আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতপ্রীতির নমুনা:চুক্তি ছাড়াই ফি বা শুল্ক মুক্ত ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু...জাতির বিবেকরা কিছু বলুন

জেগে উঠুক,হ্বদয়-সবুজ বন চুক্তি ছাড়াই ফি বা শুল্ক মুক্ত ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু ! সুনির্দিষ্ট প্রটোকল বা প্রকাশ্য কোনো চুক্তি ছাড়াই বিনাশুল্কে ট্রান্সশিপমেন্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতের মাল বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে ভারতের অপর অংশে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে বহুল আলোচিত ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল দেশবাসীকে কার্যত অন্ধকারে রেখেই। ভারত থেকে জাহাজে করে আসা ৩০৫ টন গ্যালভানাইজ ইস্পাতের প্রথম দফা ১০০ টন মালামাল মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া বন্দরে অবস্থান করছে। বুধবার সকালে এগুলো ত্রিপুরা পৌঁছবে। বাকি ২০৫ টন শিগগিরই ভারতে যাবে।

এ কাজ করছে সমঝোতার মাধ্যমে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আগের বার ট্রান্সশিপমেন্টের মাল পবিরহন করা বাংলাদেশী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গাল্ফ ওরিয়েন্ট। একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী মাসে আরো ৫ হাজার টন এবং ডিসেম্বরে ১৬ হাজার টন মাল পরিবহনের চুক্তি ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। এরকম আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতোমধ্যেই মালামাল পরিহনের চুক্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাল্ফ ওরিয়েন্ট কর্তপক্ষ। এছাড়া এখনই ইস্পাত বহনরত দুটি জাহাজ আশুগঞ্জের পথে আছে। কিন্তু এসব মালামালের শুল্ক আদায়ের বা কোনো ধরনের ট্রান্সশিপমেন্ট ফি আদায়ের নির্দেশনা দেয়া হয়নি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে।

একারনে শুল্ক বা ফি আদায় করা হচ্ছে না। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার শুল্ক কর্মকর্তা কাজী আবুল হোসেন বলেছেন, অফিসিয়াল কাজকর্ম শেষে গাড়ি চলছে। তবে সরকারি নির্দেশনা না থাকায় শুল্ক আদায় হয়নি। আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র কুণ্ডু বলেছেন, “মৌখিকভাবে ঘটনা আমাদের জানালেও লিখিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। ” জানা যায়, ৮৫টি বাক্সে ৩০৫ টন গ্যালভানাইজ ইস্পাত নিয়ে হুমিবাবা নামে একটি জাহাজ গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতার খিদিরপুর থেকে রওনা হয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নদীপথে আশুগঞ্জ পৌঁছায়।

জাহাজ থেকে মাল খালাসের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম দফার ১০০ টন পণ্য ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আমাদের আখাউড়া প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ১০টায় জানান, ঢাকা মেট্রো ট-১৬-১৪২১, ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-১৩৬৯, ঢাকা-মেট্রো-ট ১৬-১৩৯৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৩৬৬১ নম্বরের ট্রাকগুলো আখাউড়া স্থল বন্দরে অবস্থান করছে। রাতে স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এই মাল বুধবার ত্রিপুরায় যাবে বলে তাকে জানানো হয়েছে। মালামাল পরিবহনের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশী এজেন্ট জানিয়েছে, আইনি জটিলতা না থাকলে সকাল ১০টায় মাল পৌঁছে যাবে ভারতে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মালামালের মতোই বন্দর ব্যবহারের জন্য চার্জ প্রযোজ্য হবে।

ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট পণ্য হিসেবে কোনো ধরনের শুল্ক বা ফি দিতে হবে না। বন্দর ব্যবহারের দেয়া চার্জের যে স্বাভাবিক শুল্ক বন্দর থেকে সরকারের কোষাগারে জমা হয়, এক্ষেত্রেও তাই হবে। ভারতীয় পক্ষের কোণো শুল্ক দিতে হবে না। সরকার ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে প্রতি কনটেইনারের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ভারী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রতি টনে এক হাজার টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করলেও পরে তা তুলে নেয়া হয়। চুক্তি ছাড়াই ফি বা শুল্ক মুক্ত ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।