চাই শুধু নিরবিচ্ছিন্ন নিরপত্তা নিজেকে বিকশিত করার জন্য। ।
মাহবুব মিঠু। ।
এ্যাডিলেইডকে বলা হয় বিশ মিনিটের শহর।
বিশ মিনিটে মধ্যে আপনি পুরো শহরটা গাড়ীতে চড়ে একবার চক্কর দিয়ে আসতে পারবেন। ছোট হলে কি হবে গরীমার দিক থেকে কম যায় না। এ বছর এই নিয়ে পরপর কয়েক বছর অস্ট্রেলিয়ার আরো কয়েকটি শহরের সাথে সারা বিশ্বের সেরা দশ বাসযোগ্য শহরের মর্যাদা পেয়েছে।
সেই শহরে বাঙালীর ঈদ কেমন কাটলো এবার? তার আগে বলে নেই দারউইন বাদ দিলে এ্যাডিলেইড হচ্ছে অষ্ট্রেলিয়ার ষ্টেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট রাজধানী শহর। একবার শুনেছিলাম এটা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে পরিকল্পিত শহর।
সেই শহরটাকে জমকালো করার জন্য কিনা কেন্দ্রীয় সরকারের অভিবাসন আইনের দ্বারা এক সময় এবং এখনো নতুন অভিবাসীদের জন্য অন্তত্: দুই বছর এখানে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। তা না হলে কেউ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আবেদন করতে পারবে না। স্থায়ী হবার পরে ছুট্টি। যেখানে খুশী যেতে পারেন। কিন্তু ততোদিনে বেশীরভাগ মানুষই এই ছোট শহরের প্রেমে পড়ে যায়।
অধিকাংশের আর অন্য কোথা্ও যা্ওয়া হয় না। এরপরে্ও কেউ কেউ যায়। অভিবাসী বাঙালীর বাইরে বেশ কিছু বাঙালী ছাত্রছাত্রী এখানকার হাতে গোণা তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। বলতে ভুলে গেছি, ছোট শহর হলেও এখানকার জীবন যাত্রার খরচ অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক অনেক কম। চাকরীর সুযোগ সিডনি মেলবোর্নের মতো অতো সহজ না হলেও একটু চেষ্টা করলে মিলে যায়।
তাই ছাত্রছাত্রীর জন্য কম টাকায় পড়াশুনার জন্য এটা একটা ভাল স্থান।
অভিবাসনের নীতিমালার কারনে গত চার পাচ বছরে এখানে অন্যান্য অভিবাসী এশিয়ানদের মতো বেশ কিছু বাঙালী পরিবারও এসেছে। তীব্র বাসস্থান সংকট থাকার কারণে ইচ্ছে থাকলেও অনেক বাঙালীর নির্দিষ্ট কোন এক স্থানে ঘাটি গাড়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি যেমনটি শুনেছি সিডনির লাকাম্বার কথা। যেহেতু এখানে ঈদের কোন সরকারী ছুটি নেই, তাই অনেক বাঙালী ঈদের দিনেও কাজ করে। বিশেষ করে যারা নতুন অভিবাসী, এখনো স্থায়ী নাগরিকত্ব পায়নি।
তাদের এখানে দু’বছর থাকার পাশাপাশি আরেকটা অন্যতম শZ© হলো বাহান্ন সপ্তাহের পয়ত্রিশ ঘন্টা কাজ করার প্রমাণপত্র দেখাতে হয়। সেই চিন্তায় দু’বছর পরের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবার আনন্দ মাটি হবার ভয়ে অনেকে ঈদের আনন্দের কিছুটা ঘাটতি করে পরে সপ্তাহিক বন্ধের কোন এক সময়ে সেটা ব্যক্তিগতভাবে পালন করে পুষিয়ে নেয়।
শহরে বেশ কয়েকটা মসজিদ রয়েছে যেখানে ঈদের জামাত হয়। যারা ব্যক্তিগত ছুটি নিয়ে ঈদ পালন করতে চায় তারা ঈদের জামাতে অংশ নেয় সাধারণত। ওখানেই কাছাকাছি বসবাসরত অন্যান্য বাঙালীর দেখা মিলে যায় এবং এরপরে পরিকল্পনা কে কোথায় যাবে।
তাছাড়া ফোনে ফোনে দা্ওয়াত এবং ঈদের কুশল বিনিময়তো আছেই। অনেকে আবার কয়েকটা পরিবার একত্রে মিলে আউটব্যাকে ঘুরতে যায় কিংবা দর্শনীয় স্থানে পরিবারের সকল সদস্য এক সংগে গিয়ে সময় কাটায়। ঈদের হৈচৈ তেমন দেখা যায় না। কারন হৈ চৈ করার বয়েসী বাচ্চাকাচ্চার সংখ্যা খুবই কম। আগেই বলেছি, এখানে বসবাসরত বাঙালীদের বেশীরভাগই এসেছে অভিবাসী।
অধিকাংশ বাঙালী সদ্য বিবাহিত কিংবা এখনো ওটা হয়ে উঠেনি। আর যাদেরওবা বাচ্চা আছে তারা বেশীরভাগই আক্ষরিক অর্থেই আন্ডাবাচ্চা। মাতিয়ে রাখার মতো বয়েস হতে এখনো ঢের বাকী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।