আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বল্পতম ও সীমিত আকারে দেবে

তোমাকে ভাবাবোই 'ভারতের খসড়ায় যে ট্রানজিট মাশুলের কথা বলা হয়েছে, তা স্বল্পতম ও সীমিত আকারের। এছাড়া, বাংলাদেশের বিনিয়োগ, সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো এতে বিবেচনায় আনা হয়নি। ফলে ট্রানজিট মাশুল আদায়ে বাংলাদেশের সুযোগ সীমিত হয়ে গেল। এর বাইরে বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের আওতায় নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য কোনো মাশুল আদায়ের সুযোগ নেই। শুধু নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেয় ভারত।

' ভারতের ট্রানজিট প্রস্তাব নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলো আজকের অনলাইনকে এ কথা জানান। ১. বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের আওতায় নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য কোনো মাশুল আদায়ের সুযোগ নেই। শুধু নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেয় ভারত। ২. ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেননের ঢাকা সফরের পর প্রটোকলের খসড়াটি বাংলাদেশকে দেয়। এতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রটোকল’ শীর্ষক খসড়া প্রস্তাবটি ভারত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়।

৩. ভারতের দেওয়া ছয়টি ধারাসংবলিত খসড়া প্রটোকল ৪. নৌ, রেল ও সড়কপথের পাশাপাশি বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য পরিবহন করা হবে। ৫. খসড়ার দ্বিতীয় ধারায় নৌ প্রটোকলের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নৌপথে পণ্য পরিবহন হবে ওই প্রটোকলের আওতায়। তবে প্রটোকলে চট্টগ্রাম থেকে আগরতলা, চট্টগ্রাম থেকে ডাউকি ও চট্টগ্রাম থেকে সুতারকান্দি নতুন রুট হিসেবে যুক্ত হবে। ৬. রেলপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ের মধ্যে বিদ্যমান ‘মৌলিক ও ভর্তুকি নিয়ম’ অনুসরণ করা হবে। ৭. সড়কপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সীমান্ত পর্যন্ত বিদ্যমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী হবে।

৮. ট্রানজিট মাশুলের ক্ষেত্রে চুক্তির চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে, সব ধরনের পণ্য শুল্ক ও অন্যান্য সারচার্জ থেকে মুক্ত থাকবে। তবে পণ্য পরিবহনের ও অন্যান্য সেবার জন্য মাশুল নেওয়া যাবে। ৯. আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে প্রস্তাবিত প্রটোকলটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট- প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেননের ঢাকা সফরের পর প্রটোকলের খসড়াটি বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রটোকল’ শীর্ষক খসড়া প্রস্তাবটি ভারত ঈদের ছুটির আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। খসড়াটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো মৌখিকভাবে অবহিত হলেও সবগুলো মন্ত্রণালয় এর কপি হাতে পায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, গত ডিসেম্বরে এ বিষয়ে ভারতের দেওয়া খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী প্রটোকল সইয়ে বাংলাদেশ এ মুহূর্তে আগ্রহী নয়—এমনটা আঁচ করতে পেরে নতুন খসড়া প্রস্তাবটি পাঠায় ভারত। ভারতের দেওয়া ছয়টি ধারাসংবলিত খসড়া প্রটোকল অনুযায়ী নৌ, রেল ও সড়কপথের পাশাপাশি বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য পরিবহন করা হবে। খসড়ার দ্বিতীয় ধারায় নৌ প্রটোকলের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নৌপথে পণ্য পরিবহন হবে ওই প্রটোকলের আওতায়।

তবে প্রটোকলে চট্টগ্রাম থেকে আগরতলা, চট্টগ্রাম থেকে ডাউকি ও চট্টগ্রাম থেকে সুতারকান্দি নতুন রুট হিসেবে যুক্ত হবে। রেলপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ের মধ্যে বিদ্যমান ‘মৌলিক ও ভর্তুকি নিয়ম’ অনুসরণ করা হবে। আর সড়কপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সীমান্ত পর্যন্ত বিদ্যমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী হবে। ট্রানজিট মাশুলের ক্ষেত্রে চুক্তির চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে, সব ধরনের পণ্য শুল্ক ও অন্যান্য সারচার্জ থেকে মুক্ত থাকবে। তবে পণ্য পরিবহনের ও অন্যান্য সেবার জন্য মাশুল নেওয়া যাবে।

আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে প্রস্তাবিত প্রটোকলটি বাস্তবায়ন করতে হবে। ভারতের প্রস্তাবিত নতুন খসড়া প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘খসড়ায় যে ট্রানজিট মাশুলের কথা বলা হয়েছে, তা স্বল্পতম ও সীমিত আকারে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ, সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো এতে বিবেচনায় আনা হয়নি। ফলে ট্রানজিট মাশুল আদায়ে বাংলাদেশের সুযোগ সীমিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে ট্রানজিট সুবিধা আদায়ে তোড়জোড় শুরু করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফরের সময় এ নিয়ে প্রটোকল সইয়ের জন্য সম্প্রতি ভারত একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রস্তাবিত খসড়ায় অত্যন্ত সীমিত আকারে বাংলাদেশকে ট্রানজিট মাশুল দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। ফলে প্রটোকলটি সই করলে বাংলাদেশ লাভবান হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। ভারতের প্রস্তাবিত খসড়ায় বিদ্যমান নৌ প্রটোকলের আওতায় নৌপথে পণ্য পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। আর ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।