আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"আরশ ও কুরসী"-পর্যালোচনা

আরশ নিয়ে কোরআনের বর্ণিত কিছু আয়াতঃ মহান আরশের অধিকারী। (Al-Burooj: 15) বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? (Al-Muminoon: 86) তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন। (Taa-Haa: 5) যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী, (At-Takwir: 20) আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি মহা আরশের মালিক। (An-Naml: 26) তারা যা বর্ণনা করে, তা থেকে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তা, আরশের পালনকর্তা পবিত্র। (Az-Zukhruf: 82) অতএব শীর্ষ মহিমায় আল্লাহ, তিনি সত্যিকার মালিক, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই।

তিনি সম্মানিত আরশের মালিক। (Al-Muminoon: 116) বলুনঃ তাদের কথামত যদি তাঁর সাথে অন্যান্য উপাস্য থাকত; তবে তারা আরশের মালিক পর্যন্ত পৌছার পথ অন্বেষন করত। (Al-Israa: 42) যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। (Al-Anbiyaa: 22) এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই।

আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (At-Tawba: 129) তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর। (Al-Furqaan: 59) আপনি ফেরেশতাগণকে দেখবেন, তারা আরশের চার পাশ ঘিরে তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা করছে।

তাদের সবার মাঝে ন্যায় বিচার করা হবে। বলা হবে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর। (Az-Zumar: 75) আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না? (As-Sajda: 4) তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন।

তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। (Al-Hadid: 4) তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন, তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। আর যদি আপনি তাদেরকে বলেন যে, "নিশ্চয় তোমাদেরকে মৃত্যুর পরে জীবিত ওঠানো হবে, তখন কাফেরেরা অবশ্য বলে এটা তো স্পষ্ট যাদু!"; (Hud: 7) যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত।

অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (Ghaafir: 7) আরশ নিয়ে কিছু হাদীস লক্ষ করা যাকঃ ইমাম আবূ দাঊদ(র) সাহাবী জুবায়র ইবন মুতইম(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যা,তিনি বলেছেনঃ জনৈক বেদুঈন একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে এসে বললোঃ "হে আল্লাহর রাসূল!মানুষ সংকটে পড়ে গেছে,পরিবার-পরিজন অনাহারে দিনপাত করছে,এবং ধন-সম্পদ ও গবাদি পশু ধবংস হয়ে গেছে। অতএব,আপনি আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য বৃষ্টির দোয়া করুন। আমরা আপনার উসিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট এবং আল্লাহর উসিলা দিয়ে আপনার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বললেনঃ"ধিক তোমাকে,তুমি কি বুঝতে পারছো,কি বলছো! এই বলে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) অনবরত আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকেন।

এমনকি সাহাবীগণের মুখমন্ডলে তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তারপর তিনি বললেনঃ "ধিক তোমাকে!আল্লাহর উসিলা দিয়ে তার সৃষ্টির কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা চলে না। আল্লাহর শান তার অনেক উর্দ্ধে। ধিক তোমাকে!তোমার কি জানা আছে যে আল্লাহর আরশ তার আকাশসমূহের উপরে এভাবে আছে। (এ এবলে তিনি তার আঙ্গুলিসমূহের দ্বারা ইশারা করে গম্বুজের মত করে দেখান।

তারপর বলেনঃ "বাহন তার আরোহীর ভারে যেমন মচমচ করে উঠে আরশও তেমনই মচমচ করে উঠে। " মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন বাশশার (র) এর বর্ণনায় বর্ণিতঃ "আল্লাহ আছেন তার আরশের উপর আর আরশ আছে তার আকাশসমূহের উপর। " এছাড়াও অন্যান্য রাবী যেমন আবদ ইবন হুমায়দ,ইবনে জারীর তাদের তাফসীরে বর্ণনা করেছেন। ইবন আবূ আসিম ও তাবারানী তাদের কিতাবুস সুন্নাহ-এ,বাযযার তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। এবং হাফিজ জিয়া আল মাকদেসী তার "মুখতারাত" গ্রন্থে উমর ইবনে খাত্তাব(রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন,তিনি বলেছেন,এক মহিলা রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর কাছে এসে বললো,আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করুন,যেন তিনি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান।

উমর(রাঃ) বলেন,একথা শুনে তিনি আল্লাহ তা'আলার মহিমা বর্ণনা করে বললেনঃ "নিঃসন্দেহে তার কুরসী আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত এবং তা নতুন বাহন বোঝার শব্দ করার ন্যায় শব্দ করে। " তবে উক্ত হাদীসখানা তেমন মশহুর নয়। সহীহ বুখারীতে আছে যে,রাসুলুল্লাহ(সা) বলেছেনঃ "যখন তোমরা আল্লাহর নিকট জান্নাত প্রার্থনা করবে তখন ফিরদাউস প্রার্থনা করবে। কারণ তা সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম জান্নাত। আর তার উপরে হলো দয়াময়ের আরশ।

" কোন কোন বর্ণনায় আছে যে,ফিরদাউসবাসীগণ আরশের শব্দ শুনে থাকে। আর তা হলো তাসবীহ ও তাজীম। তারা আরশের নিকটবর্তী বলেই এমনটি হয়ে থাকে। বুখারীতে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেনঃ "সাদ ইবন মুআযের মৃত্যুতে রাহমানের আরশ কেঁপে উঠে। " হাফিজ ইবন হাফিজ মুহাম্মদ ইবন উসমান ইবন আবূ শায়বা "সিকতুল আরশ" পুস্তকে উল্লেখ করেছেন যে,"আরশ লাল ইয়াকুত দ্বারা তৈরী।

তার প্রান্তদ্বয়ের দুরত্ব হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার বছরের পথ। " হাদীসে রয়েছে যে,আরশ বহনকারী ফেরেশতা আটজন ও তাদের পিঠের উপর রয়েছে আরশ। আল্লাহ তা'আলা কোরআনে বলেন, "এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে। (Al-Haaqqa: 17)" আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা(রা),যিনি স্ত্রী কর্তৃক দাসীর সাথে যৌন মিলনের অপবাদের মুখে কোরআন পাঠের পরিবর্তে আবৃত্তি করেন, " আমি সাক্ষ্য দিলাম আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং জাহান্নাম হলো কাফিরদের ঠিকানা। আর আরশ পানির উপর ভাসমান এবং আরশের উপর রয়েছেন বিশ্বজগতের প্রতিপালক।

যে আরশ বহন করেন সন্মানিত এবং আল্লাহর চিহ্নিত ফেরেশতাগণ। ইবন আবদুল বা(র) ও তা তা বর্ণনা করেন। আবূ দাঊদ(র) জাবির ইবন আআবদুল্লাহ(রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে,তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেনঃ "আমাকে আল্লাহর আরশ বহনকারী আল্লাহর ফেরেশতাদের একজনের বিবরণ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তার কানের লতি ও কাঁধের মাঝে সাতশ বছরের পথ। " ইবনে আসিমও এই হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।

মোটকথা প্রমাণিত হলো আরশ হলো যে,আরশ একটি সিংহাসন বিশেষ যা ফেরেশতারা বহন করে থাকেন। এবার কুরসী সম্পর্কে জানা যাক, কোরআন পাকে ঘোষণা করা হয়েছে, وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَٱلْأَرْضَ অর্থাৎ-তাঁর কুরসি সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। (Al-Baqara: 255) ইবনে জারীর(র) বলেনঃ " 'হাসান বসরী(র) বলতেন,কুরসী আর আরশ একই'-কিন্তু এ তথ্যটি সঠিক নয়। হাসান এমন বলেননি। বরং সঠিক কথা হলো,হাসান(র) সহ সাহাবা ও তাবেঈগণের অভিমত হলো এই যে,কুরসী আর আরশ দুইটি আলাদা।

ইবনে আব্বাস(রাঃ) ও সাঈদ ইবনে জুবায়র(রা) সম্পর্কে বর্ণিত যে,তারা وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَٱلْأَرْضَ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় كُرْسِيُّهُ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলতেন "عَلَّمَهُ" অর্থাৎ আল্লাহর ইলম কিন্তু ইবনে আব্বাস(রা) এর প্রকৃত অভিমত হলো এই যে,কুরসী হচ্ছে আল্লাহর কুদরতি কদমস্থল এবং আরশের সঠিক পরিমাপ আল্লাহ ব্যাতীত কারো জ্ঞাত নেই। এ বর্ণনাটি হাকিম তার মুসতাদরাকে বর্ণনা করে মন্তব্য করেছেন যে,এটি বুখারী ও মুসলিএর শর্তানুযায়ী সহীহ,যদিও তারা তা বর্ণনা করেন নি। শুমা ইবন মুখাল্লাদ ও ইবন জারীর তাদের নিজ নিজ তাফসীর গ্রন্থে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে রিওয়াত করেন যে,কুরসী হলো আরশের নিচে। সুদ্দী নিজস্ব অভিমত দিয়েছেন,"আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কুরসীর পেটের মধ্যে আর কুরসীর অবস্থান আরশের সম্মুখে। " ইবন জারীর ও ইবন আবূ হাতিম যাহহাক সূত্রে ইবনে আব্বাস(রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,"তিনি বলেছেন,সাত আসমান ও সাত যমীনকে যদি পাশাপাশি বিছিয়ে একটির সাথে অপরটি জুড়ে দেয়া হয়।

তাহলে কুরসীর তুলনায় তা বিশাল প্রান্তরের মধ্যে একটি আঙ্গটিতুল্য। " ইবন জারীর বর্ণনা করেন যে,যায়দ(রা) বলেন,রাসুলুল্লাহ(সা) বলেছেনঃ " কুরসীর মধ্যে সাত আকাশ ঠিক একটি থলের মধ্যে নিক্ষিপ্ত সাতটি মুদ্রা। " যায়দ বলেন,আবূ যর(রা) বলেছেন যে,আমি রাসুলুল্লাহ(সা) কে বলতে শুনেছি যে, "আরশের মধ্যে কুরসী ধূ ধূ প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত লোহার আংটির চাইতে বেশি কিছু নয়। " হাকিম আবূ বকর ইবন মারদুয়েহ(র) তার তফসীরে বর্ণনা করেন যে,আবূ যর গিফারী(রা) রাসুলুল্লাহ(সা) কে কুরসী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ " যার হাতে আমার জীবন সে সত্তার কসম! কুরসীর নিকটে সাত আকাশ ও সাত যমীন বিশাল প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত কড়া অপেক্ষা বেশি কিছু নয়। আর কুরসীর তুলনায় আরশ প্রান্তরের তুলনায় কড়ার মতো।

" সাঈদ ইবন জুবায়র(রাঃ) থেকে যথাক্রমে মিনহাল ইবন আমর আমাশ সুফিয়ান,ওকী ও ইবনে ওকী সূত্রে ইবন জারীর তার ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে,তিনি বলেছেন,ইবনে আব্বাস(রা) কে وَكَانَ عَرْشُهُۥ عَلَى ٱلْمَآءِ (সূরা হুদ/৭) আয়াতখানার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে, পানি কিসের উপর ছিলো? জবাবে তিনি বললেন,বাতাসের পিঠের উপর। তিনি আরও বলেন,আসমান ও যমীনসমূহ এবং এ সবের মধ্যকার সমুদয় বস্তুকে সমুদ্র ঘিরে রেখেছে এবং সমুদ্ররাজিকে ঘিরে রেখেছে হায়কাল। বলা হয়ে থাকে,হায়কালকে ঘিরে রেখেছে কুসরী। ওহব ইবন মুনাব্বিহ থেকেও এরুপ বর্ণনা আছে। ইবন ওহব হায়কালের ব্যাখ্যায় বলেন, "হায়কাল আকাশমন্ডলীর চতুষ্পার্শ্বস্থ একটি বস্তু বিশেষ যা আসমানের প্রান্ত থেকে তাবুর লম্বা রশির ন্যায় যমিনসমূহকে ঘিরে রেখেছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানিদের কারো কারো মতে কুরসী হলো অষ্টম আকাশ। যাকে স্থির গ্রহরাজির কক্ষ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের এই ধারণা যথার্থ নয় এবং গ্রহণযোগ্য নয়। وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَٱلْأَرْضَ এই আয়াত এ ব্যাপারে প্রামাণ্য দলীল এবং উপরে একথা সুস্পষ্ট যে কুরসী সাত আকাশ অপেক্ষা ঢেড় বড়। হাদীসেও এটা পরিস্কার।

বলা আছে কুরসীর তুলনায় আরশ প্রান্তরের তুলনায় কড়ার মতো। কিন্তু এক আকাশের তুলনায় আরেক আকাশ তো এরুপ নয়। কেউ কেউ কুরসীকে ফালাক বা আসমান নামে অভিহিত করে থাকেন। তাদের কথার জবাব হলো এই,অভিধানে কুরসী আর ফালাক-এর অর্থ এক নয়। প্রাচীন যুগের আলেমদের মতে,কুরসী আরশের সম্মুখে অবস্থিত তাতে আরোহণের সিঁড়ির মত একটি বস্তুবিশেষ।

এরুপ বস্তু ফালাক হতে পারে না। এটি ইবন ইব্বাসের(রাঃ) এর অভিমত "কুরসী হচ্ছে আল্লাহর কুদরতি কদমস্থল " এর সাথে অনেকটাই ইঙ্গিতগতভাবে মিলে যায়। তবে প্রাচীন আলেমগণ আরও ধারণা পোষণ করতেন যে, স্থির নক্ষত্রসমূহ তাতেই স্থাপন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণাদি নেই। এবং এর ব্যাপারে কোন হাদীসেও সমর্থন পাওয়া যায়না।

আশা করি আল্লাহর আরশ ও কুরসী- এ দুইয়ের পার্থক্য আমাদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে। মোটকথা,আরশ হলো আল্লাহর আসন গ্রহণের স্থান এবং হলো আল্লাহর কুদরতি জ্ঞানের অধীন,ও পবিত্র সিফাতসমূহ বর্ষণের কদমস্থান। আল্লাহ সুবহানা তা'আলা আমাদের সকলকে স্বীয় রহমতের চাদরে আচ্ছাদিত করে নিন। আমিন। ইফতার টাইমস... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।