আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Top10 INFAMOUS wonders of the world

পড়ালেখা ছাড়া আর সব কিছুই অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে করি........... ১০। সিন্কহোল অব গুয়াতেমালা গতবছর একটি ক্রান্তীয় ঝড়ের ফলস্বরূপ এই কুখ্যাত সুগভীর গহবরটি সৃষ্টি হয় যা এখনও পর্যন্ত বেড়েই চলছে। এটি একটি ক্রুদ্ধ দানবের মতই চারপাশের স্থাপনাগুলোকে যেন খেয়ে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনমতেই এর বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না। অন্তহীণ গহবরটি দেখে মনে হয় এটিযেন সবকিছু সোজা নরকের দিকে টেনে নিচ্ছে কিংবা নরক না হলেও এমন জায়গায় যেখানে ভয়ঙ্কর সব দানবেরা বিশ্রাম নেয়।

০৯। স্মগ ওভার লস অ্যান্জেল্স প্রকৃতির কথা চিন্তা না করেই যারা যত্রতত্র আবর্জনা ফেলেন,তাদের পরিণতির উদাহরণ হিসেবে L.A.এর আকাশে ভাসমান ধোয়া আর আবর্জনার কুয়াশার চেয়ে ভাল কোন উদাহরণ হয়ত পাওয়া যাবেনা। আর এর কারণ এই শহরের ক্রমবর্ধমান কারখানা ও যানবাহনের ধোয়া। বলা বাহুল্য যে এই বিষাক্ত কুয়াশা ওযোন স্তর ও মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আকাশে ধোয়ার কুন্ডলী নিয়ে L.A.City যেন Ghostbuster এর দ্বিতীয় ভার্সন হতে যাচ্ছে।

০৮। অ্যালক্যাট্রাজ অ্যালক্যাট্রাজ মূলত একটি বন্দীশালা। স্যান ফ্রান্সিসকোতে এর একটি নিজস্ব দ্বীপ রয়েছে। Al Capone এবং Robert Stroud এর মত বাঘা বাঘা সব অপরাধীদের বন্দী করে এটি কার্যত নিজেকে ''virtual Taitanic of of prisons'' হিসেবে দম্ভ করার যোগ্যতা রাখে। যদিও বেশ কয়জন কয়েদী পালাবার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের সিংহ ভাগের পরিণতিই হয়েছে-হয় গুলি খেয়ে মৃত্যু নয়ত সলিলসমাধি।

এখানকার কয়েদীদেরও হতে হয় অভিজাত-বুটলেগার,ব্যাংকডাকাত,খুনি আর ডাকসাইটে গ্যাংস্টার। ০৭। গুয়ানতানামো বে সাধারণভাবে 'Gitmo' নামে পরিচিত,U.S. বৈধ বিচারব্যবস্হা এবং আইনগত অধিকার বহির্ভূত এই কারাগারটি সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অমানবিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এর নিরাপত্তাব্যবস্থা এতই কড়া যেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও যেন দেখতে পাবেন না। ওয়াটারবোর্ডিং বা উচ্চনাদে কানের কাছে অসহনীয় শব্দ সৃষ্টির মত অস্বাভাবিক নিষ্ঠুর অত্যাচার করে এখানে কয়েদীদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করা হয়।

০৬। ট্রেইল অব টিয়ার্স বর্তমানে ঐতিহাসিক স্থানের রূপ দেওয়া হয়েছে। মূল ''ট্রেইল অব টিয়ার্স'' সাক্ষ্য দেয় এক রক্তার্ত ইতিহাসের যেখানে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রিউ জ্যাকসন কতৃক জারিকৃত ''Indian removal act''দ্বারা অগণিত নেটিভ আমেরিকানদে জড় করা হয়। সেটেলাররা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছিল অথচ সেখানে জীবনযাত্রার নূন্যতম সুবিধা ছিলনা। অনেক নেটিভ আমেরিকানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা করা হয়।

বাকিদের একটা বড় অংশ মারা যায় অনাহার আর দারিদ্রে। ''ট্রেইল অব টিয়ার্স'' আমেরিকার ইতিহাসের এক জঘন্যতম অধ্যায় যেখানে একদল মানুষের সাথে পশুর ন্যায় আচরণ করা হয়েছিল। ০৫। দ্য অ্যাসেজ অব পম্পেই প্রাচীন এই শহরের প্রায় পুরোটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে। খ্রিস্টপূর্ব ৭৯ অব্দে আকস্মিকভাবে মাউন্ট ভিসুভিয়াস জেগে ওঠে এবং একটানা দুই দিন লাভা উদগীরণ করে।

অপ্রস্তুত শহরবাসী কিছু বুঝে ওঠার আগেই উত্তপ্ত লাভার নিছে চাপা পড়ে জৈব ভাস্কর্যে পরিণত হয়। তারপর কোন একসময় মাটি খুড়ে অভাগা এই শহরের সিংহদ্বার উন্মোচন করা হয়। মৃতদেহের ভঙ্গিমা দেখে সহজেই অনুমান করা যায় মৃত্যুর ঠিক আগেও তারা কি করছিল। ০৪। লিটল বয়'জ শ্যাডো যুদ্ধকালীন সময়ের একটি নিকৃষ্টতম দিন,যেদিন হিরোশিমার উপর বোমা ফেলা হয়েছিল আর হাজার হাজার ইনোসেন্ট মানুষ মুহূর্তেই জাস্ট গলে গিয়েছিল।

''Littie Boy''ইতিহাসের জঘন্যতম নাম যার ধ্বংসলীলায় সেকেন্ডের মধ্যেই একটি জনপদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়,শত শত মানুষ গতিশীল মানুষ মুহূর্তেই মৃত অবস্থায় টেলিফোন পোল, গার্ডরেইলের উপর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। সেই ক্ষত চিহ্ন আজও বয়ে বড়াচ্ছে জাপান,ঐঘটনার পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় আজও হিরোশিমার শিশুরা বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নেয়। কিছু স্মৃতি আছে যা সহজেই ভোলা যায় না। ০৩। গ্রাউন্ড জিরো কিভাবে হল,কেন হল-সে নিয়ে মতভেদ আছে কিনতু এটা তো সত্যি ৯/১১ সেই অভিশপ্ত দিনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মানুষগুলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপা পড়ে যায় ধ্বংসস্তুপের নিচে।

তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার জন্য সেখানে নির্মিত হয়েছে একটি মেমোরিয়াল যেখানে খোদাই করা হয়েছে তাদের নাম যারা ঐদিনটিতে চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। ০২। চেরনোবিল ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত ১টা ২৩ মিনিটে ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত পরমাণু কেন্দ্রটির চতুর্থ (বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট রিয়্যাক্টরের সংখ্যা ৪টি) রিয়্যাক্টর থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। ঘটনার সময় চেরনোবিলে প্রায় ১৪ হাজার বসতি ছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ৪ জন কর্মী মারা যান।

পরবর্তীতে ২৩৭ জন মানুষ পারমাণবিক বিকিরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পরে এবং প্রথম তিন মাসে ৩১ জন মৃত্যুবরণ করে, জাদের অধিকাংশই উদ্ধারকর্মী। সরকারি তথ্যমতে, দুর্ঘটনার কারণে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে ছিল ছয় লক্ষ শিশু। এই দুর্ঘটনার ফলে ২০০বিলিয়ন ডলারের সমমান ক্ষতি হয়েছিল। । বর্তমানে চেরনোবিল শহরটি পরিত্যক্ত এবং প্রায় ৫০ মাইল এলাকা জুড়ে বলতে গেলে কেউ বাস করে না।

চেরনোবিলের ট্রাজেডি নিয়ে পল ম্যাককার্টনির একটি লিরিক- “I’m back in the USSR, you don’t know how lucky you are, boy.” ০১। অ্যাসকিউইর্টজ আপনি যদি অতীত হতে ঘুরে আসতে চান তবে অ্যাসকিউইর্টজ হতে ঘুরে আসতে পারেন এটি আপনাকে নিয়ে যাবে সেই সময়ে যখন রক্ত পিপাসু দানবেরা সদর্পে ঘুরে বেড়াতো। হলোক্যাস্টের সময় নাৎসি ডেথক্যাম্পগুলোর মধ্যে অ্যাসকিউইর্টজ-ই সবচেয়ে বড় যেখানে লক্ষ ইহুদীর(অনেক অ-ইহুদীরও) মৃত্যু হয়েছে। এটা সেই সময়ে একটা নরকে পরিণত হয়েছিল যেখানে বিষাক্ত গ্যাস বা উত্তপ্ত চুলার মাধ্যমে হত্যা করা হত। বর্তমানে এটিকে মিউজিয়ামের রূপ দেওয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম অতীতের ভুল হতে শিক্ষা নিতে পারে।

উৎস:লিস্টভার্স (অনুবাদকৃত)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.