সোমবার প্রাদেশিক সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ হাজার ৭৪৮ জন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে। যারা মারা গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। স্বজনদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের এই সংখ্যা জানায় সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বাহুগুনা বলেন, নিখোঁজদের পরিবারগুলোর জন্য এখন জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় রাজ্য সরকার প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ রুপি করে দেবে।
“নিখোঁজরা কি মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে আমরা সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। নিখোঁজদের পরিবার যদি মনে করে তাদের স্বজনদের আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই তবে আমরা তাদেরকে অর্থিক সহায়তা দেব। ”
ভারতের কেন্দ্রীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানায়, তাদের কাছে ৫৮০ জন লোক নিহত হওয়ার তথ্য আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, নিখোঁজদের মধ্যে প্রায় চার হাজার ছয়শ’ মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই স্থানে সমবেত হয়েছিল।
গত জুনে ভারতের উত্তরাখন্ড প্রদেশে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী নিখোঁজ হয়।
বন্যায় প্রায় ছয়শ’ লোক নিহত হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়।
উত্তরাখন্ডের বন্যাদুর্গত ওই এলাকায় কেদারনাথ, বাদরিনাথ ও আমুনত্রিসহ সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হয়ে থাকেন।
জুনে ভারী বর্ষণের ফলে রাজ্যের নদ-নদীরগুলোর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। রাস্তা ঘাট, বসতবাড়ি এমন কি তীর্থস্থানগুলোও বানের পানিতে ভেসে যায়।
বন্যার ভয়াবহতার কারণে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সরকার একে হিমালয় থেকে সৃষ্ট সুনামি আখ্যা দিয়েছে।
দুর্গতদের উদ্ধারে সেনা হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামের সাহায্য নেয় সরকার।
উদ্ধারকর্মীরা এক লাখের বেশি মানুষকে উদ্ধার করতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।