আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

।। একখানি বলগ এর অপমৃত্যু ।।

ক্ষণকালের এ পৃথিবীতে সবচেয়ে সুস্পষ্ট ভবিষৎ "মৃত্যু"। তাই, এসো সে মৃত্যুকে মহান করে তুলি প্রতিদিন অন্তত একটি ভাল কাজের মধ্য দিয়ে। আমার মহাব্বতের মডু, পত্রের শুরম্ভে আমার আশির্বাদ লইবেন। আশা করি কৌমার্যের অবসান ঘটাইয়া ধৈর্যের সহীত ধর্ম ও কর্ম সাধন করিয়া যাইতেছেন। আমি আপনার বলগ রাজ্যের একজন গর্বীত বলগার।

পর সংবাদ এই যে, আমি গত ২১শে অগাস্ট আনুমানিক ৭:০০ ঘটিকায় একখানি পোছট করিয়াছিলাম । যাহার ট্যেএগ ধর্ম। বিষয়খানি ছিল একজন নভোচারিনীর ধর্মান্তর প্রসঙ্গে। বলগ খানির শিরোনাম রাখিয়াছিলাম " পুনশ্চঃ সেই অলৌকিক আলোর সন্ধানী " । প্রকাশ করিতে চাহিলে "প্রকাশ" বুতামে চাঁপিলাম।

আর যথারীতি সেই যাচাই এর জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়া কালো রাত পার হইয়া চাঁদ তাহার বাঁটী চলিয়া গিয়াছে। আফ্রিকা, আমেরিকা, জাপান, চিন দর্শন করিয়া নব্য রবির আগমন এই বাংলায় ঠিকই উদয় হইয়াছে। এবং তাহা শুধুমাত্র একবার নহে পুন: পুন: সংঘটিত হইয়াছে। আর আমি বাল্যকালে পড়া গুনিজনের বাণী স্মরণ করিয়া, ধৈর্যের ওপর ধৈর্য ধরিয়া আশায় বুক বাঁধিতে থাকিলাম।

দিন যাইয়া রাত্রি আসিতে থাকিল ঠিকই কিন্তু আমার বলগ খানি খুঁজিয়া পাইলাম না। প্রথ্থম দিবসে উহা প্রিভিউতে তিনবার পাইলাম বটে। কিন্তু তাহার পরে ইহা আর আমার নিকট দূশ্যমান হইলনা। বারংবার পেন্ডিং পোছটে ঢু মারিয়াছি কিন্তু হৃদয়ের আশা মোমেনশাহীর পথের মত সম্পূর্ণ ভাংগিয়া পড়িল। আমার কষ্টের ফসল খুঁজিয়া পাইলাম না।

আজি হইতে পাঁচদিন পূর্বের কথা কহিলাম ...। এই পাঁচদিনে একমাত্র উপগ্রহ শশাংক, ঠিকই তাহার দায়িত্ব পালন করিয়া ক্রমাগত বক্র হইয়া উৎসবের বাতাবরন লইয়া আসিতেছে। কিন্তু আমার বলগ আসিতেছেনা। অতঃপর, আপন পৃথিবীতে কাঠগড়া সাজাইয়া বিবেক বাবুকে জেলা ও দায়রা জজ এর পোছটে সাময়িক নিয়োগ প্রদান করিয়া এখন ভাবনায় পড়িলাম এই ভাবিয়া যে : উহাতে কি এমন কিছু বিদ্যমান ছিল যাহাতে বলগের নীতিমালা(যাহা গলমাল্যের মত, বলগে সকল সময় সংগে রাখিতে হয়) ছিড়িয়া গিয়াছে বা ঘর্ষনে চর্ম উঠিয়া গিয়াছে? যদি - উত্তর : না = ফলাফল : হ্যাঁ প্রকাশ। উত্তর : হাঁ = ফলাফল : না প্রকাশ।

বাংলাদেশের ১৮৭২ ষ্রীস্টাব্দের চুক্তি আইনে আচরনের দ্বারা চুক্তির স্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হইয়াছে। আমিও আপনার আচরনের স্বীকৃতিতে ইহা ধরিয়া লইতেছি যে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হইয়াছে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হইয়াছে। আপনার এই ভারচ্যুয়াল রাজ্যের আপনিই রাজা। আপনিই আমাকে নাগরিকত্ব দিয়াছেন, আপনার ঐশর্য মন্ডিত এই রাজ্যে। আর আমিও ধন্য হইয়াছি আপনার রাজ্যের বাসিন্দা হইয়া।

আর নিয়মের না লেখা সংবিধান অনুযায়ী এখন এ রাজ্যে আমার ভালোমন্দ দেখভালের দায়িত্ব বিধাতা আপনার কাঁধেই বর্তাইয়াছেন। এই অঞ্চলের আপনিই রাজা, আপনিই বিচারক এবং আপনিই বিচার কার্যকরকারি পুউঃলিশ। যদিও নির্বাহি বিভাগ হইতে বিচারকার্য পৃথক হইবার কথা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিজ্ঞানের সুধী(তাহারা সূদের কারবার করেন কিনা, আমার জানা নাই) মহলের পুরনো দাবী। তাহার পরও আমি আপনার কাছে বিনয়ের সহিত জানিতে চাহিতেছি : কি কারনে আমার পোছট খানি গৃহিত হইলো না ? আমি কি কোন নীতির মাল্য ধরিয়া, দস্যুতার সহীত টান দিয়াছি?? যদি দিয়া থাকি, তাহা হইলে উহা নীতি মাল্যের কোন ধারা জানিতে চাহি, হে মহান মডু ??? ধরিয়া লইলাম আমি আপনার রাজ্যের আইন লংঘন করিয়া দোষ করিয়াছি। তাহা হইলে প্রথমে আপনি আমার নিকট কারন দর্শানোর নোটিশ দিতে পারিতেন, ইহাকে সংশোধন(এডিট) করিবার জন্য পত্র পাঠাইতে পারিতেন।

ইহার পর সংশোধন না হইলে আমাকে স্বল্পমেয়াদে সাজা দিতে পারিতেন। কিন্তু ইহার কিছুই না করিয়া, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া আমার সে বলগ আপনি কি করিয়াছেন আপনি আর তিনিই জ্ঞাত আছেন। ইহাতে রাজ্যপক্ষের বিরম্নদ্ধে অপহরন(গায়েব করিবার জন্য) এর অভিযোগ আনিলে কি ভুল হইবে ?? আর আপনি কি করিয়া নিশ্চিত হইলেন যে ইহার একখানি প্রতিলিপি আমি সযত্নে আমার সিন্ধুকে রাখিয়া দিয়াছি!! কিন্তু আপনি উহা মূর্ছনা করিয়া ফেলিয়াছেন(ভাগ্যিস ইহা আমার লিখিত কোন সূদীর্ঘ কাইব্য, প্রবন্ধ বা মৌলিক বলগ ছিলনা)। ইহাতে আপনার বিরম্নদ্ধে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের অভিযোগ আনিলে কি ভুল হইবে ?? আর যদি আপনি আমার এই প্রতিবাদ পত্র প্রকাশ না করেন তাহা হইলে, আপনার বিরম্নদ্ধে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ কেন তুলিতে পারিবোনা ? আর আমি আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া বলিতে চাহিতেছি, আমার বলগখানিতে কোন ধর্মের বিরম্নদ্ধে বিষদগার ছিলনা। ইহাতে ছিলনা কোন মতাদর্শের বিরূদ্ধে কুট বাক্য।

ইহাতে ছিলনা কোন ব্যক্তিগত আক্রমন। আমি শুধুমাত্র আমার বিশ্বাসে(ধর্ম), কি কারণে আরেকজন মানুষ বিশ্বাসী হইলেন উহাই তুলিয়া ধরিয়াছিলাম। ইহাতে হয়তো আমার বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে না, এমন কোন ব্যক্তির গাত্রদাহ হইতে পারিতো। কিন্তু তাহা বলিয়াকি সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো না বলিয়া বিপরীত বলিব ? আর কাহারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসিলে বা সাজা দিবার পূর্বে তাহার পূর্ব কর্মকান্ড অপনার বিবেচনায় আনার দাবি থাকিল। আর মডারেশনের নাম করিয়া, বলগারদের মতের ওপর যত্রতত্র ছুরি চালনা, কতখানি যৌক্তিক তাহা আমার বোধগম্য হইতেছেনা।

কিন্তু, গালিগালাজ বা ব্যক্তিগত আক্রমন হইলে সে বর্ম চালাইতে পারেন। আর সেক্ষেত্রে আপনার নিকট সতর্ক বাণীর বর্ম, সাময়িক বহিস্কারাদেশ, ক্ষণকালীন স্হগীতাদেশ, ফাঁসির বর্ম প্রভৃতি অস্ত্র রহিয়াগিয়াছে। আর বাকিটুকু বলগারদের মাঝখানে যুক্তির যুদ্ধ, বুদ্ধির যুদ্ধ এর উপর ছাড়িয়া দিন। দেখিবেন জ্বিহবা, হস্ত, পায়ের বন্ধন হইতে ছুটিয়া আপনার প্রজারা যুক্তির কষ্টিপাথরে সত্যকে বাহির করিয়া আনিবে। আর তাহাই টিকিয়া থাকিবে।

পরিশেষে, আমি আপনার সুবিবেচনা ও সুদৃষ্টি কামনা করিতেছি। আর আপনার দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করিতেছি হৃদয়ের গভীর হইতে। আর দুয়োরের দোর গোড়ায়, যে ধামাকা খুশির উৎসব, সে খুশির আগাম শুভেচ্ছা রহিল। ইতি, আপনার রাজ্যের নিম্ন বর্ণের বলগার, মওদুদ মোমেন মিঠু ___________________________________________________ পুনশ্চ: মডু আমার এই লেখাটিও বলগে স্থান দেননি। পুন: পুনশ্চ: মডু এটা অভিযোগের পাতায়ও স্থানদেয়নি।

পুন: পুন: পুনশ্চ: মডু এ প্রতি-বাদ লিপি কেন বাদ দিলেন, সেটা জানতে চাওয়া অভিযোগটিও স্থান দেননি। ___________________________________________________ এটা একটি বলগে প্রকাশ করতে চাওয়া আমার একটি বলগের সাম্প্রতীক সময়ের ঘটনা বললাম। যেহেতু আমি সে বলগেরও একজন বলগার তাই আমারও দায়িত্ব রয়েছে সে বলগের সম্মান রক্ষা করার। তাই নামটা বললাম না। কিন্তু বলগারদের অধিকারের ব্যপারে মডুদের (যে কোন বলগ) আরও সচেতন হবার প্রয়োজন।

আমরা এক একজন বলগাররা অনেক দামের সময় খরচ করে, পরিশ্রম করে, বিট বাইটের পেছনে পয়সা পুড়িয়ে বলগইন করি....সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আর তোমাদের এ আংগিনাকে সাজাতে, ফুলে-ফলে-ফসলে ভরিয়ে দিতে আমাদের পাগলামির শেষ নেই। বলগাররাই বলগ নামক ক্ষেতের ধান গাছ। কৃষক নামের মডু যদি সকল গাছের সুষম যত্ন নিতে না পারেন তাহলে, মড়ক লেগে আস্তে, আস্তে সব পচে যাবে। তাই, নতুন মানুষ পেয়ে অমাদের অভাব অভিযোগের কানে তুলো দিও না তোমরা।

তাই সকল মডুদের বলগারদের অধিকারের ব্যপারে আরও সচেতন হওয়ার দাবি করছি। এবং বলগারদেরও সচেতন হবার প্রয়োজন। ___________________________________________________ কি এমন অপাঙক্তেয়, ঘৃণ্য বাণী তাতে ছিল ?? ইহা আমি এখানেও পোছট করেছি। অমাকে থাবড়াইতে, থুতু দিতে, ঘৃণা করতে ও ভারচুয়ালি পিটিয়ে হত্যা (হালে খুব মার্কেট পাইছে) করা, অধবা গালভরে ভিলেনদের বকা দিবার উপাদান খুঁজে বের করতে দেখুন : আমাকে চাপুন, তবে টিউবয়েলের মত নয় ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।