“আমরা মনে করছি, এটি ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতা, আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই,” বলেছেন সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
বুধবার মধ্যরাতে সাভারে ওই সোয়েটার কারখানায় আগুন মারা যান এর মালিক মাহবুবুর রহমান। তিনি বিজিএমইএ’র পরিচালক ছিলেন।
ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবং কুমিল্লা যুবলীগের তিন নেতাও নিহত হন।
তারা হলেন- পুলিশের অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক জেড এম মোর্শেদ এবং যুবলীগ নেতা সোহেল মোস্তফা স্বপন, এমাদুর রহমান ও সৈয়দ নাসিম রেজা।
ওই চারজনই মাহবুবুর রহমানের বন্ধু বলে বিজিএমইএ নেতারা বলছেন।
রাতে ১২ তলা ওই ভবনে আগুন লাগার পর বিজিএমইএ সভাপতি সেখানে গিয়েছিলেন।
নাশকতার সন্দেহ কেন হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, কারখানায় কাজ হচ্ছিল না। সব এসি, ফ্যান ও মেশিন বন্ধ ছিলো।
“তার মানে কারখানার বিদ্যুতের বেশিরভাগ সুইচই অফ ছিলো।
শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার সুযোগ ছিলো খুবই কম। ”
এছাড়া কারখানাটিতে প্রথম সারির অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো বলে দাবি করছেন বিজিএমইএর নেতারা।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ কী- জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তের প তা বলা যাবে।
এই অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ কর্মকর্তার দেহরক্ষী রিপন চাকমা ও তংহাইয়ের অফিস সহকারী সাহাবুদ্দীনসহ আরো একজন নিহত হন।
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, তারা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন, তখন জানতেন না যে ভেতরে মালিকসহ কয়েকজন আটকা আছেন।
আলী আহমেদ বলেন, “আমরা স্থানীয় মানুষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করেছি। ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলো তারা জানিয়েছিলো, কারখানার মধ্যে কেউ নেই। পরে অন্যরা জানায়, ভেতরে লোকজন আটকা পড়েছেন। ”
মাহবুবুর রহমান আগামী নির্বাচনে কুমিল্লার হোমনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এর অংশ হিসেবেই বিভিন্ন সময় স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে আসছিলেন তিনি।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবং যুবলীগের নেতাদের নিয়ে রাতে কারখানায় কী করছিলেন- জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “আসলে কে কখন কী কাজ করবে তার সব কিছু তো জানা সম্ভব নয়। তবে মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে অন্য যারা নিহত হয়েছেন তাদের কয়েকজন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানি। ”
বৃহস্পতিবার বিকালে মাহবুবুর রহমানের মরদেহ কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় বিজিএমইএ সভাপতির।
বিকালে সেখানে মাহবুবের জানাজায় তৈরী পোশাক শিল্পের কয়েকশ’ মালিক অংশ নেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানও ছিলেন সেখানে।
তুংহাই সোয়েটারস লিমিটেড ছাড়াও মাহবুবুর রহমান তুংহাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, এন এস সোয়েটারস লিমিটেড এবং অগ্রণী সোয়েটারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এছাড়া তিনি তুংহাই নিট ফ্যাশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং অগ্রণী ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।