বলটা ব্র্যাড হাডিনের ব্যাট ছুঁয়েই গিয়েছিল। ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসনের ফলনির্ধারণী বলটিতে রিভিউয়ের কোনো দরকারই ছিল না। কিন্তু টেস্ট জয়ের চেয়ে ১৪ রান দূরে থাকতে অতটা ‘সত্’ হতে পারেননি এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। হাডিন হাঁটা দিয়ে দিলেই হয়তো আলিম দারের সিদ্ধান্তের ‘শুদ্ধ-অশুদ্ধতা’ যাচাইয়ের জন্য প্রযুক্তির শরণাপন্ন হতে হতো না। খেলাটির সমাপ্তি ঘটত মাঠেই।
জেমস অ্যান্ডারসনের ওই বলটি যে হাডিনের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে, সেটা বুঝতে পারেননি আম্পায়ার আলিম দার। মাথা নেড়ে হাডিনকে নট আউটই ঘোষণা করেছিলেন। হাডিনও মনে মনে ইষ্টনাম জপ করে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু বাদ সাধলেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকই। কোটার দুটো রিভিউই যে তখনো অব্যবহূত! খুব একটা আত্মবিশ্বাসী না দেখালেও রিভিউই চাইলেন কুক।
আর ফাটকাটা দারুণভাবে লেগে গেল কাজে।
রিভিউয়ে ধরা পড়ল পুরো ব্যাপারটিই। আম্পায়ারের ‘নট আউট’ সিদ্ধান্তটি যে ভুল ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেল। হাডিনের ‘অসততা’ও পড়ে গেল ধরা। এখন অবশ্য হাডিন স্বীকার করেছেন, তিনি হাঁটা শুরু করলেও পারতেন।
১৪৭ বলে ৭১ রানের এক দারুণ ইনিংস খেলে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে থাকা টেস্ট ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় জয়ের বন্দরেই পৌঁছে দিচ্ছিলেন হাডিন। উইকেটে পুরোপুরি সেট অবস্থায় অ্যান্ডারসনের বলটি যে তাঁর ব্যাটের কোনায় লেগে যাবে, সেটা মোটেও ভাবেননি। ব্যাটে লেগেছে বুঝতে পেরেও তাই প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করার ‘সততা’ দেখাতে পারেননি। এমনিতেই ওয়াক-বিতর্ক নিয়ে টেস্টটাকে উত্তপ্ত করে রেখেছিলেন স্টুয়ার্ড ব্রড। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।