লেখক-আকতার ফারুক হৃদয়।
কোন এক পড়ন্ত বর্ষার কান্ত বিকেল ছিল-
আমার রঙহীন ধূসর মৌন মগ্ন ক্যানভাস
পড়ে ছিল নিংসঙ্গ বিষন্নতায় গণনাহীন সময় জুড়ে।
আমার নির্বিকার প্রতিটি দিন-রাত
প্রতিটি ণই রচনা করত এক ভাবনাময় কষ্ট গল্প।
আমার সুন্দর স্বপ্নজুড়ে কেবল ধূলো জমে।
আমার সৃষ্টিশীল হাত ছিল স্থির...
স্থির ছিল আমার সময় গুলো......!!
অথচ- তুমি আমায় হঠাৎ সম্ভোধন করলে "কল্পণার সেই বন্ধু" বলে,
নিজেকে কখনো এত দামি স্থানে ভাবিনি আমি!
তোমার নান্দনিক কথা-আচারণ, সব শৈল্পিক উপাদান
আমার জীবনে নিয়ে এলো এক নতুন ভূবন।
সত্যি তুমি তা পারও...........
আমার দীর্ঘ নীরবতা তোমাকে ভাবিয়েছে-
আমি মগ্ন ছিলাম অন্য কিছু ভেবে।
অথচ- অবাধ্য সময় আমায় ডিঙ্গিয়ে চলে গেছে বহূদূরে।
নীরব সময় গুলোর প্রতিটি পরত জুড়ে
খোঁজে ছিলাম নিজকে, নিজ সত্তাকে
আবেগ আর সত্যিকারের রূপ কে। ।
বেশীর ভাগ সম্পর্কেরই কোন নাম হয় না,
যেমন- তোমার আমার সম্পর্ক।
কখনো ভাবি বন্ধু, কখনো ভাবি হৃদয় সর্বস্ব একজন,
কখনো ভাবি কেউ নও............
এ কথায় ভেবেছি অহর্নিশ বয়ে যাওয়া সময় জুড়ে। ।
অবাধ্য সময় জুড়ে একবার ও মনে হয় নি
কোন সু-শীতল স্বপ্নের কথা।
একবার ও মৌন ক্যানভাস করে উঠেনি
কোন প্রাণবন্ত রঙের ঘুঙ্গুর পরা নাচন শব্দ।
কেবল অনুভবে ছিল একটা আত্নপ্রত্যয়ের স্বপ্ন।
।
দূঃখ-স্বপ্ন-দৃঢ়তা আমার সমস্থ আমিত্ব কাঁপিয়ে যায়
আমার অহংকারী সত্তাকে বিচলিত করে।
জেগে উঠি আমি নতুন ভাবে................
এভাবেই কি মুছে যায় সব সম্পর্ক?
তবে কি এ নিস্তব্ধতা ভাল নয়?
জীবনে একজন সত্যিকারের বন্ধুর খুব প্রয়োজন।
অথচ-আমি চকোরীর জোছনা বিলাসের মতো
একজন হৃদয় সর্বস্ব বন্ধুর জন্য পেরিয়ে যাই
যোজন যোজন মাইল একলা পথ!
তারপর, তুমি ভোরের আকাশ, নব দিগন্ত।
অনেক কথার কোন উপযুক্ত শব্দ হয় না
তাই হয়তো তোমার কোন বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।
।
জীবন কে আমি দেখি বাহির থেকে,
তার ভিতরে ঢুকার সাধ-সাধ্য কোনটায় আমার নেই।
সাধটাকে মেরেছে অন্য কেউ, সাধ্যটাকে আমি!
তারপরও সেই দুবের্াধ জীবনটাকে আকঁড়ে ধরে
বয়ে যাচ্ছে তরঙ্গহীন সময়ের স্রোত।
বাধ্য বালকের মতো তোমার মমতা-ভালবাসর আদেশ মেনে নিয়ে
হাত বাড়িয়েছি সৃষ্টিশীল কাজে, ভুলেছি কলংকিত অতিত...
তোমার কথা ভেবে ভাবিনা অতিত আর মৃতু্যর কথা।
কিন্তু একদম যে মাথাচাড়া দেয় না তা নয়
মাঝে মাঝে এখনো............!
বন্ধু-আবেগ কে প্রশ্রয় দেইনি একবারের জন্য ও
যেখানেই আবেগ আমার রুদ্ধ বাস্তবতার সামনে
দেয়াল হয়ে দাড়াঁতে চেয়েছে,
অপকটে মেনে নিয়েছি হার!
সরে এসেছি সে সম্পর্কের অম্লমধুর জাল থেকে।
।
কিন্তু তোমার বেলায়...
তোমার মতো কে বুঝে আমায়?
হোক না তা অল্প সময়ের পরিচিত মুখ;
কাকে আর বলতে পারি হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা
কষ্টের অবগাহন কিংবা আনন্দের ফুলঝুরি।
সভ্যতা আর বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগে
তেমন আর মাটির মানুয় কই?
আর তথাকথিত বন্ধুরা......
সেতো কেবল লৌকিকতা!!!
হয়তো তোমার প্রতি কিছুটা অভিমান ছিল;
বার বার তোমায় প্রশ্ন করেছি-
"আমার জন্য তোমার এত ভালবাস", আমি কে হই তোমার?
কিংবা তুমি যে আমায় ভালবাস বলনা কেন বার বার!
তুমি কথার ছলে এড়িয়ে গেছ-
মেনে নিয়েছি এই জীবন,
মেনে নিয়েছি জীবনের অপার-অসীম বিস্ময়তা।
সত্যিই তো- সব হারানোর মাঝে
মন হারানোর ইতিকথা নিয়ে কি খুব বেশী কিছু বলা যায়?
চলার পথের শত ক্রুরতা, অবিশ্বাস, নিষপ্রেম নিয়েই তো
বেঁচে আছি, থাকতে হবে!!
কিছুই হয় না পাওয়া, কিছুই হয় না ছোঁয়া!
ফেরারী সময় পালিয়ে যায় বর্ষ-যুগ-শতাব্দির অন্তরালে।
বন্ধু---ভাল থেকো এক শুভ্র সকালের সতেজ ঘ্রাণের মতো
কেননা তোমাকে ভাল থাকতে হবে
আমার জন্য...... আমাদের জন্য।
। ।
(চট্টগ্রাম কলেজ। মাস্টার্স শেষ পর্ব।
তারিখ-১০/০৯/২০০৯ ইং
উৎসর্গ: বন্ধু-নাসরিন রহমান তাহমিন কে।
) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।