহলে কেমন হবে?হয়তো বাবা মা কিছু বলবেন না,কিন্তু পাশের বাসার লোকজন যখন বলবে কি!ছেলে এবার কি দিল?তখন আমার মা,আমার বোনের করুণ মুখ খানি কি করে দেখবো?তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার আমি বাড়িতে না গিয়ে যাতায়াতের টাকা দিয়ে মা আর বোনের জন্যে কাপড় আর আর কিছু টাকা বাবাকে পাঠিয়ে দেব কুরবানীর জন্যে। কিন্তু এখন এই টাকাটা পেলে আর কোন ঝামেলা থাকেনা। তাই মনে মনে লাফ দিয়েছিলাম।
সে যাক লোকটি যে কাজটি করেছে এজন্যেই তাঁকে অনেক ধন্যবাদ। সে কাগজ খানা আমার হাতে দিতে দিতে তার সিনিয়র যে একটা খাটাশ,তার সমস্ত কাজ এই ভদ্রলোক কেই করতে হয় এবং সে ছাড়া যে এই ডিপার্টমেন্ট অচল তা তার সিনিয়রের মতই আমাকে বুঝানর চেষ্টা করে গেলেন। আমিও অতি বুঝদার ছেলের মত সহজেই বুঝে নিলাম এবং মনে মনে সিনিয়রের প্রশংসা করলাম যোগ্য উত্তর সুরি গঠনের জন্যে। সে কাগজ খানা আমার হাতে দিয়ে বলল এইটা তে “জি.এম. সাহেবের একটা সাইন নিয়ে পাশে যে কেরানি বসে তার কাছ থেকে একটা চেক বানায় নিয়ে যান”। আর যাবার আগে যেন তার সাথে অবশ্যই দেখা করে যায় একথা বার বার নিজের ভাইয়ের মত মনে করিয়ে দিলেন।
আমি কাগজ খানা মহাব্যবস্থাপকের কাছে নিয়ে গেলাম। তার অখানে অনেক ভিড়। যাইহোক ভিরের মধ্যেই আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হলাম। তিনি আমার আগমনের হেতু জানতে চাইলেন। আমি আমার সমস্তই তাঁকে খুলে বললাম যে তিন মাস আগে আমি চাকুরী থেকে অব্যহতি পাবার পর আমার বকেয়া টাকাটা নিতে আসছি।
তিনি আমার দিকে কৌতুক পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে চাকরী তিন মাস আগে শেষ হয়েছে,আমি তিন মাস পড়ে কেন এই বিল নিতে এসেছি,অই সময় কেন নিয়ে যায় নি এমন সব কৌতূহলী প্রশ্ন শুরু করলেন। আমি নিতান্ত কুচকে গিয়ে তাঁকে জানালাম যে আমি কেরানী এবং অফিস স্টাফ রা যে সম্মানী দাবি করেছিল তা দিতে অস্বীকার করায় উনারা আমার কাজটি এতদিন করেন নি। তিনি আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললেন অফিস একাউন্টে এখন টাকা নেই আপনাকে ঈদের পড়ে আসতে হবে। আমি তাঁকে জানালাম যে গত মাসের শেষের দিকে আমি এসছি তখন বলা হয়েছে মাসের প্রথমে সবার বেতন দিবে তখন ফান্ডে টাকা থাকবে। কেননা মাসের প্রথমে সবাইকে বেতন দেওয়া হয় এবং আমি তাঁকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি এটা খয়রাতের বিল নিতে আসি নি,আমি আমার প্রাপ্যটা নিতে এসেছি।
সবাই যদি পায় তাহলে আমি কেন পাব না। আমার কি দোষ?আমার কথাগুলো মনে হয় একটু উচ্চস্বরে হয়ে গিয়েছিল। কথাগুলো বলার পর দেখলাম রুমের সবার চোখ আমার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকাচ্ছে!তিনি বললেন ঠিক আছে আমি তোমার পেপারে সাইন করে দিচ্ছি। আমি সাইন নিয়ে কেরানীর কাছে গিয়ে বললাম আমার এই চেকটা একটু বানিয়ে দেন। তিনি আমাকে বললেন যে ১০% এর টাকা ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন দেয়া নিষেধ আছে।
ফান্ডে টাকা নেই। আমি তাঁকে বললাম এই মাসের বেতন আপনি পান নি? তিনি হেসে বললেন যে তিনি পেয়েছেন এবং এও বললেন যে মহাব্যবস্থাপক রে যদি রাজি করাতে পারেন তাহলে পেতে পারেন। অগত্যা সেই লোকটির কাছে আবার ছুটে গেলাম। এবার তার এসি ঘর একদম নীরব। তিনি চুকচুক করে চা খাচ্ছেন।
তিনি আমাকে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন। এবার তিনি আমার গৃহশিক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হলেন। তার বক্তব্যের সারমর্ম এরকম যে আমরাও একদিন তার দখলকৃত পোস্টে যাব,একমাত্র তখন বুঝতে পারব তার এখন কার কথা গুলো এবং সরকারী ফান্ডে যে টাকা নেই এটাও সত্যি। ঈদের পড়ে আমার টাকা পাওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি নিশ্চিত না করলেও আশ্বস্ত করলেন। আমি নিরুপায় হয়ে চিলেকোঠার দিকে তাকিয়ে উঠতে যাব এমন সময় একদল লোক হন্ত দন্ত হয়ে তার রুমে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে লাগলো।
আমি কিছুটা ভ্যবাচ্যকা খেয়ে গেলাম। ঐ ভদ্রলোকের চেহারাটা হল তখন দেখার মত। ভঁয়ে সে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো এবং সবার সামনে গিয়ে বলতে শুরু করলো কে বলেছে ফান্ডে টাকা নেই। পর্যাপ্ত টাকা আছে আপনারা উত্তেজিত হবেন না। টাকা আমি ব্যবস্থা করছি।
আমি বাইরে এসে দেখি এখানে সব শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি,সেক্রেটারি দাড়িয়ে আছে। যাদের অনেক ক্ষমতা। আর মহাব্যবস্থাপক ভদ্র লোক এই খমতাবান লোকগুলোকে কে শান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি এদের কাজ কর্ম দেখে হাসতে হাসতে বের হয়ে এলাম আর ভাবতে থাকলাম আমার বাবা মা যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছেন সেই শিক্ষার জন্যই আজকে তাদের সাথে ঈদ করতে পারব না,তাতে আমার দুঃখ নেই। হয়তো কিছু টাকা পয়সা দিলেই বিল টা পাওয়া যেত কিংবা ক্ষমতাবান মামা কাকা থাকলেও বিল পেতাম কিন্তু তা করার সামরথ আমার নেই।
কারণ টাকা পয়সা দিয়ে যে কাজটা করাবে সে আমি নই আমার মনুষ্যত্বহীন পাথর দেহ। আর এই পাথর দেহ দিয়ে আমার বাবা মার সামনে আমি দারাব কি করে?যে শিক্ষা এতদিন পেয়েছি তা বিকিয়ে দিলে আমার বাচা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। যে কারনে আমার পক্ষে এই দেশের সরকারী চাকরি করা সম্ভব হল না। তাই আবার নতুন করে পথ চলতে শুরু করলাম নতুন কোন গন্তব্যে। অফিস থেকে বেরিয়ে দেখি সন্ধ্যা আসন্ন।
সব পাখি ঘরে ফিরছে,রাতের আকাশে একটু পরেই থালার মত চাঁদ উঠবে। সেই আলোয় ভেসে যাব আমি কিংবা আমার মত আর কিছু ক্ষমতাহীন মানুষ। যাদের কোন ক্ষমতা নেই ঘুষ খাওয়ার বা দেওয়ার,যাদের কোন ক্ষমতা নেই অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করার,যাদের কোন ক্ষমতা নেই অসৎ হবার,যাদের কোন ক্ষমতা নেই সত্য শিক্ষার বাইরে যাবার। আমি সেই ক্ষমতাহীন মানুষ হয়ে এই রুপালী চাঁদের আলো গায় মেখে আরও কিছুদিন বাচতে চাই। এইসব ভাবতে ভাবতে দেখি আকাশে চাঁদ উঠে গেছে।
রুপালী আলোয় চারপাশটা প্লাবিত হচ্ছে। সেই রুপালী আলোয় হেটে চলেছি আমি একজন ক্ষমতাহীন মানুষ অজানার উদ্যেশ্যে..................। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।