২০১০ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক শাহ আলম (৪০) নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত সরকারের পাঠানো চেকটি আজ রোববার শাহ আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শাহ আলমের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আতারপাড়া গ্রামে। ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর বাঘার আলাইপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৮১/৯-এস নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে শাহ আলম বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই সময় তিনি সেখানে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন।
আজ বিজিবির রাজশাহী সেক্টর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহ আলমের স্ত্রী বিউটি খাতুনের হাতে পাঁচ লাখ রুপির চেকটি তুলে দেন রাজশাহী সেক্টরের উপমহাপরিচালক ও অধিনায়ক কর্নেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। অনুষ্ঠানে শাহ আলমের তিন ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), ইরাক হোসেন (২০), লালন উদ্দিন (১০) ও ভগ্নিপতি হানিফ মাল, ৩৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক অধিনায়ক লে. কর্নেল শাম্মি ফিরোজসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শাহ আলমের স্ত্রী বিউটি খাতুন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, স্বামী মারা যাওয়ায় অর্থাভাবে তাঁর সন্তানেরা পড়াশোনা করতে পারেনি। দুমুঠো ভাতের জন্য তিনি নিজে অন্যের ফরমায়েশের কাজ করেছেন। ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে তিনি ছোট ছেলেকে লেখাপড়া শেখাতে চান।
কর্নেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ‘শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছিল। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের কারণেই এই ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও আমরা ক্ষতিপূরণ-প্রত্যাশী নই, আমরা চাই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হোক, তবু ভারত সরকারের এ ক্ষতিপূরণ আমাদের জন্য একটা স্বস্তির ব্যাপার। কারণ, তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। ’ তিনি জানান, ১২ জুলাই ভারতের সিংপাড়া ক্যাম্পে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চেকটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
এ ধরনের ঘটনায় ভারত সরকারের এটি প্রথম ক্ষতিপূরণ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।