অকাট মূর্খ যাকে বলে আমি তাই। সুতরাং জ্ঞানীরা বেশি জ্ঞান দিলে আমি চাইয়া চাইয়া দেখা ছাড়া কিচ্ছু করতে পারিনা। পোড়া কপাল!!
পরিচালকঃ লুক বেসন (Luc Besson)।
আই.এম.ডি.বি. রেটিং : ৮.৬ / ১০।
ছবির দৈর্ঘ্যঃ ২ ঘন্টা ১২ মিনিট।
মুক্তির তারিখঃ ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৪(যুক্তরাষ্ট্র)।
কাহিনী সংক্ষেপঃ
পেশাদার খুনী লিওনের কেউ নেই। একা একটা এপার্টমেন্ট এ তার বাস। তার প্রতিবেশি পরিবারটির কর্তা ড্রাগ সম্পর্কিত ঘটনায় ডি.ই.এ.(ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সী)'র সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পরে এবং স্বপরিবারে নিহত হয়। কিন্তু ঘটনার সময় বাইরে থাকা ওই পরিবারের ১২ বছরের মেয়ে মাথিল্ডা বেঁচে যায় লিওনেরই বদান্যতায়।
শুরু হয় লিওনের সাথে তার বসবাস। বাবা, মা, বড় বোন কারো মৃত্যুর জন্যেই আক্ষেপ না থাকলেও মাত্র ৪ বছরের ছোট ভাইটার মৃত্যুর জন্যে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠতে চায় মাথিল্ডা'র মন। এদিকে পাথর হৃদয় লিওনের সাথে অপূ্র্ব এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাথিল্ডার। মাথিল্ডা লিওনের কাছ থেকে শিখতে চায় কিভাবে পেশাদারিত্বের সাথে খুনী হতে হয়। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা তাকে যে নিতেই হবে।
কিন্তু লিওন প্রথমে রাজি না হলেও শুষ্ক হৃদয়ে একটু খানি শান্তির ছোঁয়া এনে দেওয়া একগুয়ে মাথিল্ডাকে কতক্ষনই বা সে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে?তাই সে মাথিল্ডাকে দিতে থাকে ঠান্ডা মাথার দূর্ধর্ষ খুনী হওয়ার পাঠ।
একদিন মাথিল্ডা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে আসে তার পরিবারের হত্যাকারীর ঠিকানা। লিওনকে সে অনুরোধ করে তার হয়ে হত্যাকারীকে খুন করতে। এজন্যে সে লিওনকে, লিওনের রেটের চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকাও প্রস্তাব করে। কিন্তু লিওন জানে প্রতিশোধ পরায়নতা কত খারাপ জিনিস এবং তা মাথিল্ডার জন্য কতটা অমঙ্গল ডেকে নিয়ে আসতে পারে।
লিওন রাজি না হওয়াতে মাথিল্ডা নিজেই চলে যায় তার পরিবারের বিশেষ করে তার ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীকে চরম শাস্তি দিতে। কিন্তু এত ছোট মাথিল্ডা কি পারবে এত বড় কাজ করতে?আর লিওন যখন জানবে এই ঘটনা সেই বা তখন কি করবে?
প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয়েঃ
লিওনঃ জিন রেনো (Jean Reno)।
মাথিল্ডাঃ নাটালে পোর্টম্যান (Natalie Portman)।
স্ট্যানসফিল্ডঃ গ্যারি ওল্ডম্যান (Gary Oldman)।
টনিঃ ড্যানি আয়লো (Danny Aiello)।
শেষ কথাঃ
মাথিল্ডার চরিত্র অভিনয়কারীনি নাটালে পোর্টম্যান এর অভিনয় অসাধারণ লেগেছে। সুন্দর অভিনয় করেছেন জিন রেনো এবং গ্যারি ওল্ডম্যান। ছবির অসাধারণ গল্প এবং নির্মাণও লেগেছে অনবদ্য। বিশেষ করে ছবিতে লিওন এবং মাথিল্ডার সম্পর্কের প্রকৃ্তি এবং সীমারেখা অতি পরিচিত কিন্তু তবুও কিছুটা হলেও রহস্যের জন্ম দেয়। তাছাড়া একজন মানুষ যে নিজে একজন পেশাদার খুনী, সে নিজের রক্তের কেউ না এমন কাউকে কত ভালোবাসতে পারে, কতটুকু ত্যাগ করতে পারে তার জন্যে সেটা দেখতে পারবেন এই ছবিটা দেখলে।
একজন মানুষ খুনী হয়েই জন্ম নেয়না, নেয় মানুষ হিসেবে। কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে তাকে খুনী হতে হয়......। আর সারাজীবন সেই খুনের ফল ভোগ করতে হয়। কিন্তু মানুষ হিসেবে তার মানবীয় গুনটুকু থেকেই যায়। সে হয়তো অনেক জীবন নিয়ে যায়, কিন্তু ভালোবাসার জন্যে, মানবীয় গুনের জন্য কারো জীবন বাঁচাতে নিজের জীবনের বাজীও ধরতে পারে।
সবশেষে বলা যায় তেমন আহামরি গল্প না হলেও (গল্প তো আগেই বললাম) অভিনয় এবং নির্মাণের চমৎকারিত্বে ছবিটা প্রচন্ড ভালো লাগবে।
ছবির লিঙ্কঃ লিওন দ্য প্রফেশনাল।
সাবটাইটেলঃ লিওন দ্য প্রফেশনাল।
*রিপোস্ট! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।