আমি নিশাচর স্থাপনা চাই না, মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে খোলা মাঠ চাই। এ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। তবে মুক্ত বাতাসের জন্য খোলা মাঠের অভাব আছে। ঢাকা নগরী এখন দিন দিন অভিশপ্ত হয়ে উঠছে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে সবুজবাগ বালুর মাঠকে কেন্দ্র করে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ১৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে,কিন্তু খোলা মাঠ আছে মাত্র একটি ... আমরা অনেক পরিশ্রমে সবুজে সবুজে সাজিয়েছি এই মাঠ।
শুধু প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেব বলে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এলাকার একমাত্র মাঠটি বাঁচাতে প্রয়োজনে আমরা জীবন দেব। ' কথাগুলো বলছিলেন বাসাবোর মায়াকানন এলাকার ষাটোর্ধ্ব রাজিয়া বেগম। তার মতো এমন অনেকের একই অভিমত। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছয়টি মহাবিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন বাসাবো বালুর মাঠের এক একর জমিকে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করে। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, তারা মাঠ সংকোচন করে কোনো স্থাপনা চান না। মাঠ রক্ষায় তারা সরকারের সহযোগিতা চান। সূত্র জানায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১২ একর খাস ডোবা ভরাট করে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এই মাঠ নির্মাণ করে। ২০১০ সালে সরকার এই মাঠের এক পাশে একটি ডাকঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
কিন্তু এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এর আগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখানে একটি অস্থায়ী বাজার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরিবেশ-সচেতন এলাকাবাসীর আন্দোলনে গত সপ্তাহে ঢাকা সিটি করপোরেশন তা ভেঙে ফেলে। তবে চারপাশে দখলের কারণে ১২ একর মাঠ এখন পরিণত হয়েছে ৯ একরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাসাবোতে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩০টি। এলাকাবাসী জানায়, বাসাবো এলাকার তিনটি ওয়ার্ড ও দুটি ইউনিয়নের চার লাখ বাসিন্দার নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা এই মাঠ। বছরের বিভিন্ন সময় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পালনসহ দুর্গাপূজা, সরস্বতী পূজা ও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি পাঁচটি ফুটবল দল, কয়েকটি ক্রিকেট দল, আটটি শরীরচর্চার সংগঠন এখানে অনুশীলন করে। এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী ও ডায়াবেটিক রোগীরা এখানে হাঁটতে আসেন।
স্থানীয় ক্লাব কদমতলা সংসদের সদস্য আহাদ আলী সরদার ও অন্তু বড়ুয়া জানান, এখানে মাঠটি হওয়ায় যুবক শ্রেণী পাড়ার অলিগলিতে আড্ডা দেয় না। এদিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোশারফ হোসেন মঞ্জুকে আহ্বায়ক ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার গোলাম হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের বালুর মাঠ রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১টি স্কুল ও ছয়টি কলেজ বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদের কাছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জায়গা নির্ধারণের মালিক গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন এ জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে বলেই সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।
আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে তো এলাকাবাসীরই লাভ।
মডারেটরদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই পোষ্টটিকে স্টিকি করার মাধ্যমে আমাদের আবেদন সবাইকে জানানোর জন্য ।
Shapath Foundation নামের একটি Non-Governmental Organization এ ব্যাপারে একাগ্রতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে । তবে একাজের জন্য প্রভাবশালী উপরমহলের বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গের থেকে অনেক বাঁধা আসছে । আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদই পারে এ এলাকার মানুষদের মুক্ত বাতাসে একটু শ্বাস নিতে ।
Shapath Foundation এর ফেজবুক পেজ এটি- Click This Link
আর সবুজবাগ বালুর মাঠ রক্ষা ক মিটি নামের পেজটি পাবেন এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।