My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home এ কথা সত্য যে, মানুষ কিংবা প্রাণীকূল সৃষ্টির পূর্বে বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সম্পূর্ন একা ছিলেন, তিনি চাইলে কোন কিছু সৃষ্টি না করে সবকিছুই শূন্য রাখতে পারতেন৷ কিন্তু শূন্যতা যেহেতু অনসত্মিত্বশীল বস্তু, এই বস্তুর যেহেতু কোনই তাত্পর্য নেই তাই বিশ্বস্রষ্টার কূদরতি চিনত্মা চেতনায় শূন্যতা পূরনের একটি বিশেষ চিনত্মার উদগত হয়৷ কূদরতি এই চিনত্মা চেতনা থেকে তিনি মানুষ এবং মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে সুসামঞ্জস্যতার বিধান অনুসরন করে প্রকৃতির জগত এবং মহাকাশ সৃষ্টি করেন৷ সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেসত্মা সৃষ্টি করলেন শুধুমাত্র আনুগত্যের অনূভুতি দিয়ে পক্ষানত্মরে মানুষ সৃষ্টি করেছেন ইতিবাচক চিনত্মার একটি অনত্মরায় বস্তু এবং নৈতিবাচক চিনত্মার একটি অনত্মরায় বস্তু দিয়ে৷ মানুষের সহজাত প্রকৃতির সঙ্গে প্রকৃতিগত সমতা রক্ষা করে শক্তিমান এই দুইটি বস্তু সৃষ্টি করায় মানুষ সহজেই মনোজগতে প্রথিত দুইটির যে কোন একটির সহজেই আনুগত্যে করতে পারে৷ মানুষ তার অসীম ক্ষমতা বলে যে কোন সময় একটিকে বিপর্যসত্ম অন্যটিকে রক্ষা করতে পারে৷ পবিত্র কুরআনের ভাষায় মহাসত্যের দিকে ধাবমান বস্তুটিকে বলা হয় রুহ এবং পাপাচারের দিকে ধাবমান বস্তুটিকে বলা হয় নফস৷ শয়তানকেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই দুইটি বস্তু দিয়েই সৃষ্টি করেছিলেন যার প্রেক্ষিতে তারা মহান সৃষ্টিকর্তার এবাদত করে যাচ্ছিল অতপর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বিশেষ আদেশ অমান্য করায় রূহ কলুষিত হয় যার ফলে রূহের উপর নফসের বিজয়ী হয়৷ পবিত্র কুরআন অনুযায়ী আল্লাহ যেহেতু নিরপেক্ষ মহান বিচারক সেহেতু যুক্তিসংগত কারনেই শয়তানের হৃদয়রাজ্যে রুহের বস্তুগত শক্তিটুকো অবশিষ্ট রেখে এর ঈমানী শক্তি ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং চিরস্থায়ীভাবে অন্তুরজগতে শুধু নফসের শক্তিকে বিজয়ী করেছেন৷ প্রকৃতিগতভাবে রুহ যেহেতু ঈমানী পথের পথিক তাই অনত্মরজগতে এই আধ্বাতি্বক সত্বার অনুপস্থিতি হচ্ছে একটি বিরাট শূন্যতা ! অনত্মরজগতে আধ্বাতি্বক সত্বার বিরাট এই শূন্যতার কারনে শয়তান সমপ্রদায় চাইলেও কখনো আর ঈমানী পথে আসতে পারবে না, পবিত্র কুরআনে আত্বার এই অবস্থাটিকে সীল মোহর নামে অভিহিত করা হয়েছে৷ এরশাদ হয়েছে "তাদের অনত্মকরনে রয়েছে সীলমোহর আর তাদের জন্য এজন্যই রয়েছে বিরাট শাসত্মি৷ দূর্ভাগ্য যে, উক্ত আয়াতে মানব সমপ্রদায়ের কথা বর্নিত হয়েছে ! উক্ত আয়াতের আলোকরশ্মী পৃথীবিতে এমন কতিপয় লোকদের মুখোষ আলোকিত করে দিচ্ছে যাদের আত্বার অবস্থাটি উপরে বর্নিত শয়তানি আত্বার অনরূপ ! পবিত্র কুরআন অনুযায়ী বিশেষ এই শ্রেনীটি যেমন রয়েছে অমুসলিম সমপ্রদায়ের মধ্যে, রয়েছে মুসলিম সমপ্রদায়ের মধ্যেও, অর্থাত্ মানবগোষ্টির মধ্যে এই বিশেষ শ্রেণীটি চাইলেও আর কখনো সৃষ্টিকর্তার পথে আসতে পারবে না ! হতভাগ্য এই আত্ববিষ্মিত সমপ্রদায়ের চেয়ে বিপদগ্রস্থ আর কেহই নেই এইজন্য যে, এদের জন্য অননত্ম কালের শাসত্মী আসন্ন৷ একটি মাত্র আপরাধের কারনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের অনত্মরজগতে মোহর অংকিত করে দেন সেই অপরাধটির নাম হচ্ছে মানুসিক দাসত্ব ! মানুসিক দাসত্বের তিনটি সত্মর রয়েছে, প্রথম সত্মরে রয়েছে সেই সমসত্ম মানুষ যারা মানুসিক দাসত্বকে জীবনের স্বাভাবিক নীতি হিসাবে গ্রহণ করেছে তাদের নিকট স্রষ্টাপ্রদত্ব জীবনদর্শনের কোনই মুল্যে নেই, ব্যবহারিক জীবনে তারা যেমন এই দর্শন অনুসরন করার প্রয়োজীয়তা অনুভব করেনা, মানবজীবনে এর কোন তাত্পর্য রয়েছে কিনা সেই অনূভুতিও এদের নেই৷ কখনো তারা কিছু এবাদত করে থাকলেও সেগুলো করে থাকে হয় বস্তুগত কোন স্বার্থ উদ্ধার করার লক্ষ্যে অথবা সামাজিকতা রক্ষা করার লক্ষ্যে৷ এই সমসত্ম লোকদের একটি বিরাট অংশ রয়েছে মুসলিম সমপ্রদায়ের মধ্যে যাদেরকে পবিত্র কুরআন আত্ববিষ্মিত জাতী রূপে অভিহিত করেছে৷ পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে "মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা বলে আমরা আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর ঈমান এনেছি অথচ তারা ঈমান আনেনি" মানুসিক দাসত্বের দ্ধিতীয় পর্যায়ে রয়েছে সেই সমসত্ম লোক যারা নেক আমলের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অসত্কর্মও করে থাকে যেমন মিথ্যা বলা, ঘুষ নেওয়া দেওয়া, মানুসের সঙ্গে অসত্ আচরন করা, হিংসা বিদ্বেস পোষন করা, অন্যের গীবত করা, অহংকার করা, মাতা পিতার সঙ্গে সদ্ধবহার না করা, যাকাত আদায় না করা, রিন পরিশোধ না করা, অন্যের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রতারনা করা সহ কবিরা গোনাহের অনত্মর্ভুক্ত প্রায় কর্মগুলো৷ এদেরকে কুরআন এভাবে সতর্ক করে দিয়েছে "তোমরা কি কুরআনের কিছু অংশ মান আর কিছু অংশ অমান্য কর ? এই গর্হিত কর্মনীতির পথ যারা অবলম্বন করবে দুনিয়ার জীবনে যেমন রয়েছে লাঞ্চনা এবং পরকালে রয়েছে বিরাট শাসত্মী" এই সমসত্ম লোক যদি এহেন গর্হিত কর্মনীতি থেকে নিজের আত্বাকে পরিশুদ্ধ না করে তাহলে পবিত্র কুরআন অনুযায়ী তাদের জন্য দুনিয়াতে যেমন শাসত্মী রয়েছে এবং রয়েছে পরকালেও ভয়ংকর শাসত্মী৷ মানুসিক দাসত্বের তৃত্বীয় পর্যায়ে রয়েছে এমন কতিপয় লোক যারা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে এবং অসত্ কর্মনীতি বর্জন করে চলার চেষ্টা করে কিন্তু অপরিহার্য এমন কতিপয় সত্কর্মনীতি বর্জন করে চলে যে সমসত্ম কর্ম সম্পাদন করার জন্য মুসলিম উম্মাহকে আদেশ দেওয়া হয়েছে যেমন সাধ্য অনুযায়ী ধর্মের প্রচার প্রসার, সত্কর্মের আদেশ এবং অসত্ কর্ম থেকে মানুষের সচেতন করা, পরিবারকে ঈমানী পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করা (পরিবারকে ধর্মহীন করে রাখা কিংবা তাদেরকে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার ব্যপাড়ে উপযুক্ত করে তৈরি না করা অত্যানত্ম গর্হিত একটি কর্মনীতি) পবিত্র কুরআন অধ্যায়ন করলে এমন আরও কতিপয় সত্কাজের উল্লেখ পাওয়া যায় যে সমসত্ম কর্ম সম্পাদন করার জন্য মুসলিম উম্মাহকে আদেশ করা হয়েছে যেগুলোর প্রতি এদের কোনই ভ্রক্ষেপ নেই, এই সমসত্ম লোকদের ক্ষেত্রে এরশাদ হয়েছে "আমরা ঈমান এনেছি তোমরা কি মনে করেছ একথা বললেই তোমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে" অনত্র এরশাদ হয়েছ "তোমরাই হলে শ্রেষ্ট জাতী৷ তোমাদের প্রেরন করা হয়েছে মানুষের কল্যানের জন্য, তোমরা সত্কর্মের আদেশ দিয়ে থাক এবং অসত্ কর্ম থেকে মানুষকে বারন কর এবং আলাহর উপর ঈমান আন" এক জায়গায় প্রত্যেক মুসলিম অভিবাবককে উদ্দেশ্য করে এরশাদ হয়েছে "তোমরা তোমাদের পরিবার পরিজনকে সত্ উপদেশের মাধ্যমে জাহান্নামের অগ্নী থেকে বাচাও যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর" অন্য এক জায়গায় পরিবারকে ঈমানের পথে পরিচালনা না করাকে অভিবাবক এবং সেই পরিবারের সকলের জন্য সুষ্পষ্ট ক্ষতিরূপে অভিহিত করা হয়েছে৷ এই সমসত্ম লোক যদি গুরত্বপূর্ন এই দায়িত্বগুলো সম্পাদন না করার জন্য মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করে মৃতেু্য বরন করে তাহলে তারাও পরজগতে শাসত্মীর সম্মুখিন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ মানুসিক দাসত্বের চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছে এমন কিছু লোক যারা পরিপুর্নভাবেই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে কিন্তু মাঝে মধ্যে অসতর্কতাহেতু কিংবা মানবিক দূর্বলতার বশিভর্ূত হয়ে কোন ছোট কিংবা বড় গোনাহের কাজ করে বসে অতপর তাদের বিবেচনা শক্তি পূনরায় জাগ্রত হয়ে যায় যার ফলে তারা আলাহর নিকট বিনয়ের সহিত ক্ষমা প্রার্থনা করে, মুমিনদের এই অবস্থাটিকে এক ধরনের মানুসিক বিভ্রানত্মিও বলা যেতে পারে৷ পবিত্র কুরআনের কিছু আয়াত ও কিছু হাদিসে এই সমসত্ম লোকদের তিরস্কার করা হলেও সামগ্রিক বক্তব্য এদেরকে ইহজগতে শানত্মি ও পরজগতে ক্ষমা ও পুরস্কিত করার পক্ষেই রয়েছে৷ তবে ইহজগতে এই সমসত্ম ঈমানী ভারসাম্যহীন কর্মনীতির জন্য আত্বার প্রশানত্মি বিপর্যসত্ম হয় কিংবা মানুসিক অস্থিরতা ভোগ করতে হয় যার ফলে ইহজগতে তাদের সকল ইতিবাচক কর্মে ভারসাম্যহীনতা পরিলক্ষিত হয় এবং বিভিন্নভাবে জাগতিক ক্ষতিরও সম্মুখিন হতে হয়৷ পরবর্তি বংশেও এই প্রশ্নবিদ্ধ কর্মনীতির নৈতিবাচক প্রভাব থেকে যায়৷ Visit to Natural Health Advice http://health-advice.tk/
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।