আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইকাডেলিক অভিযোজন

স্বত্ত সংরক্ষিত ঈশ্বরের নাচঘরে জ্বলে জ্বলে যখন তারাগুলো ক্লান্ত হয়ে যায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক আর শেয়ার বাজার থেকে লুটে নেয়া টাকার ওজনে চোখে ঘুম নেমে আসে- সাময়িক মৃ্ত্যুকে বরণের আগে শেষবার উগরে দেয়া বিষের বাতাস জমা হয় ছায়াবদ্ধ ঘরে, রূপ পরিগ্রহ করে। রক্তাভ বিস্মিত চোখের সামনে উড়ে আসে কাটা হাত কাটা পা ছিন্ন মস্তক;ফ্রাঙ্কেনস্টাইন জন্ম নেয়। মস্তিষ্কে উঁকি দেয় ত্রস্ত চড়ুই- আমি আমার জন্মদাতাকে খুঁজছি;ঘরের ভিতরে গরজে ওঠে মেঘস্বর। -এ ঘরে নেই কোন জন্মদাতা;নাকি আছে? আমি লিমন কে খুঁজছি,আমার শরীরটাকে খুঁজছি -কে বলে,কে বলে? –আমি লিমনের কাটা পা। -লিমন তো নেই এখানে, নাকি আছে! আমাকে ভাত দে,ভাত -কে তুমি?-আমি আজাদ।

শহীদ আজাদ। -আমার শাড়ি খুঁজি,শাড়ি পাইনা -চুপ থাক ইয়াসমিন,আগে রাজাকারগুলান রে খুঁজি। -ফাঁসির দড়ি কই?দড়িতে ঝুলানোর লোক কই? -তুই রাজাকার?রাজাকার তুই? গলিত বিস্মৃত মানবপ্রত্যঙ্গ একতাবদ্ধ একই শরীরে; অনেক কণ্ঠ অনেক প্রশ্নের ভিড়ে সমস্বরে হাহাকারে সন্ত্রস্ত চড়ুই, মগজের ভাঁজে ফের ডানা ঝাপ্টায়। ঘটনার আকস্মিকতায় বিভ্রান্ত হয় হৃদয়; চড়ুইটার অন্তিম ডানা ঝাপ্টানিতে বিব্রত-থমকে দাঁড়ায়। ডান হাতটা উঠে আসে বাঁদিকের পাঁজরে, যাহ শালা,হৃদয়টা বোধহয় মরেই গেলো ! এক জোড়া চোখ বেঁচে থাকে- গোঙ্গানোর শব্দ শোনা যায়,হৃদয় কই,হৃদয়? তোমার কাছে তো ওটাও নেই,নাকি আছে! --- --- --- --- --- --- --- --- --- পরদিন সকালে জনৈক জীবন্মৃত পাবলিকের ছদ্মবেশে, বাদুড়ঝোলা বাস ধরে অফিস যাবার উদ্দেশে।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.