স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই.......
লিওনেল মেসির শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে স্পেনিশ সুপার কাপ ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা। অবশ্য বার্সাকে ড্র করলেই চলত। কারন ১ম লেগের খেলায় রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বার্সা ২-২ ড্র করেছিল। তাই ফিফার হিসেব মতে নিজের মাঠে ড্র করলেই জয়ী হবে বার্সা। তবে ড্রয়ের আর প্রয়োজন হয় নাই, নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে মেসির জাদুতে ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ২০১০/২০১১ ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
খেলাটি বাংলাদেশের এমন এক সময়ে শুরু যখন সবাই সেহরি খেতে ঘুম থেকে উঠে, ঠিক রাত ৩:০০টায়। তাই প্রায় ফুটবল প্রেমিকরা খেলাটি মিস করেন নাই। যারা মিস করেছেন তাদের জন্য আমার এই লেখা।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে হোসে মরিনহোর দলকে ৩-২ গোলে হারায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এর আগের খেলাটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিলো।
ফলে দুই খেলা মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-৪ এবং তা বার্সেলোনার পক্ষে।
মঙ্গলবার বার্সার পক্ষে দুটি চমৎকার গোল করেছেন আর্জেন্টাই তারকা লিঁও মেসি। অন্যটি আসে আন্দ্রে ইনিয়েস্তার পা থেকে। অবশ্য ১ম গোলটাতেও মেসির পায়ের জাদু দেখা গেছে। খেলার ১৪ মিনিটের সময় রিয়ালের ৫/৬ জন খেলোয়াড়ের পাশ কেটে একেবারে খালি জায়গায় ইনিয়েস্তার পায়ে বল তুলে দেন মেসি।
আর ইনিয়েস্তাও ভুল করলেন না। তিনিও গোল কিপার ক্যাসিয়াস কে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে রিয়ালও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তার প্রমান পায় খেলার ১৯ মিনিটের সময়। করিম বেনজেমার চমৎকার পাস থেকে বল জালে পাঠিয়ে দেন সার্জিও রামোস ১-১।
অবশ্য রেফারির দৃষ্টিতে গোলটা রোনালদোর নামে ধরা হয়। আর অন্যদিকে বার্সার খেলোয়াড়রা অফ সাইড বলে চিৎকার দিচ্ছেন। কিন্তু সাইড রেফারি সেটা ধরতে পারলেন না।
যখন খেলা ১-১ নিয়ে বিরতিতে যাচ্ছিলো, তখনি মেসির গোলে আবারো এগিয়ে যায় বার্সা ২-১।
বিরতির পর ধারুন এক জটলা থেকে গোল করে রিয়াল কে ম্যাচে ফেরান করিম বেনজেমা ২-২।
ড্র নিয়েই যখন ম্যাচ শেষ হচ্ছিল তখনই মেসির আবার কারিশমা। খেলার ৮৭ মিনিটের সময় আর্সেনাল থেকে আনা স্পেনের তারকা খেলোয়াড় ফ্যব্রিগাসের দুর্ধান্ত এক পাসে বল পায় মেসি। মেসি আবার বল পাঠিয়ে দেয় আদ্রিয়ানোকে। আদ্রিয়ানো রিয়ালের একজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বল ঠেলে দেন আবারো মেসির কাছে। এবার আর কোন পাস নয়, সরাসরি বল রিয়ালের জালে পাঠিয়ে দেন মেসি, ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা আর মেসির হয়ে যায় ম্যাচের ২ গোল।
অবশ্য এই বল ঠেকানোর মত কোন কিছুই করার ছিল না ক্যাসিয়াসের। কারন মেসির শর্টটি দুর্ধান্ত গতিতে জালে চলে যায়।
ম্যাচের শেষ দিকে রিয়ালের আগের স্বভাব অনুযায়ি ঝগড়া শুরু করে দেয়। আর তাতে লাল কার্ড খেয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় মার্সেলো। খেলায় রোনালদো সহকারে রিয়ালোর প্রায় ৫/৬ জন হলুদ কার্ড খায়।
youtube goal highlights ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।