আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘২৮ শে ফেব্রুয়ারী ও ৫ ই মে গণহত্যার ইন্ধনদাতাদের বিচার কার্যকর করার ম্যান্ডেট নিয়ে বি এন পি-জামাতের নির্বাচনে যাওয়া ও প্রাধিকার কোটা’

ভাল। মানুষ আসলেই রক্ত দিয়ে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়। কারো বাহাদুরি পৃথিবীতে বেশি দিন টেকে নাই । চেঙ্গিস, বাটু খান , হাজ্জাজ বিন ইঊসুফ , তারিক , সালাদ্দিন , হিটলার , ,রাশিয়ান জার , হাল আমলের এরশাদ। কোটা কমানোর আন্দোলন কারীদের কে জননেত্রী আজকে যে হুমকি দিয়েছেন তাতে আমি মোটেও বিচলিত নই , কারণ আমি নিশ্চিত সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে, তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে সুষ্ট নির্বাচন হলে ,তিনি আগামি পাঁচ বছরে আর ক্ষমতায় থাকবেন না।

কাজেই বাহাদুরি ,এই বড় বড় মুখ নিয়ে কথা ,ছবি দেখে দেখে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসছে না। কিন্তু এই ঘোষণার মাধ্যমে যে বিষয় টা স্পষ্ট হল সেটা হচ্ছে ৩৪ তম কোটা সার্ভিস কমিশনে অংশ গ্রহণ কারী প্রায় তিন লক্ষ বেকারের (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রা বাদে)এক ভোট ও তিনি পাচ্ছেন না । নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি দেশে হয়, গুহা মারা খাওয়ার সাথে সাথে আওয়ামীলীগ কে সবচেয়ে বেশি যে জিনিষ টা পীড়া দেবে সেটা হচ্ছে , ৫ই মে এবং ২৮ শে ফেব্রুয়ারী শিবির ছানা দের নির্বিচারে গণহত্যার রায় কার্যকর করার সম্ভাবনা । আমার যত দূর ধারণা, আওয়ামি লীগ যেমন এর আগের বার জানত, তারা নির্বাচনে জিতবে তাই জামায়াত কে স্বায়েস্তা করার জন্য রাজাকারের বিচারের বিষয় টি নির্বাচনী ইস্তেহারে জুড়ে দেয়। একই কাজ বি এন পি ও করবে ।

কারণ বি এন পি জামাতের উপর গণতান্ত্রিক ভোটের কারণে নির্ভরশীল । রাজপথে জামাত থেকেছে বি এন পি থাকে নি, কাজেই তাদের আবদার ও একটা কারণ হতে পারে । এবং জামাত যে কাজটা করবে সেটা হচ্ছে বি এন পির জনপ্রিয়তা থাকতে থাকতেই সরকারের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠণ করে গণহত্যায় উস্কানি দাতা মুজাহিদ দের মত যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের ফাঁসির রায় ও কার্যকর করার প্রশ্নটি জোরে শোরেই উঠে আসবে। যেহেতু আমি বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ও না , নারী ও না ,আরবি জানিনা , ছাত্রলীগের ট্যাগ খাওয়া - কুত্তার বাচ্চা প্রভৃতি, তাই আমার লেখা প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং সরকারি চাকুরি পাওয়ার প্রশ্ন ও আসে না। আপনার আসে? যখন প্রাণভরে স্বাধীন মুক্ত বাতাস নিতাম, খোলা আকাশের দিকে তাকালেই চোখে ঝাপসা হয়ে আসত , তখনও চিন্তাও করি নাই বাংলার বাতাসে এত সীসা , আকাশে এত বাঁধা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।