আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূল্যসূচকের বড় পতন লেনদেনও কমেছে

দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৪ শতাংশ বা ১৮৬ পয়েন্ট কমেছে। নতুন সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ৬১ পয়েন্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ২০৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের ব্যাপক দরপতনই সূচকের বড় ধরনের পতনের মূল কারণ।

পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে সরকারি কোম্পানিগুলোর দরপতন। দুইয়ে মিলে সূচকের বড় ধরনের পতন ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও জানান, তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানিগুলোর আরও অধিকতর শেয়ার বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, এমন খবরে সরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। যদিও দিন শেষে এ ধরনের খবরের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানির অধিকতর শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বা আলোচনা হয়নি।


জানতে চাইলে সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামীণফোনের শেয়ারের দামের হ্রাস-বৃদ্ধির বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে সূচকে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে, যার নেতিবাচক প্রভাবে সূচকেও বড় ধরনের পতন হয়। গ্রামীণফোন অন্তর্বর্তীকালীন যে লভ্যাংশের ঘোষণা ও আয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে, তা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারের এই দরপতন হয়েছে।
মার্চেন্ট ব্যাংক কসমোপলিটন ফিন্যান্সের বাজার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘শুধু গ্রামীণফোনের কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। ’
মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের কারণে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর কোনো ধরনের সীমা আরোপিত ছিল না।

সেই সুবাদে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ শতাংশ বা ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা।
গ্রামীণফোনের অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ও আয়ের তথ্য গতকাল ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়। এ ছাড়া বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২০১৩ সালের জুন মাসের অর্ধবার্ষিক হিসাব শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দেখানো হয়েছে তিন টাকা ৭৮ পয়সা।

২০১২ সালের একই সময়ে ইপিএস ছিল সাত টাকা ১৬ পয়সা। আয় কমে যাওয়ায় গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের দামেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৫২ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩৫ কোটি টাকা কম।
চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকা, যা আগের দিনের প্রায় সমপরিমাণ। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.