অামি ফয়সাল আহমেদ। বর্তমানে চর্বি ঝরানোর জন্য উপযোগী একটা খাদ্য দই। বিশেষ করে মেদ ভুড়িওয়ালা ব্যক্তিদের জন্য এটা বেশ কার্যকরী। এমনকি যারা ডায়েট করতে চান, কিংবা যারা শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে চান তাদের জন্যও এটা উপকারী। এটি লাচ্ছি, সালাদ, রান্নায় এমনকি ফল, মধু, বাদাম ইত্যাদি মিশিয়েও খাওয়া যায়।
দইয়ের কার্যকারিতা:
আপনি যদি এই খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ পুষ্টি পেতে চান তবে দিনের তিনবেলাই দই খেতে পারেন। এতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন আছে যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া দইয়ের বেশকিছু কার্যকারিতা নিচে দেওয়া হলো:
* এটা বিপাকীয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
* এটা খাবারের হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, পুরো স্বাস্থ্যের প্রদাহ হ্রাস করে এবং রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়।
* এটা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ।
* দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ বা অকাল বার্ধক্য করে।
* এতে আমিষ থাকে। আমিষজাতীয় খাদ্য হজম হতে সময় লাগে, তাই পেট ভরা বোধ হয় ও শক্তি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত খাবারও খেতে ইচ্ছা করে না।
* উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
কীভাবে খাবেন:
* হাফ কাপ ফ্রেস ফলমূলের সাথে অথবা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
* লাছ্ছি বানিয়েও খেতে পারেন।
* চিড়া-মুড়ির সাথে খেতে পারেন।
সুতরাং আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় কম ফ্যাটের এই দইকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।