আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) পাঁচ পদের ভর্তা নিয়ে হাজির হলাম আজ আমি নীলু। ভর্তা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট তেমন করিনি কখনো।
আম্মার রেসিপিগুলো-ই শুনে এবং দেখে সেগুলো নিয়ে হাজির হলাম আজ।
ভর্তা নং -১: কালিজিরা
উপকরণ:
কালিজিরা : ৩/৪ চা. চামচ
পেঁয়াজ+ রসুন মোটা করে কুচি: ১ কাপ পরিমান (রসুনের পরিমান পেঁয়াজের তুলনায় বেশী হবে)
মরিচ: ঝাল যেমন খাবেন (কাঁচা, শুকনা যেটা ইচ্ছা)
আদা কুচি: ১/২ চা চামচ পরিমান
প্রণালী
২-৩ টেবিল চামচ পরিমান সয়াবিন তেল গরম করে ওতে পরিমান মত লবন দিয়ে পেঁয়াজ+রসুন কুচি, মরিচ দিয়ে ভাজুন। লাল হবেনা তবে মোটামুটি ভাজা হলে তাতে আদা কুচি দিয়ে হালকা ভাজুন। এবার কালোজিরা দিয়ে অল্পক্ষন ভেজে নামিয়ে নিয়ে মিহি করে বাটুন। হয়ে গেলো কালিজিরা ভর্তা।
পেঁয়াজ+রসুন লাল করে ভাজা যাবেনা।
ভর্তা নং-২ : চ্যাপা শুটকি
উপকরন
চ্যাপা শুটকি: ৩/৪টি
পেঁয়াজ+রসুন বাটা: ১ কাপ পরিমান (রসুন পরিমানে বেশী থাকবে)
শুকনো মরিচ বাটা: ঝাল যেমন খাবেন
তেল ৩/৪ টে. চা.
প্রণালী
শুটকী হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন। মরিচ ও শুটকী এক সাথে বাটুন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে ওতে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ ও শুটকী বাটা ঢেলে দিন। পরিমান মত লবন দিন।
কিছুক্ষন কষিয়ে সামান্য পানি দিন। মাঝারি আঁচে রাখুন। পানি শুকিয়ে এলে নাড়তে থাকুন। মিশ্রনটির গা থেকে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন চ্যাপা শুটকীর ভর্তা।
টিপস: যদি চান শুটকীর ফ্লেভার আসবে কিন্তু শুটকী মুখে লাগবে না তবে এরকম বেটে ভর্তা করবেন।
আর নয়ত শুটকী পেঁয়াজ রসুন তেলে দেয়ার পরে ওটে দিয়ে খুনতী দিয়ে ভেংগে দিতে পারেন। তবে কাঁটা থাকবে এভাবে করলে।
হুবহু এরকম হয়ত হবেনা। একটু কালচে হবে রংটা।
ভর্তা নং-৩: সিম
উপকরণ
সিম: ১০-১২ টি
পেঁয়াজ কুচি: ইন্ডিয়ান বড় হলে ১টি।
মাঝারি ২/৩টি
ভাজা শুকনো মরিচ: ঝাল যেমন খাবেন
সরিষার তেল: ২ টে. চা.
লবন: পরিমান মত
প্রণালী
সিম শির ফেলে বেছে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার সময় পানি এমন পরিমানে দেবেন যাতে সিম সেদ্ধ হয়ে যাবে কিন্তু পানি থাকবেনা। অর্থাৎ শুকনো শুকনো করে সেদ্ধ করতে হবে।
সুম সেদ্ধ হলে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ, লবন, তেল এক সাথে চটকে নিন। তার পর সেদ্ধ সিমগুলো দিয়ে সব উপকরন আবার এসাথে ভাল করে চটকে মেখে নিন।
হয়ে গেলো সিম ভর্তা।
ভর্তা নং-৪: মসুর ডাল
উপকরণ
মুসুর ডাল: ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি: মাঝারি ২টি
শুকনো মরিচ টালা: ঝাল যেমন খাবেন
সরিষার তেল: ২ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি: ২-৩ চা. চা.
প্রণালী
ডাল ধুয়ে ২ কাপ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে সেদ্ধ করুন। সাথে লবন দিন পরিমান মত। ডাল না ফুটলে প্রয়োজনে আরেকটু পানি দিন। ডাল শুকনো শুকনো করে সেদ্ধ করুন।
এবার মরিচ, পেঁয়াজ ও তেল এক সাথে চটকে নিন। ডাল চেখে দেখুন। প্রয়োজন হলে আরেকটু লবন দিন। এবার লবন ও ধনে পাতা পেঁয়াজ মরিচের সাথে ভাল করে চটকে নিন।
হয়ে গেলো মজাদার ডাল ভর্তা।
চরম একটা জিনিস হয় এটা।
ভর্তা নং-৫: ডিম
উপকরণ
ডিম সেদ্ধ: ২টি
পেঁয়াজ কুচি: মাঝারি সাইজের ৪টি
শুকনো মরিচ টালা: ঝাল যেমন খাবেন
লবন: পরিমান মত
প্রণালী
পেঁয়াজ একটি পাত্রে রেখে ওতে এমন পরিমান সয়াবিন/সরিষার তেল দিন যাতে পেঁয়াজের সাথে তেল মাখামাখা থাকে। এবার হালকা ভেজে নিন। পেঁয়াজ এমন ভাবে ভাজবেন যাতে শুধু কাঁচা গন্ধটা যাবে। লাল হবে না কিন্তু।
অর্থাৎ গরম তেলে একটু নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ নামিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজ ঠান্ডা হলে ওতে লবন, মরিচ ও ডিম এক সাথে চটকে নিন। হয়ে গেলো মজাদার ডিম ভর্তা।
এই ভর্তাটাও খেতে জোস হয়।
পোষ্টটি উৎসর্গ করা হলো জেমস বন্ড কে, যিনি কিনা ধরেই নিয়েছেন এই ভর্তার পোষ্ট আমি দেবোনা এবং ইতোমধ্যে মনে হয় আল্লাহর দরবারে আমার নামে বিচারও দেয়া হয়ে গিয়েছে
ছবি সূত্র: গুগুল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।