বিশ্বের নিপীরিত মানুষের শত্রু একটাই এবং তদের ধরন একই, এরা রয়েছে অনেক দূরে। এই শত্রুরা রয়েছে যেখানে থেকে পুঁজিবাদী এলিটদের জন্ম, যেখান থেকে এরা সরকার প্রধানদের ব্যাবহার করে তাদের শক্তি প্রেরণ করে, আর ঐ সরকাররা তাদের তাঁবেদারি করে লাভবান হয়। একটা মজার তথ্য দিয়ে শুরু করছি। চার্লস ডারউইনের বিখ্যাত কর্ম(!) ‘অরিজিন অব দ্যা স্পিসিস’ প্রকাশিত হওয়ার ঠিক আগে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. জন লাইট ফুট আত্মবিশ্বাসের সাথে লেখেন-‘স্বর্গ এবং পৃথিবী একই ঘটনায়, একই সময়, তৈরি হয়েছে। আর সময়টা হচ্ছে-খ্রীষ্টপূর্ব ৪০০৪ সালের ২৩ অক্টোবর, সকাল ৯’টা।
নাস্তিক্যবাদের শুরুটা যে ডারউইঙ্কে দিয়ে ঘটেছিলো এ কথা সর্বজনমান্য স্বীকৃত নয়। আবার এ কথা যে সমস্ত নাস্তিকেরা মানেন তারা আদৌতে নাস্তিক কিনা তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। ডারউইন সাহেবের মত তো এলো মাত্র চারশো বছর আগে। আমেরিকা আবিষ্কারের পর। অথচ যীশুখ্রীষ্টের্ব জন্মের পূর্ব থেকে আনঅফিসিয়ালি নাস্তিক্যবাদ ছিলো।
নাস্তিক্যবাদের মূলমন্ত্র ছোট্ট করে উপস্থাপন করছি। সমস্ত মাহাজগত প্রকৃতিরই একটি অংশ কাজেই মহাজগত সমূহ আপ্না-আপনিই সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের জন্ম প্রকৃতির একটি স্বাভাভিক কর্ম। মানুষকে কেউ কখোন সৃষ্টি করে নি। মানুষ স্বাভাবিক ভাবে জন্মেছে, মারাও যাবে স্বাভাবিক ভাবে।
ডারউইনবাদ বলে যে, যেসমস্ত প্রানীরা প্রাকৃতিক ভাবে দুর্বল তারা নিজেকে রক্ষা করতে আপনা থেকেই নিজেদের পরিবর্তিত করে ফেলে। এরই ধারাবাহিকতায় বানর থেকে নরের জন্ম। আপনারাই হিসেব করে দেখুন মানুষের পরে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী শিম্পাঞ্জি কোন শ্রেনী ভুক্ত প্রাণী।
নাস্তিক্যবাদীরা আস্তিক্যবাদীদের আটকে দেন নিম্নক্ত প্রশ্নগুলো করে।
তোমাকে কে সৃষ্টি করেছে?
ঈশ্বর।
তিনিই সর্বশক্তিমান?
হ্যাঁ তিনিই সর্বশক্তিমান।
সর্বশক্তিমানেরা তো সব কিছুই পারে তাই না?
হ্যাঁ
তিনি কি সন্তান জন্ম দিতে পারেন?
না। এই মাত্র না বললে তিনি সব কিছুই পারেন
(আপনি চুপ)
চুরি করতে পারে?
(আপনি চুপ)
মিথ্যে বলতে পারে?
(আপনি পুনঃ চুপ)
ব্যাস এর পর শুরু হবে আপনার ব্রেইন ওয়াশ,
এ দেশীয় আধ্যাত্মিকতা (যে কোন দেশীয় বা ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতাও) বা দর্শন বলতে সর্ব জনমান্য ও স্বীকৃত কিছু নেই। এতে আছে জীবন ও জীবিকার বাসনা, ইহজাগতিক ভোগসুখ বাদ, পৌত্তলিকতা, দেবত্ববাদ, দেবীত্ববাদ, অদেববাদ, বহুদেববাদ, বহু ঈশ্বরবাদ, সর্বেঈশ্বরবাদ, যোগসাধনা, বৈরাগ্যবাদ, ভাবপ্রবনতা, ব্রহ্মাবাদ, অদ্বৈত বাদ, দ্বৈতবাদ, বিশিষ্ঠদ্বৈতবাদ, দ্বৈতা দ্বৈতবাদ, শুদ্ধাদ্বৈতবাদ, অচিন্তদ্বৈবাদ, ভক্তিবাদ, আত্মাবাদ, অনাত্মাবাদ, মায়াবাদ, ইশ্বরবাদ, ভেদাভেদ বাদ, অভেদবাদ, সম-ভেদাভেদবাদ, আতীন্দ্রিয়বাদ, সর্ব-জগাখিচুরিবাদ ইত্যাদি। জীবনবাদ কখোন হার মেনেছে তো জীবন মুক্তির বিস্তার লাভ করে।
ভোগবাদ হারে তো বৈরাগ্যবাদ জেতে। কর্ম পরজিত হলে নিষ্ক্রয়তা ও ভাবপ্রবনতা বিজয়ী হয়। বাহ্য জগতের প্রতি বিরাগ সৃষ্টি হলে মনোজগতের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হয়। দ্বৈতবাদ তার রাজত্ব শেষ করলে অদ্বৈতবাদ রাজসিংহাসনে আরোহণ করে। বহু দেব-দেবীর ক্ষমতার বড়াই কমলে একেশ্বরবাদের ক্ষমতা আস্ফালন বৃদ্ধি পায়।
আবার ইশ্বরের অস্তিত্বহীনতাও এসে পড়ে। ব্যাক্ততিগত ইশ্বরও মাঝে মাঝে আসন গাড়ে। ইশ্বরের ক্ষমতা আস্ফলন যে এক কৌতুক বৈকি আর কিছু নয়।
আপনি কনফিউজ্ড্।
কি বলবেন তৎখনিক ভাবে বলতে পারবেন না।
বাংলাদেশের তথাকথিত কিছু মুসলিম ও সনাতন ধর্মালম্বিগণ পাশ্ববর্তি দেশকে দেখে বা পাশ্চাত্য দেশের নাস্তিক সংকীর্ণমনা বুদ্ধিজীবিদের দেখে সে ধরনের লোভনীয় জীবন যাত্রার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নাস্তিক্যবাদে মেতে উঠে ধর্মের কঠোর অনুশাসনের চাইতে নাস্তিক্যবাদীদের হয়ে ধর্মের দু-একটা ফাঁক-ফোকর সৃষ্টি করে সেগুলো জনসম্মুখে পেশ করলেই তো লোক পরিচিতি পাওয়া যায়। ইদানিং ব্লগগুলো হয়ে উঠেছে এর সবচাইতে উর্বর ক্ষেত্র।
নাস্তিক্যভবাদ তথা ডারউইনবাদ একটি পুরোন ক্ষয়ে যাওয়া মতবাদ। যা শুধুমাত্র খ্রীষ্টিয় ধর্ম বা সনাতন ধর্মের জন্য উপযুক্ত। ইসলাম ধর্ম থেকে যারা নাস্তিক হবার চেষ্টা করছেন তারা কূপমন্ডুকতা ছারা আর কিছুই করছেন না।
আজ নাস্তিক্যবাদ ফ্যাশনে পরিণত হতে চলেছে। যারা করেছে তারা শুধু লোক দেখানোর জন্যই করছেন, নইলে পাছে আধুনিকতার নাম খানাও যে থাকে না। কিন্তু মাই এসব লিখছি কেন? কারন একসময় আমি নিজেও নাস্তিক্যবাদের পিছনে দৌড়েছি। ইশ্বরের অশেষ কৃপা তিনি আমাকে সিরাতুল মুস্তাকিম দান করেছেন।
দয়া করে ব্যাক্তিগতভাবে কেউ এই লেখাটি নিবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।