রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র অপূর্ব :
Click This Link
আনিস :
Click This Link
নাহিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চুরির অভিযোগে। যে ছেলে নিজে লাখ টাকার গিটার বাজিয়ে গান করে, যার আছে ব্যয়বহুল সাউন্ড সিস্টেম, সে অন্যের বাড়ি থেকে (তাও আবার মন্ত্রীর আত্মীয়ের বাসা!) দেশের অন্যতম প্রধান ব্যান্ড পাওয়ার সার্জ এর গিটারিস্ট সে। পাওয়ার সার্জ হলো সেই ব্যান্ড যেটা সরাসরি একটি তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। প্রতিযোগিতার নাম 'ডি রকস্টার'। যেখানে সে গানের মহড়া করছিলো দখিন হাওয়ার ছাদে, সেখানে ঈদের দিন চুরি করবে, এ ধরণের আবালধর্মী চিন্তা-ভাবনা থেকে মন্ত্রী ও অসভ্য পুলিশ বাহিনীকে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।
মন্ত্রীর ধমকে পুলিশের 'পাওয়ার' বেড়ে গেছে এটা সত্য, কিন্তু নাহিয়ানের গিটারের গর্জনে আর শব্দে তরুণ প্রজন্মের রক্তে যে উন্মাদনার স্রোত বয়ে যায়, সেটা কি এই মূর্খরা জানে? এই মুহূর্তে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে, ফেসবুকে, ধানমণ্ডিতেও আজ একটা প্রতিবাদ সমাবেশ হলো স্বল্প পরিসরে। কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আফিফ নামের মিররব্লেজ ব্যান্ডের যে ছেলেটাকে ধরা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগই নেই! এত তুচ্ছ কারণে বাংলাদেশের পুলিশ গানপাগল ছেলেগুলোকে ধরলো? অপূর্ব, ইশতিয়াক ইমনদের মতো ফটোগ্রাফার কিংবা আনিসের মতো লুইচ্চা ফ্যাশন ডিজাইনারগুলারে তো ধরতে পারে না! যেইগুলা নিজে ইয়াবা খায়, ইয়াবার ব্যবসা করে এবং অপরকে খাওয়ায়। যদি নাহিয়ানের কোনো বন্ধু এ কাজ করে থাকে, নাহিয়ান তার সম্পর্কে জেনে থাকে, তার উচিত হবে সেই বন্ধুর ঠিকানা দিয়ে এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে আবার গানে মনোনিবেশ করা। কিন্তু পুলিশ তাকে মারধোর করে আহত করলে গিটার বাজানো কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশের পুলিশ কারো গায়ে হাত না দেয়া পর্যন্ত শান্তি পায় না। ছেলেদের পেলে মারধোর করে, আর মেয়েদের যৌনাঙ্গের ব্যবহার করে। এই হলো বাংলাদেশের ছাপোষা পুলিশ বাহিনী।
তাদের কাছে তিনটি প্রশ্ন :
১. ধরা যাক, নাহিয়ান চুরি করেছে, যদি করে থাকে তাহলে বিনা ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করা হলো কেন?
২. থানায় নিয়ে তার গায়ে হাত দেয়া হলো কেন? মারধোর করা হলো কেন?
৩. সে যদি কোনো নেশাদ্রব্যের মামলায় গ্রেপ্তার হতো, বা নেশার সাথে সংশ্লিষ্ট হতো তাহলে ব্যাপারটা হয়তো-বা মেনে নেয়া যেতো... চুরির মামলায় সে জড়িত, তার প্রমাণ কি?
আর মন্ত্রীর/মন্ত্রীর আত্মীয়ের উদ্দেশ্যে বলছি...
নাহিয়ান একজন প্রতিভাবান মিউজিশিয়ান। আপনারা যেমন ক্ষমতায় না থাকলে যেখানে সেখানে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেন, সেও গানের প্র্যাকটিস করছিলো বাসার ছাদে... মনে রাখা উচিত, সে নিজেও আপনার একজন প্রতিবেশির সন্তান।
তার অধিকার আছে সেখান গান করার। আপনি বাড়িওয়ালাকে বলতে পারতেন, সতর্ক করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে পুলিশ ডেকে নাটক সাজিয়ে চুরির মামলায় নির্দোষ একজনকে ফেলে দিতে হবে? এইসব রাজনৈতিক প্যাঁচ সব জায়গায় না খেললে হয় না?
সবার ভাবতে হবে, মিউজিশিয়ানরা সমাজের ক্ষতি করছে না। তাদের প্র্যাকটিস চলে নিজস্ব প্র্যাকটিস প্যাডে। তারা কোনো নারী ব্যবসা, মাদকব্যবসার সাথে জড়িত না।
কারো ক্ষতিও তারা করছে না। যারা নেশা করে, তারা নিজেরাই করে নিজস্ব যুক্তির আলোকে, অন্যকে নষ্ট করার চিন্তা মিউজিশিয়ানদের নেই। বরং কারো বিপদ হলে এরাই সবার প্রথমে এগিয়ে আসে। কনসার্ট করে গান গেয়ে টাকা জমা করে নিরীহের জন্য। এদের এভাবে অ্ত্যাচার করা কি ঠিক?
নাহিয়ান, তুমি ফিরে আসবে, আরো জোরে প্রতিবাদের ঝড় তুলবে তোমার গিটারে... আমরা অপেক্ষায় আছি তোমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।