বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘোড়া কিনলাম। বাসার নিচে পার্ক করে রাখলাম অন্য গাড়ী গুলোর সাথে,খেতে দিলাম কচি ঘাস আর পানি।
সকালে ঘোড়া নিয়ে ছুটলাম ভার্সিটিতে। এই যুগে ঘোড়ার পিঠে চড়ে-মানুষ! শার্ট,প্যান্ট আর কাধে ব্যাগ নিয়ে এক সুদর্শন ছেলে।
অনেকেই নাক সিটকাল আর অবাক বিস্ময়ে চোখ কপালে তুলল। ভার্সির্টিতে ঘোড়া রাখার জন্য জায়গা না পেয়ে রাখতে হল বাইরে রাস্তায় অন্যসব গাড়ীর সাথে পার্ক করে! মহানগরীতে রব উঠে গেল আমার ঘোড়া নিয়ে।
বন্ধুরা শুধাল, কেন আমি গাড়ীর বদলে ঘোড়া কিনলাম? লোকে কি বলবে?
-আরে বোকারা লোকের কথায় কি আমার কিছু হবে! তারা দুই দিন বলবে আর তিন দিনের দিন নিজেরা বাজারে গিয়ে ঘোড়া কিনে আনবে। নগরীতে ঘোড়ায় সবচেয়ে ভাল এবং উপকারি বাহন এখন। নেই যানজটের ভয়, আমার ঘোড়া লাফিয়ে লাফিয়ে যে দিকে খুশি যেতে পারে।
পরিবেশ দূষণ কমবে। নেই তেল বা সিএনজি খরচ। শুধু ঘোড়াটাকে ঠিক মত খাবার দিতে পারলেই হল। পার্কিং এর জায়গায় আস্তাবল করতে হবে। তাতে বড় বড় গাড়ী রাখার ঝামেলাও কমবে।
অনেক বন্ধুরাই আমার সাথে একমত হয়ে মাথা নাড়লো।
এখন যানজট আর আমাকে ধরতে পারে না। আমার ঘোড়া লাফিয়ে লাফিয়ে আমাকে নিয়ে চলল সব খানে। আমি সুখী একটি ঘোড়ার মালিক হতে পেরে, এই যানজট আর আবহাওয়া দূষনের নগরীতে একটু শান্তি আর নিরাপদ বোধ করছি আমি ঘোড়ায় চড়ে।
ভালবাসার মানুষটিকে পিছনে বসিয়ে যখন চলি,তখন নিজেকে লাগে রাজকুমার আর সে রাণী।
এই দিকে পবিবেশ সংগঠন গুলো আমার এই অভিনব ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে ঘোড়ায় চড়ার পরার্মশ দিল। আর সরকারের কাছে জায়গায় জায়গায় আস্তাবল করার অনুরোধ করলো।
অনেকেই দেখছি আজ ঘোড়া নিয়ে বের হয়েছে! কয়েক দিনেই সবাই অসহ্য যানজট থেকে মুক্তির পথে নেমে গেল! সবার মুখে হাসি। কেমন যেন একটা পুরোনো রাজ্য ফিরে এল।
সরকার সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য গাড়ীর বদলে ঘোড়া দিল।
আর ঘোড়া চালানো শিখানোর জন্য ট্রেনিং সেন্টার খুলে দিল বি আর টি সি, তাদের নতুন কার্যক্রম শুরু করেছে-ঘোড়া চালানো ট্রেনিং সেন্টার''
''ঘোড়া চালান পরিবেশ বাঁচান''-স্লোগান নিয়ে নতুন মন্ত্রনালয় খোলা হয়েছে।
আমি তখন চলছি..... চলছি.....চলছি... ঠক ঠক ঠক ঠক
হঠাৎ পরে গেলাম!!!
-ঘুম ভেঙে গেল,সাথে স্বপ্ন!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।