জামায়াতে ইসলামীর ডাকা আজ সোমবারের হরতালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। হরতাল-সমর্থকেরা গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
দলের সাবেক আমির গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
ভোর সাড়ে চারটার দিকে শাহজাহানপুরে মির্জা আব্বাসের বাসার সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর চারটা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের অপারেটর ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানান।
সেহরির পর কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারার পশ্চিম প্রান্তে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সিরাজউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সকাল সোয়া সাতটার দিকে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে দুটি লেগুনায় আগুন দেওয়া হয় এবং একটি লেগুনার কাচ ভাঙচুর করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সকালে সায়েদাবাদে শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ডেমরা, শনির আখড়া, জুরাইন, রায়েরবাগ প্রভৃতি এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন হরতার-সমর্থকেরা।
হরতালের সমর্থনে ভোরে কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
গোলাম আযমের রায় ও জামায়াতের হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, অন্যান্য হরতালের চেয়ে আজ নিরাপত্তাব্যবস্থা বিশেষভাবে জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব তথ্য আসছে, সে সব তথ্য যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজ গোয়েন্দা নজরদারির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। নাশকতার আশঙ্কায় পোশাকধারী সদস্যদের চেয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন আছে। তাদের ভ্রাম্যমাণ গাড়িগুলো নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশ কম।
মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ভোরে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় কিছু বাস এসেছে।
দোকানপাট সকালের দিকে বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলতে শুরু করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।