আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাঙচুরকারীদের পিএসসির অধীনে চাকরি হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোটা-পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যারা ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও স্থাপনা ধ্বংস করেছে, তাদের পিএসসির অধীনে কোনো চাকরি হবে না। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। ছবি দেখে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যারা ভাঙচুর করে, তারা কিসের মেধাবী? মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে যারা খাটো করে দেখতে চায়, তাদের চাকরি পাওয়া অধিকার নেই। ’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক বিকেল পাঁচটার দিকে শুরু হয়ে ইফতারের আগ পর্যন্ত চলে।
সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা যদি ঝুঁকি নিয়ে দেশ স্বাধীন না করতেন, তাহলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) চালুই হতো না। তাঁদের অবদানকে খাটো করার জন্য কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে বাঙালি কেউ সচিব হতে পারত না।

সেনাবাহিনীতে বাঙালিরা কর্নেলের ওপর পদোন্নতি পেতেন না। তিনি বলেন, ‘মেধাবীদের জন্য সর্বোচ্চ কোটা আছে। মেধাবী ছাত্ররা গাড়ি পোড়ায় না। উচ্ছৃঙ্খল হতে পারে না। এরা কি চাকরি পাওয়ার যোগ্য? চাকরিতেও তারা এ রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করবে।

তাদেরকে যারা উসকানি দিচ্ছে তারা কি আগামীতে রাজাকার-আলবদর কোটা দিয়ে দেশ চালাবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের সুযোগ আওয়ামী লীগই করে দিয়েছে। বিনা মূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আন্দোলন করে অন্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ঠিক না। যারা গাড়ি ভাঙচুর করে, স্থাপত্য ভাঙচুর করে তারা কতটুকু মেধাবী? তাদের মেধা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমার এ কথার পরে অনেকেই অনেক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন।



জাতি চাইলেও বিচার চায় না বিএনপি
যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়ায় বিরোধী দলের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের রায় নিয়ে বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করছে না। এতেই প্রমাণ হয় যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে। সমগ্র জাতি যেখানে বিচার চায়, তখন বিচার চায় না শুধু একটি দল, তার নাম বিএনপি। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধে যারা হরতাল দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে; তারা ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করে, অথচ রোজার মাসে হরতাল দিচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে, বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করছে।

হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, জাতি তাদের বিচার করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধীর বিচার হবে। সংবিধান মানলে বিচার মানতে হবে। রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে আপিল করতে পারবে। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল দেওয়া অপরাধ।



আ.লীগ জয়ী না হলে মেয়েরা চাকরি হারাবে
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ধর্মের নামে মেয়েদের আয়-উপার্জনের পথ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিএনপি এর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করছে না। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী না হলে লাখ লাখ মেয়ে চাকরি হারাবে। যুবকরা আবার সন্ত্রাসের পথে চলে যাবে। হাওয়া ভবনের মতো হয় তো অন্য নামে নতুন ভবন হবে।

রাজনৈতিক নেতাদের আবার হত্যা করা হবে। দেশ আবার অন্ধকারে চলে যাবে।

ঈদের পর সাংগঠনিক সফর শুরু
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আলোচনা সভা হবে। এ ছাড়া দলকে তৃণমূলে সক্রিয় করতে ঈদের পর দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে সক্রিয় হতে হবে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দিতে হবে, মুখ খুলতে হবে। বিএনপির অপকর্ম মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। একইভাবে সহযোগী সংগঠনগুলোকেও সক্রিয় করতে হবে। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী সাংগঠনিক সফর শুরুর আগে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।


বৈঠকে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।