"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি" মননের সবটুকু মনোযোগ এখন দেশের উপর নিবদ্ধ। এর ভেতর কেমন করে এরা এলো আমি জানি না-
১. আমায় থাকো তোমরা ঘিরে
সাথে হাজার কাজ
এমন ভীড়ে কেমন করে
দেখি তোমার সাজ!
২. হরিণ চোখে ক্ষিপ্র কাজল
বুকে তখন শতেক মাদল
লাগ ভেলকি লাগ
খুন হয়ে যাই তক্ষুণি
একটু তো তাকাক!
৩. আমি জটিল, তুমি সরল
দন্ডিত দূরাভাস
একজনমে মোহমায়
মিটে না ভালোবাসার আঁশ
৪. শেষ ফাগুনের চিবুকে শুয়ে আছে
কাঙিক্ষত বুষ্টির বিন্দু বৃষ্টি নামাবে বলে
তুমি পিচ্ছিল হ্রদে ঝাঁপ দিলে
প্রত্যহর দাবীমাখা তুমুল কোলাহলে
৫.শব্দেরা সীমান্তে আটক ভিসার গন্ডগোলে
এভাবে হয় না ইসাবেলা,
চুমু খেতে হয দু'চঞ্চু
সম্পূর্ণ খুলে!
৬. আমি এখন ভূতুড়ে পরিত্যক্ত শহর ইসাবেলা,
চারপাশে চামচিকাদের উড্ডয়ন
মেনে নেই অনায়াসে,
কে করবে ক্লান্তি হরণ!
৭. আমার দেহে এখনো বর্ণহীনতার দাগ
তিনটি বছর কেটে গেল
এবারো বললে,
বসন্ত ফিরে যাক!
...........................................
১. মুঠোফোনে কাব্য লিখে মুগ্ধ করি কাকে!
দেখলে তুমি হাসবে (ইসা) বেলা
রূপোলী চুল ভেংচে উঠে
কালো কেশের ফাঁকে।
২.সেদিনও ছিল কানের পাশে
তোমার গুঞ্জরণ
এখন কর্ণমাঝে বাজছে কেবল
এফএম আয়োজন।
৩.যে ভালোবাসে তার তো ধর্ম একটাই
কখনো ইউসুফ-জুলেখা
কখনো কৃষ্ণ-রাই
৪. না না একদম যত্ন নিচ্ছ না ত্বকের।
ত্বক দেখলে,
জানলে না তুমি না থাকলে সব থেমে যায়
সময় তখন শুধুই শোকের।
৫.এ শহরের জ্যামকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
আমাদের আড্ডা চলেছে বহুবার
এখন সবই ভার্চুয়াল, মোবাইল নেটে
চলে দেন দরবার। স্মৃতি ঘিরে থাকে
কুলকুল হাসি, ঘৃণা ব্যথা অভিমান
ভালোবাসাবাসি,
সময় বলে এরা এখন ভিন্ন গ্রহে
আছে হয়ে প্রবাসী।
৬.সতেরো থেকে তোমাকে ছুয়েঁছি-ছেড়েছি
করেছি প্রতিজ্ঞা না দেখবার
অথচ দেখো কিছুতেই থামলো না
বারবার করা মুখাগ্নি তোমার।
৭. পাগলা -রঙ্গীন পানি, মদিরা সুরা
কত নাম তোমার
কাজের বেলায় একজনই তুমি
পঙ্গুকেও করে দাও পার
স্বপ্নে সর্বোচ্চ পাহাড়।
৮. ভালোবেসে কত ডাকলাম
ভুতোসোনা,
তুমি শুধু সরছো দূরে
দেখে দীপিপোনা।
..........................
১. তুই চিরকাল এড়িয়ে গেলি জীবনের সহজ দাবী
আমাকে রাখলি দূরে
নিজেও খেলি অনন্ত অস্থিরতায় খাবি
২.জানি তুমি বলবে জীবন মানে
এটা সেটা অনেক কিছুর জয়
আমার কাছে পুরোটাই অব্যর্থ ক্ষয়
৩. নিজেকে আদরে মায়ায় আজ রেখেছিলাম ভীষণ যতনে
কেমন করে ভাবো আসতে দেব তোমায় আমার একক ভুবনে
যতই করাঘাত করো দখিন দুয়ারে প্রতিক্ষণে
৪ বিয়াল্লিশবছর দেখেছি তোদের দুর্বলের ক্ষমা সুন্দর চোখে
পেছন থেকে ছোরা মারতি না যদি সাহস থাকতো বুকে
৫. পাকিস্তানী আর্মি আর রাজাকাররা করেছে যাদের ধর্ষণ
তাঁদের নাম বীরাঙ্গনা অথবা শহীদ বোন
পাক আর্মির প্রতি যার ভালোবাসা
পুরো একাত্তর জামশেদের নেশা
তাকে কি নামে ডাকি?
"ম" বর্গীয় শব্দের সাথে বাঁধা তার একজীবনের রাখি
৬. তুমি যখন সত্যের পথে তোমার হাজার বদনাম
যখন ভুল করছো শুধরে দেবে না
করবে প্রশংসার জপনাম
এরাই আসল শত্রু
অতএব সাধু সাবধান
৭. আমার কোন নাম ছিল না
দল ছিল না, মঞ্চ ছিল না
নই আমি টক শো কাঁপানো আন্দালিব
আমার কণ্ঠে জয় বাংলা
বুকে আমার শেখ মুজিব
৮. লুতুপুতু প্রেমের ছন্দ হয়ে যায় বন্ধ
তুমি পসরা সাজালে
তোমার প্রতি মুগ্ধতা সোনার বাংলা
রাখবো কেন আড়ালে!
৯. আমার দেশে বইসা তুমি পাকিস্তানী গান গাও
সত্যি কইরা বলো তুমি কোন মায়ের ছাও
খাইয়া যদি থাকো তুমি বাংলা মায়ের দুধ
কেমন কইরা হ্ও তুমি পাকি স্বপ্নে বুঁদ
আমার দেশে বইসা তুমি লাল সবুজে মারো ঘা
পাকি তোমায় কই যে আবার পাকিস্তানে ফিরে যা
রাজাকারের ফাঁসী চাইলে আমারে কও নাস্তিক
সাপ তোমারে চিনি আমি ধিক ধিক শত ধিক
কিছু হইলে ফালটা দিয়া পড়ো আমার
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান পাহাড়ী ভাই বোনের ঘাড়ে
দিলটা যদি সাফ থাকতো করতা না এসব
রাইতের আন্ধারে
সত্যি কইরা বলো তুমি কোন মায়ের ছা্ও
বাংলা মায়ের দুধ খাইলে কেমন কইরা
রাজাকার বাঁচানোর গান গাও
খাইয়া থাকলে বাংলা মায়ের দুধ
কেমন কইরা হও তুমি পাকি স্বপ্নে বুঁদ
.......................................
১.এক পিস গুলাবী
আহ বৈধব্য!জলপাই স্বামী যেদিন গেল মরে
প্রাণ ফিরে এলো আমার গোলাপবরণ ধড়ে।
ঘুটেকুড়ানী থেকে রাণী
কেন দেখায় না ডিসকভারী আমার কাহিনী!
সন্তানদের গড়তে করিনি আপোস
বাবা নেই এ অজুহাতে কেউ যেন দিতে না পারে দোষ ।
উইন্ডমিলের বরপুত্র কোকেনের আবর্ত
আর খাম্বার সমাহার,
আমার সন্তানেরা এনশাল্লাহ ঘি খেয়ে
করেনি কখনো ধার।
নিস্তরঙ্গ বাংলায় এনেছি গ্রেনেড নিনাদ - জঙ্গীবাদ
আহ বৈধব্য! গুলাবী মাত্রই জানে
সার্টিফিকেট না থাকার আশীর্বাদ।
২. কিশোরী আমি বেণী দুলিয়ে জামাতী স্কুলে যাই
ভাবের জগত টালমাতাল-
ওমা একদিন সফেদ দাঁড়িয়াল বলে -
আমাকে না কি ধর্ষণ করা জায়েয
যুদ্ধের সময় আমি গণিমাতের মাল!
সেই থেকে শুরু নিজেকে দেশকে ধর্মকে জানা
বেশভূষায় সুফী হলেও জানলাম
জামাত মানেই ইবলিসের ছানা।
৩. কি আশায় বেঁচে থাকা জানে না মন
মোবাইল পর্দায় রাত্রি জাগরণ
তুমি ঘুম সে ঘুম, সবাই নিদ্রাদেবীর কোলে
আমি জেগে যদি তুমি ডাকো মনের ভুলে
সীমানা পেরোনো সময় তোমার সূর্য
আমার আকাশে চাঁদ
ভালোবাসা মানে আমৃত্যু অজেয় ফাঁদ
৪. কে কে কে কে সে,
হঠাৎ নেতা বনে গেল শাহবাগে এসে!
আরে আরে ও নাস্তিক
ধর্ম গেল ভেসে;
ঔরস তার মাস্টারদা
রক্তে প্রীতিলতা উঠছে হেসে,
কে কে কে কে সে?
দুপুরুষ আগেও যার ধর্ম সনাতন
সে ইসলামের সেবক বলছে স্টেজে বসে।
মাস্টার আর প্রীতি,
উফ মালুদের আছে না কি নীতি!
কে কে কে কে সে!
জন্ম তার এদের ঔরসে!
সব জেনে আসল হেফাজতকারী
হাসছেন আপন আরশে
জয় হবে জনতার
ভন্ডরা পরিণত হবে
জয় বাংলার দাসে।
...................................
১.ইসাবেলা, আমার বসন্ত মানে না
বিপ্লব, হরতাল, আন্দোলন
এ বসন্ত চাইছে তোমার সাথে
নিরবিচ্ছিন্ন সঙ্গম।
২. আহা! তোমার মোমসম শরীর!
মানুষের নয় যেন পরীর, পরীর।
৩. লড়তে লড়তে বড্ড ক্লান্ত আছি, ইসাবেলা
প্রাচীন তালপাখা দিয়ে মায়ার বাতাস
চাইছি এ-বেলা।
৪. দীপিতাসোনা তুমি এখন আমার সব
তুমি সুস্থ থাকলে প্রতিটা দিন মুখরিত
অঘোষিত পরব, পরব।
৫. আপনি ছিলেন বটগাছের নামান্তর
বিদেশ গেলে ভালো মানুষগুলো আর ফেরে না
কি চিকিৎসা হয় জানি না
খবর আসে ঘটেছে দেহান্তর।
(জাতি আজ সত্যিকারার্থে অভিভাবকহীন হলো প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।