আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Abraham Lincoln: Vampire Hunter (2012) {একটি আজগুবি কাহিনীর বাস্তবিক বিশ্লেষণের অপচেষ্টা}

I am the master of my fate, I am the captain of my soul. বিঃ দ্রঃ সিনামাটার মতন এই পোষ্টের সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্যে ইহা রচিত হয় নাই। কেউ অতি মাত্রায় মাথাগরম হইলে এই পোষ্ট বর্জন করাই শ্রেয়। অবিসংবাদিত অনেক নেতাদের কথা আমরা জানি, যারা যুগে যুগে এই পৃথিবীর পরিবর্তনে নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তাদের জীবনী শিক্ষা দেয়া হয় অনেক পাঠ্যবইয়ে।

অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্যে। কিন্তু কখনোই কোন বইয়ে হিটলার টাইপের কারো কথা পড়ি নাই। কারণ পিচ্চি কালেই ছোট ছোট বাচ্চাদের শিখানো হয় যে সে হিটলার ছিল। হিটলার বলতে খারাপ কাওকেই বোঝানো হয়। পজিটিভিটি তুলে ধরা হয় না।

নেগেটিভিটি উঠিয়ে আনা হয় আর পারলে সাথে ঢোল বাজানো সহ প্রচারণা। এইটা সকল ক্ষেত্রেই। কে জানি বলছিল “History is written by the victors.” কে বলছিল মনে নাই। তবে অতীব সত্য কথা। হিটলারের যদি জয় হইতো তাইলে আজকে আমরা হিটলারের গল্প শুনতাম।

তার যুদ্ধের ট্যাকনিক জানতাম। অবাক হইতাম। এই পর্যন্ত যা কইলাম এইডা ফাউ গ্যাজানি। কারো পড়তে ইচ্ছা না হইলে বাদ দেওয়াই ভালো। আমার ফাউ ত্যানা প্যাচানির কুনুই ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু পোষ্ট অনেক ছোট হইয়া যায়।

তাই ফাউ গ্যাজাইয়া লইলাম পর্থমে। আব্রাহাম লিঙ্কন আমেরিকার সেইরকমই একজন রাষ্ট্রপতি সেইরকম মানে জিতা দলের আরকি। তার সবচেয়ে প্রশংসিত ব্যাপার হচ্ছে দাস প্রথা নামক এক অমানবিক ব্যাপারের বিরুদ্ধে তিনি জনমত গড়ে তোলেন এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হন। তার কারণেই তৎকালীন দাস প্রথার অবসান হয়। এইসব সবাই জানে।

এইটাও ফাউ গ্যাজানির অংশ। পইড়েন না। {সাধারণত “ছুটির দিনে” ‘র কাউসার হামিদ এর লেখা পড়ি বেশ মজা নিয়াই। আজকের লেখায় আমার রাশি সম্পর্কে লেখা আছেঃ আমার ধারণা, কিছু কিছু টিভি সংবাদ উপস্থাপক এই প্রশিকক্ষণই পান যে খবরটা পড়তে হবে খুব মিঠা মিঠা মুখে। তাই বাস দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের মৃত্যুসংবাদ পরিবেশনের সময়ও তাঁরা তাঁদের ঠোঁটের কোণে মিষ্টি-মধুর হাসিটি টেনে রাখতে ভোলেন না।

আসলে তাঁরা বুঝতেই পারেন না, কী তাঁরা পড়ছেন! প্রিয় তুলা, এ সপ্তাহে ভাব প্রকাশের বেলায় সতর্ক থাকুন। তা না হলে ভুল বোঝাবুঝি হবে। (তথ্য সূত্রঃছূটির দিনে) স্বাভাবিক ভাবেই আমি মনের ভাব প্রকাশে পিছপা হই না। আজকেও হইলাম না। ভুলই তো বুঝবেন, বুঝেন।

আপ্নের বুঝায় সমস্যা তাইলে। আমার দোষ নাই। } আসল কথা হইলো হঠাৎ যদি এমন কোন সিনামা আসে “জিয়াউর রহমানঃ পেত্নী লুব্ধক” অথবা “শেখ মুজিবঃ শাকচুন্নী শিকারি” ; আমরা কতজন পজিটিভলি নিতে পারবো? অবশ্যই দেশে গৃহযুদ্ধ টাইপ কিছু চালু হওয়ার কথা। সাথে ডিরেক্টর আর রাইটারের তো ১২ টা বাজবই। যাউকগা, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো, আব্রাহাম লিঙ্কন সকালে দাস প্রথার বিপক্ষে লড়তেছিলেন।

আর হঠাত সন্ধ্যা বেলায় একখান কুঠার নিয়া ভ্যাম্পায়ার কুপাইয়া ফালা ফালা কইরা ফালাইতেছিলেন। লেখক আর পরিচালকের যথেষ্ঠই রসবোধের প্রমাণ মেলে এই ব্যাপারে। আগেও একবার এই সিনামা দেইখা প্রায় ঘুমাইয়া পড়ছিলাম। তবে আজকে কি মনে কইরা পুরাটা দেইখা চড়ম মজা পাইলাম। বিশেষ কইরা ওই জায়গাটা রাইতের বেলা আব্রাহাম লিঙ্কন সাহেব কুঠার নিয়া নাইম্মা পরেন।

খারাপ সময় কাটবে না যারা দেখেন নাই দেইখেন। তবে আপনাকে ওপেন মাইন্ডেড হইতে হইবেক অবশ্যই। এইখানে প্রতীকী বিষয় দেখানো হইছে। আমরা নতুন একটা সিনামা বানাইতে পারি। “ইমরান H সরকারঃ রাজাকার জীবান্তক” টাইপের কিছু।

ভালো চলবো এইসময়ে। পোষ্টের সকল সংরক্ষিত স্বত্বঃ আমরা ɯoʌıǝ পাগল™ বোইন qɹoʇɥǝɹ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।