আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেম করছেন/করেছেন? প্রেমিকরা মিলিয়ে দেখুন তো ......

ভালো মন্দ মিলে আমি একজন সাধারন মানুষ। প্রথমেই বলে রাখা ভালো লেখাটা সদ্য মুক্তি পাওয়া একটা হিন্দি সিনেমার কিছু ডায়ালগ থেকে লেখা। সমস্যা ?? সমস্যা হচ্ছে ওরা মেয়ে। আর কি দরকার ? সমস্যা হচ্ছে আপনি চান আপনার জীবনে কোন সমস্যাই না থাকুক। কিন্তু যদি আপনার জীবনে কোন সমস্যা না থাকে তবে তা ওর জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

ওর তো সেলিব্রেট করার কথা। ও যা চায় তাই তো হচ্ছে। আরে কোথাকার প্রেম ? কোথাকার সম্পর্ক ? কোথাকার খুশি ? সম্পর্কের মানে হচ্ছে নিজের খুশি বিসর্জন দেওয়া। এরপর আপনার সব সময়ের চিন্তা হচ্ছে ওর খুশি, ওর জন্মদিন, ওর কুত্তার জন্মদিন, ওর New Year, যা এক সময় আপনারও New Year ছিলো। এই সব মেয়েদের কেউ খুশি রাখতে পারবেনা।

সুখি মেয়ে মানুষ একটা রূপকথা। ব্যাটম্যানকেই দেখেন। বেচারা যতক্ষন ব্যাটম্যান না হয় ততক্ষন বলতে থাকে, “তুমি কিছু কর না, তুমি কিছুই না, আমি তোমার মত মানুষের সাথে কিভাবে থাকবো?” কিন্তু যেদিন বেচারা ব্যাটম্যান হয়ে গেলো সেদিনই বলে, “ তুমি তো ব্যাটম্যান হয়ে গেলা?! আমি তো একজন নরমাল মানুষ চেয়েছিলাম। আমি তোমার মত মানুষের সাথে কিভাবে থাকবো ?” সব কিছুই কাহিনীর দোষ। চিরায়িত বাংলা সিনেমা।

একটা ছেলে, একটা মেয়ে। দু’জনের দেখা হয়, প্রেম হয়, মিলন হয়। সিনেমা শেষ। এরপরের কাহিনী কেউই বলে না। এরপরের কাহিনী আমি বলচ্ছি।

এরপর ছেলেটা যদি মেয়েটাকে দু’দিন I Love You না বলে তবে problem, বললেও problem. “হয়েছে আর ঢং করতে হবে না। ” আরে এদের শপিং শেষ হয়না। প্রথমে কুশন আনে, পরে কাভার আনে। পরে কুশনের সাথে কাভার ম্যাচ না করলে আরো কাভার আসে। আরে আপনাকে এতো হাবিজাবি কিনিয়েছে যে যদি আজ সেগুলিকে বেচে দেন তো মাসের খরচ চলে আসবে।

একেতো যা কিনতে যাবে তা কিনবেনা। দু’হপ্তা মাথার কাছে প্যান প্যান করবে “টেবিল নিতে হবে, টেবিল নিতে হবে। “ তারপর পাঁচ ঘন্টা মলে ঘুরে নিজের জন্য একটা চপ্পল নিয়ে আসবে। তারপর আবার প্যান প্যান “টেবিল নিতে হবে , টেবিল নিতে হবে। “ ভাই, কাজে ব্যস্ত।

ফোন চলে আসবে। ফোন তুলে বলে দিলেন ব্যস্ত, পরে কথা হবে। এই সহজ কথাটা কি বোঝা এতটাই কঠিন? “দুই মিনিট করলে কি হবে?” আরে দুই মিনিট করলেই বা কি আসে যায়। ঠিক মত তো আলাপ করতেই পারবোনা। এরপর I Love You না বলে ফোন কেটেছেন তো আরেক নাটক।

সবচেয়ে বেশি যন্ত্রনা দেয় এই মোবাইল ফোন। বড়ই নিষ্ঠুর। কুত্তার গলার চেইনের মত। ওদের বিজ্ঞাপন গুলি দেখন না। এক পয়সা সেকেন্ড, পচিঁশ পয়সা মিনিট, পার্টনার এর সাথে ফ্রি।

আরে কলরেট কমে গেছে বলে কি বলার মত কথা বেড়ে গেছে নাকি ??!! পরে এর জবাব ওদেরও দিতে হয়। “তোমার সাথে আজ কাল কথা বলা যায় না কেন ? আমার প্রতি তোমার আর আগের মত টান নেই। তোমার হু হাই যদি শুনতে হয় তবে আমি ফোন কেন করলাম ?” আরে আমাকে কেন ফোন করেছে তা আমি জানবো কিভাবে?! যেয়ে মোবাইল কোম্পানিদের জিজ্ঞাসা করো না। কোথাও ব্যস্ত। SMS চলে আসবে।

I Love You.আপনিও পালটা SMS করে দিলেন I Love You too. ব্যস এরপর SMS এর পর SMS. আরে সারাটা দিন ওরা করেটা কি? খালি কোন একটা SMS এর জবাব না দিয়ে দেখুন। সাথে সাথে ফোন। ফোন যদি না তোলেন তবে ১০ মিনিটের মাঝে আবার ফোন। “I think its not working anymore between us.” ১০ মিনিটের মাঝে জান I Love You থেকে I think its not working anymore between us. এখন আমি জানি পুরুষদেরই এতো হার্ট এটার্ক কেন হয়। কেন গেরা এতো সাকসেসফুল হয়।

Because they do not have women in their life to ruin their happiness. মানুষ বলে প্রতিটি সফল পুরুষের পিছনে একজন নারী থাকে। সত্য। কিন্তু কেউ এটা কেন বলে না , প্রতিটি ব্যর্থ পুরুষের পিছনেও একজন নারীই থাকে। আর এটাতো সবাই জানে দুনিয়াতে সফল পুরুষের চেয়ে ব্যর্থ পুরুষের সংখ্যা কয়েকশ গুন বেশি। কোথাও আরামে বসে আছেন।

বার বার জিজ্ঞাসা করবে, “কি ভাবছো? বলোনা কি ভাবছো?” আরে কিছু ভাবছিনা , তোমার মুখ কিভাবে বন্ধ করা যায় তা চিন্তা করছি। জেনে রাখুন “You can not discuss anything with women. Because they call it discussion but any discussion with women is an argument.” আর argument এ আপনি ওদের সাথে কোন দিনই জিততে পারবেনা। কারন আমরা পুরুষরা argument এর সময় একটা basic রুল মেনে চলি। We try to use logic in our speech. মেয়েদের এমন কোন সমস্যাই নেই। Logic এর মতো ফালতু জিনিসের জন্য তারা কেন argument হেরে যাবে?! একেতো আজকের কথা নিয়ে আজকে argument করবে না।

করবে ২ মাস পরে। আরে মনেই তো থাকে না ২ মাস আগে হয়েছিলোটা কি। মেয়েরা সব খুটিনাটি মনে রাখে। এটা ছোট অস্ত্র না। অনেক বড় অস্ত্র।

একে বড় ঝগড়ায় ব্যবহার করবো। আপনি নিজেকে একবার সঠিক প্রমানের চেষ্টা করে দেখুন। আপনার মনে হবে এই পয়েন্টে আপনিই ঠিক। তখনি আওয়াজ আসবে, “আঙ্গুল নিচে করো। ” আপনার হতো খেয়ালও নেই কখন আপনার একটা মাসুম আঙ্গুল ওর দিকে উঠে গেছে, এবং হটাৎ করে সমস্ত Argument will be flush down into toilet এবং কথা থেকে যাবে আপনি কিভাবে ওর দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারলেন? কে বানিয়েছে এমন নিয়ম? কে? ওরা Argument এর মাঝে আপনাকে জুতা জুড়ে মারতে পারবে, কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু আপনি খালি আঙ্গুলটা তুলে দেখেন, সমস্ত ঝগড়া শেষ, আপনি ভুল, ওই ঠিক। নিজেদের মাঝে সমস্যা হলে ও আপনার বন্ধুর কাছে যেতে পারবে, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি খালি ওর বান্ধবীকে ফোনও করে দেখেন না। বলবে, “আচ্ছা, তুমি আমার বান্ধবীকে ফোন করেছো? তুমি ওর sympathy পেতে চাইছো? Why don’t you go and sleep with her? ” Its pathetic man… Its really pathetic… ধন্যবাদ, জ়িএম. আকতার হোসেন বাপ্পি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.