আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

করিডোর পাবার জন্য তিস্তা চুক্তি নাটক। অভিনয় করছেন মমতা, গওহর রিজভীসহ অনেকে..

ব্রিটেনের নাগরিক গওহর রিজভী বিয়ে করেছেন ইতালিয়। চাকরি করেছেন দিল্লি ও আমেরিকায়। হাসিনার আন্তজাতিক হলেও একমাত্র ভারত বিষয়ে তাকে দৌড়ঝাপ করতে দেখা যায়, অন্য কোন দেশ নিয়ে তাকে কথা বলতে দেখা যায়না, গত কয়েকদিনে টিভিতে গওহরকে নানা কথা শুনে মনে হল, ভারতকে এতদিন করিডোর না দিয়ে আমরা অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি, ভারতকে করিডোর দিয়ে আমাদের কি লাভ হবে সেটা নিয়ে তিনি একেক সময় একেক কথা বলেন। এখন ভারতকে করিডোর দেবার জন্য তিস্তা চুক্তির নাটক সাজানো হচ্ছে। যেন তোমরা আগে করিডোর দাও তারপর আমরা তিস্তা চুক্তি করব।

হিন্দুস্তান বলে ভারতের বিরোধিতা করে লাভ নেই। ভারতকে কিছু দিয়ে দিলে তার বিনিময়ে আমাদের কি কি লাভ লোকসান হচ্ছে সে হিসাব গওহর রিজভী কি করেছেন। মনে হয় না। গওহর কিছুদিন পরে এই দেশেই থাকবেন না। তাই এদেশের বারোটা বাজলেও তার কিছু আসে যায়না।

হাসিনা কেন চুক্তিগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করছেন না। কানেক্টিভির নামে শুধু ভারতকে করিডোর দেয়ার আগে দেশের মানুষদের কানেক্টিভিটি ঠিক করা হোক। যেখানে দেশের অভ্যন্তরে মানুষ এক জেলা হতে আরেক জেলায় ঠিকমত সময়মত যেতে পারছেনা, দেশের যানবাহনই ঠিকমত চলছে না, সেখানে ভারতের যান চলবে কি ভাবে। গার্মেন্টসে ভারতীয় বিনিয়োগ লাগবে কেন? আমাদের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীর মালিকরা আমেরিকার না হলেও যদি আমেরিকাতে যেতে পারে, ভারতে কেন যেতে পারবেনা। নদীর পানি ঠিকমত দেয়না কেন? ভারত যদি সবকিছু ঠিকমত করলে তারপরেই ট্রানজিটের নামে করিডোর দেয়া হোক।

আমরা নিজেরা না খেয়ে ভারতীয়দের খাওয়াব কি জন্য? এখন নদীপথে ত্রিপুরায় বিদ্যুতের মালামাল নেবার জন্য দেশের রাস্তাঘাট নষ্ট করেছে। গওহরের কাছে প্রশ্ন এখন যে ত্রিপুরায় বিদ্যুতের মালামাল নেয়া হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের কি কি লাভ হলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।