গার্দিওলা-রসেলের ঠোকাঠুকি চলছেই। শুরুটা করেছিলেন বার্সার সভাপতি সান্দ্রো রসেলই। কোচ টিটো ভিলানোভার ক্যানসারের চিকিত্সা চলার সময় পেপ গার্দিওলা তাঁকে দেখতে যাননি অভিযোগ করে। জবাবে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে থাকা গার্দিওলা অভিযোগ করেন, ভিলানোভার অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে (গার্দিওলা) গণমাধ্যমের কাছে হেয় করার চেষ্টা করছেন রসেল।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে নতুন মাত্রা পেল আজ।
কাতালুনিয়ার একটি টেলিভিশনকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ভিলানোভার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন রসেল, ‘ভিলানোভার অসুস্থতা বা কোনো কিছুই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি না আমরা। আবারও বলতে চাই, পেপের (গার্দিওলা) ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের, তাঁকে ধন্যবাদ দিতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে চাই, আমরা চিরদিনই গার্দিওলার ভক্ত। ’
বার্সাকে চার বছরে ১৪টি শিরোপা এনে দেওয়া গার্দিওলার প্রশংসায় মেতে ওঠার পরক্ষণেই মোক্ষম ‘খোঁচা’ দেন রসেল। গার্দিওলাকে বার্সার সভাপতি পদে নামার পরামর্শ দিয়ে বসেন, ‘পেপ আমাদের প্রতিপক্ষ, শত্রু নয়।
আমি মনে করি না, তিনি বার্সার সভাপতি পদের পেছনে ছুটছেন। তবে ঘটনাটা এমন হলে আমি খুশিই হব। ’
২০১২ সালে বার্সেলোনার কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান গার্দিওলা। বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার আগে এক বছর ছুটি কাটান নিউইয়র্কে। সেখানেই ক্যানসারের চিকিত্সা করাতে গিয়েছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকারী ও বার্সার বর্তমান কোচ ভিলানোভা।
একই শহরে থাকলেও চিকিত্সারত ভিলানোভাকে গার্দিওলা দেখতে যাননি বলে অভিযোগ করেন বার্সার সভাপতি। তবে ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন গার্দিওলা, ‘আমি নিউইয়র্কে টিটোর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আর অন্য কোনো জায়গায় আমরা যদি দেখা করতে না-ও পারি, তাহলে সেটা এমনিতেই সম্ভব হয়নি। কিন্তু টিটোর অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে আমার সমালোচনা করাটা আমি কখনোই ভুলব না। এই বছরে তারা এমন কিছু কাজ করেছে, যেটা সীমা লঙ্ঘনেরই শামিল।
’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।