আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না(লোভী বাবা)

একই শহরে বসবাস আর পরিচয়ের সূত্র ধরে হৃদয় ও বাঁধনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সে সম্পর্কের পূর্ণতা দিতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। সে মোতাবেক গতকাল দুপুরে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল হৃদয় ও বাঁধনের। এ জন্য কমিউনিটি সেন্টার বুকিং থেকে শুরু করে বিয়ের কেনাকাটা, আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত সবই করা হয়। বর ও কনে পক্ষের বাসায় নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত হতেও শুরু করেন।

কিন্তু বিয়ের আগের দিন বৃহস্পতিবার সকালে বাঁধনের বাবা মো. আবুল মনসুর আহমেদ কাবিনে বিশাল অংকের দেনমোহর ও বাঁধনের নামে ১০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট দাবি করলে থেমে যায় বিয়ের আয়োজন, আনন্দ-উল্লাস। কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের পুত্র আকরামুল ইসলাম হৃদয় শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির এএমএম দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। শহরের পুরান থানার বাসিন্দা ব্যাংকার মো. আবুল মনসুর আহমেদের কন্যা তানজিয়া আহমেদ বাঁধন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির বিবিএ ৭ম সেমিস্টারের ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়ের সঙ্গে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। তাদের দু’জনের সম্পর্কের বিষয়টি উভয় পরিবারে জানাজানি হওয়ার পর সম্প্রতি পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

সে অনুযায়ী উভয় পরিবারের সম্মতিতে গতকাল তাদের বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। উভয় পক্ষ বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে দাওয়াত, বিয়ের কেনাকাটা, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা এমনকি কনে পক্ষ থেকে বরপক্ষের বাড়িতে ফার্নিচার সামগ্রী পর্যন্ত পাঠানো হয়। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে দু’বাসাতেই চলতে থাকে উৎসব আর খুশির জোয়ার। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে হৃদয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেনকে নিজের বাসায় ডেকে আনেন বাঁধনের বাবা মো. আবুল মনসুর আহমেদ। তিনি হৃদয়ের বাবাকে বিয়েতে স্বর্ণালঙ্কারসহ মোট ২৫ লাখ টাকা কাবিন দেয়ার দাবি করেন।

পাশাপাশি হৃদয় যেহেতু ছাত্র তাই আরও ১০ লাখ টাকা পৃথকভাবে বাঁধনের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে বলেন। হৃদয়ের বাবা এ ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করলে বিয়ে হবে না বলে জানিয়ে দেন বাঁধনের বাবা। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী বেশ কয়েক দফা বসেও বাঁধনের বাবাকে বিয়েতে রাজি করাতে পারেননি। গতকাল দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন বিবাহ আয়োজনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ব্যাপারে বাঁধনের বাবা মো. আবুল মনসুর আহমেদ জানান, আমার মেয়ে এ বিয়েতে রাজি নয়, তাই এ বিয়ে হবে না।

আকরামুল ইসলাম হৃদয় জানান, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিবাহ আয়োজনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এ অবস্থায় বাঁধনের বাবা-মা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রেখে বাঁধনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে পারেন বলেও হৃদয় আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।