আমি না হয় ভালবেসেই ভুল করেছি, ভুল করেছি। নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতায় খুন করেছি... এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সামান্য পরিমাণে যেসব লেখালেখি করেছি, সেগুলো আজ উল্টে পাল্টে দেখলাম। এবং দু:খজনক ব্যাপার হল হঠাৎ করে বুঝতে পারছি, ভণিতা বা তালবাহানা করা ছাড়া আমি প্রাসঙ্গিকভাবে লেখা শুরু করতে পারি না। অর্থাৎ আমার অধিকাংশ লেখার শুরুতে 'আজাইররা' কিছু কথাবার্তা চলে আসে কোন কারণ ছাড়াই। অথচ আধুনিককালে অযথা 'ভ্যাজর ভ্যাজর' করে লেখা শুরু করাটা একটা বাতিল ধারণায় পরিণত হয়ে গিয়েছে।
এখনকার যারা নিয়মিত লেখক তাদের লেখা দেখলেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। এ ধারণাটা ভালো। শুধু ভালো বললে কম বলা হয়। এটি চমৎকার একটি ধারণা। ক্রমাগত ক্ষুদ্র হয়ে আসা পৃথিবীতে কি দরকার এতো অযথা বাহুল্যের?
আমার ধারণা যে ভুল না তা মনে হয় এর মধ্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
এই যে- আমি আমার এ লেখাটার শুরুতেও কতো কথা বলে ফেললাম! যাই হোক, 'ব্যাপার না। '
বাদ সব কথা। প্রসঙ্গে চলে আসি।
আজকের দিনটা সম্ভবত সামান্য একটু বিশেষত্ব রাখে। শুধুই আমার কাছে।
কারণ গত বছরের এই দিনে আমি আমার আগ্রহের ঝুলিতে নতুন একটি কাজ যোগ করেছিলাম। তেমন অসাধারণ কিছু না। এখন অনেকেই এর সাথে যুক্ত- ব্লগিং।
ব্লগিং শব্দটার সাথে পরিচয় বেশ কিছু বছর আগে। আমার এক কাছের বন্ধুর ছোটমামাকে নিয়ে কোন কারণে কথা বলছিলাম।
তখন বন্ধুটি বলল, 'আমার মামা বেশ বিখ্যাত ব্লগার। ' আমি তখন ব্লগিং বা ব্লগার কি জিনিস- এসব জানতাম না। তার কাছ থেকে একটু আধটু জানতে পারলাম। এরপর খেয়াল করলাম, প্রথম আলো পত্রিকায় মাঝে মাঝে 'প্রথম আলো ব্লগ' এর বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। তারপর ব্লগিং নিয়ে আর কোন মাথা ব্যথা হয় নি।
পরের ঘটনা ভিন্ন। 'দৃষ্টি চট্টগ্রাম' নামে চট্টগ্রামে একটি সংগঠন আছে। সংগঠনটির কাজ মূলত বিতর্ক নিয়ে। যারা বিতর্কের সাথে জড়িত তারা মোটামুটি সবাই দৃষ্টি'র নাম শুনে থাকার কথা। আমি এ সংগঠনটির সাথে সরাসরি যুক্ত।
অর্থাৎ দৃষ্টি'র সাথে একটু আধটু কাজ করি। কয়েকবছর ধরে দৃষ্টি একটি ঘরোয়া বিতর্কের আয়োজন করে। নাম 'দৃষ্টি প্রিমিয়ার লিগ- ডিপিএল'। (এটা যে আই পি এল কর্তৃক উৎসাহিত সেটা নিশ্চয়ই বলে দেওয়া লাগবে না!) মূলত দৃষ্টির সদস্যরাই এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। আয়োজনের উদ্দেশ্য চমৎকার- বিতর্ক চর্চা।
সাথে সাথে নতুন কিছু শেখার চেষ্টাও থাকে সবার মাঝে। এককথায় অসাধারণ।
যাই হোক। গত বছর যে ডিপিএল হয়েছিল সেটিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। যেহেতু পুরো আয়োজনের উদ্দেশ্যই হল শেখার পরিধি বাড়ানো তাই বিতর্কের আগে কিছু লেখা পড়তে হতো।
লেখাগুলো ছিল বিভিন্ন ব্লগের কিছু ভয়ংকর লেখা। যতোদূর মনে পড়ে ঐ লেখাগুলো ব্র্যান্ডিং, কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ, বৈশ্বিক অর্থনীতি, বিশ্বায়ন, পরিবেশ বিপর্যয়, শ্রমবৈষম্য, জলবায়ু, একাত্তরে নারীর প্রতি সহিংসতা- এ ধরনের দাঁতভাঙা কিছু বিষয়ের উপর ছিল। (দাঁতের ব্যথায় কাতর হওয়ার ইমো)
দিনমজুর, রাগ ইমন, পি মুন্সী সহ আরো বেশ ক'জন ব্লগারের লেখা ছিল ওগুলো। কি সব কঠিন কঠিন লেখা। মাথা আউলায় গেল প্রায়।
ওগুলো পড়ে হঠাৎ করে বুঝতে পারলাম এ পৃথিবীতে প্রায় দেড়যুগ কাটিয়ে দেওয়ার পরও জীবনে কিছুই শিখতে পারি নাই, কিছুই জানতে পারি নাই এবং 'মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি' কিছুই করতে পারি নাই। মোটামুটি মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড়। বাধ্য হয়ে লেখাগুলা পড়লাম। এবং সত্যি করে বলতে কি শেষ পর্যন্ত ওগুলো খুব একটা খারাপ লাগে নাই!
এরপর আশানুরূপভাবেই ডিপিএল শেষ হল। কিন্তু সামহোয়্যারইনব্লগ ওয়েবসাইটটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লাম।
আমাদের অধিকাংশ লেখা ঐখান থেকেই দেওয়া হয়েছিল। প্রায় প্রতি রাতে বসে বসে কঠিন কঠিন লেখাগুলো পড়ি আর খুশি খুশি লাগে। সাথে সাথে একটু ইচ্ছাও জেগে ওঠে। সবাই তো লিখে। একটু লেখালেখির চেষ্টা করা যাক না।
দেখি কি হয়।
গত বছরের এই দিনটাতে খুলে ফেললাম একটি একাউন্ট। নাম দিলাম- 'এম চৌধুরী'। দু:খের বিষয়, অ্যাকাউন্ট খোলার পরদিনই বুঝতে পারলাম 'এম চৌধুরী' নামটা পুরাই বুড়ো মানুষের নামের মতো হয়েছে। কি আর করা।
ব্যস, শুরু হয়ে গেল নতুন একটি প্রচেষ্টা। তখন রমযান মাস। রাত ১২টার পর কম্পিউটারের সামনে বসে সেহেরীর সময় উঠতাম। এতোই ভালো লাগত ব্লগিং।
লেখার চেয়ে পড়তাম বেশি।
তবে লেখার ব্যাপারেও আগ্রহের কমতি ছিল না। লিখে ফেললাম প্রথম পোস্ট- "আসুন বিভ্রান্ত হই!!!" এখন এ লেখাটা দেখে বেশ মজা পেলাম। পুরাই বাচ্চা বাচ্চা লেখা।
সামহোয়্যারইনব্লগের নিয়মানুযায়ী আমাকে সাতদিনের অবজারভেশনে রাখার কথা বলা হয়েছিল। যদিও সাতদিনের কথা বলা হয়, আসলে এই মেয়াদের কোন আগামাথা নেই।
কারো কারো অবজারভেশন থেকে বেড়িয়ে আসতে ছয়মাসও লেগে যায়। সামহোয়্যারইনের আরো নির্দেশ ছিল- 'ভালো লেখা পোস্ট করুন। ' আমি তখন খুব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করতাম। উদ্দেশ্য ছিল ছোট কিন্তু বেশি সংখ্যক লেখা লিখে তাড়াতাড়ি পর্যবেক্ষণ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসা। এবং সম্ভবত আমি সফলও হয়েছিলাম।
কারণ প্রথম পাতায় প্রবেশাধিকার পেতে আমার তুলনামূলক কম সময় লেগেছিল।
কিন্তু চোখের সামনে সাতদিনের মূলা ঝুলিয়ে দেড় মাস আটকে থাকলে ধৈর্য্য হারা হওয়ার সম্ভাবনা কোন অংশেই কম না, বরং বেশিই। আর আমার মতো নির্বোধের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা আরো প্রকটভাবে কার্যকর। আর এ জন্যই পর্যবেক্ষণ থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে হঠাৎ খেয়াল করলাম সময় মোটেও ফুরোয় না। এবং তখনই উৎসাহ হারিয়ে যাওয়া শুরু করল।
মাঝখানে পরীক্ষাসহ আরো নানা কারণে ব্লগিং তো দূরে থাক, কম্পিউটার অন করে গুতাগুতি করাটাও বন্ধ ছিল। এরপর বেশ কিছুদিনের ব্যবধানে হঠাৎ একদিন সামুতে আসলাম। তারপরই চোখ ছানাবড়া।
মডারেশন স্ট্যাটাসে দেখি আমি তখনো ওয়াচ এ। কিন্তু আমার পোস্টগুলোতে মন্তব্য আর মানুষের আনাগোনার চিহ্ন! পুরাই হতবাক হয়ে গেলাম।
দেখা শুরু করলাম কে কি মন্তব্য করেছে। এবং একটু পরেই বুঝতে পারলাম এই রহস্যের কারণ হাসান মাহবুব। কম সংখ্যক অসাধারণ ব্লগারদের একজন। তিনি আমার লেখার লিংক তার ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। যার ফলে বেশ কিছু ব্লগারের 'হিটচিহ্ন' পড়ে আমার লেখায়।
হাসান মাহবুবের বৈশিষ্ট্য এরকমই। আমি যতোদূর দেখেছি আমার মতো আরো অনেক নিচের দিকের ছোটখাটো ব্লগারদের তিনি বেশ উৎসাহ দিতেন। এখনো দেন। ব্লগিং জীবনের ঠিক ঐ সময়টাতে তার এধরনের সমর্থন না পেলে মনে হয় এক বছর পর এই পোস্ট দেওয়ার জন্য আমি থাকতাম না। মানে 'এম চৌধুরী' নিকটি সম্ভবত অদৃশ্য হয়ে যেতো।
হামা'র জন্য একমুঠো ব্লগিয় ভালোবাসা। এ লোকটার লেখা অসাধারণ। আমি সবসময় তাকে বলি বইটই লিখতে। সে বলে, 'হ লিখুম। সামনে।
' আমি এই কসম খেয়ে বলে রাখলাম, উনি যদি বই লিখে প্রকাশ করেন প্রথম কপিটা আমিই নিবো। তবে ইয়ে...সৌজন্য কপি আর কি!
তখনকার সময়ে 'তুলনামূলকভাবে' আমার সবচেয়ে হিট লেখা ছিল- "একটি একপেশে (এবং মাথা গরম করা) কথোপকথন
রম্যরচনা ধরনের কিছু করার চেষ্টা থেকে এ লেখা। এমন অসাধারণ কিছু ছিল না। তারপরও বেশ ক'জন ব্লগারের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। তখন উৎসাহ আরো বেড়ে যায়।
আমি মোটামুটি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ছোটখাটো প্যারাডক্স, বই রিভিউ, স্যাটায়ার, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে ক্যাচাল, গল্প, বিজ্ঞান, গান, কবিতা, ছবিব্লগ- এসব নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবং শেষ পর্যন্ত যেটা আবিষ্কার করলাম তা হল আমাকে দিয়ে সম্ভবত এগুলার কোনটাই ভালো মতো হয় না।
যাই হোক, ব্লগিং চলতে থাকল। এক সময় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রবেশাধিকার পেলাম।
অন্যের লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ আসল। সুযোগের সদ্ব্যবহার কিভাবে করব সে বিষয়ে অনেক আগে থেকেই চিন্তা করতাম। তাই শুরু হল মন্তব্যের দৌড়। এবং মজার ব্যাপার হল আমি চরম পর্যায়ের ভাব নিয়ে মন্তব্য করতাম । দুমদাম যা আঙুলের ডগায় আসতো তা লিখতে কোন দ্বিধা ছিল না।
আর মানুষের ভুল ধরার ক্ষেত্রে অসাধারণ রকমের উৎসাহ পেয়ে বসল। অথচ আমি নিজেই খুব কমসংখ্যক নির্বোধদের একজন যারা পরিপূর্ণ সচেতন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভুল করে। আমার বেশি ভুল হয় মানুষ চিনতে। এবং এজন্য আমি ধরাও খেয়েছি।
এভাবে চলতে থাকলো সময়।
অনেক ব্লগারের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠল। ধীরে ধীরে একটা ছোটখাটো কমিউনিটি পেলাম। পোস্ট দেওয়া, মন্তব্য করা, মন্তব্যের উত্তর দেওয়া- চমৎকার কিছু সময় ছিল।
ব্লগিং এর প্রতি উৎসাহ বাড়তেই থাকল এরপর। নতুন নতুন ব্লগিং সাইটগুলোতে ঢুঁ মারা শুরু করলাম।
এরপর আমার ব্লগ, নাগরিকব্লগ, চতুর্মাত্রিক, আমরা বন্ধু, ওপেস্ট, আমার বর্ণমালা- এরকম আরো বেশ কিছু ব্লগে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিয়মিত পোস্ট দেওয়া হয় সামু আর চতুরে। এখন অবশ্য খুবই কম লিখি। সময়ের বড্ড অভাব।
ব্লগিং এর একবছরে উল্লেখ করার মতো একটা ঘটনা ছিল ব্লগার রাজসোহানের "তোমায় ভুলতে ঘুমের কাছে আশ্রয়" লিরিকটা নিয়ে গান করা।
তিনি প্রায়ই লিরিক টিরিক লিখেন। একদিন বিকেল বেলা সামুতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। রাজসোহানের লিরিকটা পড়লাম। তিন নাম্বার প্যারার লাইন চারটা পুরাই মুগ্ধ করে দিল। আমি তখন নতুন নতুন গিটার শিখছি।
লিরিক দেখে গিটার নিয়ে কিছু টুংটাং করতে করতে সুর হয়ে গেল। পরে বন্ধু রাতুলকে নিয়ে ভালোভাবে রেকর্ড করা হল। গান তারই গাওয়া। বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছিলাম। এ কাহিনী নিয়েই সোহান ভাই একটা পোস্টটা দিয়েছিলেন।
যারা দেখেন নি দেখতে পারেন। গানটাও ডাউনলোড করা যেতে পারে পোস্টে দেওয়া লিংক থেকে। আশা করি 'বদহজম' হবে না!
এরপর আরেকটা গান করেছিলাম। লিরিকের নাম "অন্য কোন রোদের মায়ায়"। আগের চেয়ে এটা আরো চমৎকার ছিল।
গিটারে টুংটাং করতে করতে সুর করে ফেললাম আবার। বন্ধুকে নিয়ে রেকর্ডিং হল। এটা নিয়েও পোস্ট দিয়েছিলেন সোহান ভাই।
তৃতীয় আরেকটা গান করেছিলাম। কিন্তু ঐটা নিয়ে রাজসোহান কোন পোস্ট দেয় নাই।
এজন্য উনারে মাইনাস। তিন নাাম্বারটার ডাউনলোড লিংক: http://www.mediafire.com/?12tt6a2l6ah3a7u
কেউ যেন মনে না করে এগুলাই একেবারে চূড়ান্ত। গানগুলো নিয়ে আসলে কাজ করার অসংখ্য জায়গা আছে। তবে রেকর্ডেড ভার্সানগুলোকে মূল কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যদি সম্ভব হয়, হয়তো কোন একদিন গানগুলো অন্য দশটা গানের মতো পরিপূর্ণভাবে কম্পোজ করা হবে।
অপেক্ষায় থাকলাম।
ব্লগিং চলতে থাকলো। মাঝে মাঝে একটা দুটো লেখা দেওয়া শুরু করলাম। বাকি সময়টুকু মন্তব্য করাটাই কাজ ছিল।
আরেকটি বলার মতো ঘটনা ছিল চতুর্মাত্রিকে স্টিকি পোস্ট (ঐ ব্লগের ভাষায় 'জাতীয় পোস্ট') পাওয়া।
মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের নিয়ে বেশ খাটাখাটনি করে বিশাল একটা লেখা লিখেছিলাম। কি মনে করে চতুর্মাত্রিকে আগে পোস্ট করলাম। পরদিন দেখি পোস্টটি স্টিকি হয়ে গিয়েছে। শেষে আর সামুতে লেখাটা পোস্ট করা হয় নি।
একজন বীরাঙ্গনা এবং একটি মুক্তিযুদ্ধ
এই লেখাটা দাঁড় করানোর সময় খুব কষ্টের মাঝে ছিলাম।
ইনফেকশন হয়ে আমার বাম কানের পর্দা ফেটে গিয়েছিল। হায়রে ব্যথা! কান দিয়ে রক্তটক্ত পড়ে হুলস্থুল কারবার। বড়ই যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। বিছানায় আধাশোয়া হয়ে এক পাশ করে শুয়ে এ লেখা লিখতে হয়েছিল। এখন কানের ব্যথার কথা মনে পড়ে গেল।
লেখাটা শেষ করবো। শেষ করার আগে দুটো গান শেয়ার করে যাই। একজন বন্ধুর পরামর্শে শোনা। চমৎকার দুটো গান। নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।
প্রথমটা So far away by Staind. বেশ কঠিন একটা গান। হার্ড রক ধাঁচের। লিরিক্সটা সুন্দর:
This is my life
Its not what it was before
All these feelings I’ve shared
And these are my dreams
That I’d never lived before
Somebody shake me
Cause I, I must be sleeping
(chorus)
Now that we're here,
It's so far away
All the struggle we thought was in vain
All the mistakes,
One life contained
They all finally start to go away
Now that we're here its so far away
And I feel like I can face the day
I can forgive and I’m not ashamed to be the person that I am today
These are my words
That I’ve never said before
I think I’m doing ok
And this is the smile
That I’ve never shown before
Somebody shake me
Cause I, I must be sleeping
(chorus)
I'm so afraid of waking
Please don't shake me
Afraid of waking
Please don't shake me
(chorus)
ডাউনলোড লিংক
পরের গানটা অন্যরকম। মেলোডি ধরনের। Avenged Sevenfold এর।
এ ব্যান্ডটার গানগুলো অনেক বেশি ভ্যারিয়েশনের হয়। খুব চমৎকার লাগে শুনতে।
Dear God by Avenged Sevenfold
A lonely road crossed another cold state line
Miles away from those I love, purpose hard to find
While I recall all the words you spoke to me
Can't help but wish that I was there, back where I'd love to be, oh yeah
Dear God, the only thing I ask of You
Is to hold her when I'm not around, when I'm much too far away
We all need that person who can be true to you
But I left her when I found her and now I wish I'd stayed
?Cause I'm lonely and I'm tired, I'm missing you again, oh no, once again
There's nothing here for me on this barren road
There's no one here while the city sleeps and all the shops are closed
Can't help but think of the times I've had with you
Pictures and some memories will have to help me through, oh yeah
Dear God, the only thing I ask of You
Is to hold her when I'm not around, when I'm much too far away
We all need that person who can be true to you
I left her when I found her and now I wish I'd stayed
?Cause I'm lonely and I'm tired, I'm missing you again, oh no, once again
Well, some search never finding a way
Before long they waste away
I found you, something told me to stay
I gave in to selfish ways
And how I miss someone to hold when hope begins to fade
A lonely road crossed another cold state line
Miles away from those I love, purpose hard to find
Dear God, the only thing I ask of You
Is to hold her when I'm not around, when I'm much too far away
We all need the person who can be true to you
I left her when I found her and now I wish I'd stayed
Cause I'm lonely and I'm tired, I'm missing you again, oh no, once again
ডাউনলোড লিংক
সবাইকে শুভ ব্লগিং! আশা করি বহুদিন সহব্লগারদের সাথে ব্লগিং করে যাবো। সবার প্রতিটি দিন সুন্দর কাটুক।
বি: দ্র: ব্লগার অন্ধ আগন্তুক একটু আগে জানালো ব্লগিং জীবনে এক বছর পূর্তি মানে নাকি হাফপ্যান্ট পরা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।