প্রবাদে আছে, 'যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন। ' এবার আর ছাই থেকে অমূল্য রত্ন নয়, মোমবাতির শিখা থেকেই নাকি অতি মূল্যবান হীরা পাওয়া সম্ভব_এমন দাবি করেছেন স্কটল্যান্ডের সেন্ট এন্ড্রুস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। এ গবেষণা প্রতিবেদন কেমিক্যাল কমিউনিকেশন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছেন, মোমবাতির টিমটিম করে জ্বলা শিখা থেকে প্রতি সেকেন্ডে হীরার ১৫ লাখের মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ন্যানোকণা নির্গত হয়। এসব কণা নির্গত হওয়ার পরই হাওয়ায় মিশে যায় বলে খালি চোখে দেখা যায় না।
এ প্রসঙ্গে গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক ওয়াং জু বলেন, এসব হীরার কণা সংগ্রহের কৌশল যদি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়, তাহলে হীরা তৈরির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ফলে সস্তায় মানুষ হাতের নাগালে পাবে মূল্যবান ধাতু হীরা।
রসায়নশাস্ত্রের বিজ্ঞানী ওয়াং বলেন, 'দুঃখজনক হলো, মোমবাতির শিখা থেকে হীরার কণা নির্গত হয়ে কার্বন ডাই-অঙ্াইডের সঙ্গে মিশে বাতাসে উড়ে যায়। কিন্তু এর পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হতে পারে। অগি্নশিখায় হীরার কণা যে দেখা যায়, তা আমার গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে।
এই তথ্য-উপাত্ত থেকে কী পদ্ধতিতে এসব হীরার কণা একত্র করা যায়, এ বিষয়ে চিন্তার সুযোগ পাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।