"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ আবার ও সেই সিলেটের চিরাচরিত বৃষ্টি ,যেনো আকাশ টা ফুটো হয়ে পড়ছে , তবে একদিক দিয়ে সেটাও ভালো যে আমার লেখা লেখা আর কীবোর্ডের উপর অত্যাচার যাই করি না ক্যান ,পোষ্ট দেবার হার বাড়ছে সবাইকে পচা লেখা পড়ে গালাগালি করার সুযোগ আরো বাড়াচ্ছি। তবে যাই হোক আজকে একটা সত্যি মিথ্যা মিশিয়েই গল্প ,লিখবো কেমন হয় কে যানে , আমার এক ছোটো ভাই ,বেচারা সেই অপু হৈমন্তী যুগের প্রেমিক ,মানে প্রেম মানেই আমরা এখন যেমন সবার চোখের সামনে জি এফ বা মেয়েবন্ধুর রাগি রাগি চোখ অথবা ফোনে একগাদা ঝাড়ি খেয়েও কোকিল কোন্ঠী কণ্ঠ বলে সাপোর্ট দেয়া আধুনিক যুব সমাজ সে যাই বলি না কেন তা তো অতি সত্য ,পরম নির্মম সত্য ,আর ডেটিং মানেই যে পকেট কে গড়ের মাঠ করা তা বঙ্গ ভাষাভাষী সকল বাঙ্গালী পুরুষ মাত্রই যানা আমার মতে ফরজ। তা ফিরে আসি আমার ছোট ভাই এর সেই দুঃখ জর্জরিত কাহিনী তে ,বেচারা স্কুল লাইফ থেকেই এক মেয়েকে পছন্দ করতো ,এখানে পছন্দ করতো মানে দু পক্ষের ভালোবাসা বাসি না ,বরং সেই “কি অপরুপ শুভ্র ,কি অপরূপ তার পবিত্রতা ”এই টাইপ ভালো লাগা ,তা সে আমাকে তো আর পেতো না ,যখন ই অনলাইনে থাকতাম তার আর আমার চ্যাট হিস্টোরি তে সেই রুপকথার কল্পিত কন্যার সুখচ্ছবি যেন আকা থাকতো ,আর ফোনেও তার কথা শুনে আমার মনে হত যেন আমি চোখের সামনে সি এন চ্যানেলের এনিম এ কোনো ফেয়ারি কুইন কে দেখছি ,এক দিন না পেরে বলে ফেললাম যে এতোই যখন তাকে পছন্দ করিস তাহলে বললেই তো হয় আমার কাছে প্যান প্যান করিস ক্যান ,তখন সে যা বলল তা শুনে আমি আর হাসি চাপতে পারি নি, কারণ সে বলল যদি সে মেয়ে আমার ভালোবাসা বুঝতে না পারে ,কারণ সে তো মাত্র স্কুল এ তমুখ ক্লাস এ পড়ে ,তাই আর কয়েকমাস মানে বছর ……..আমি তাকে থামিয়ে বললাম এর পর তো বলবি শতাব্দী ,সে অবাক হয়ে বলে আপনি কেমনে জানলেন , আমি বললাম খাইসে এ তো পুরাই দেবদাস প্রেমে টেমে পইড়া মাথার লজিক ঠিক নাই ,বললাম “এর পর আর কি বাকি থাকে” , সে বলে হ্যা ভাই তার জন্য শতাব্দী পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও আমার কোনো বাধা নাই ,আমি আর কি বলবো পুরাই তব্দা ……………..এই ডিজুস যুগে আইসসাও পোলা মানুষ হইলো না । তার কয়েকদিন পরের কথা সেই ছেলেরে দেখি ফেবু তে খালি দুঃখের স্ট্যাটাস মারতেসে ,ভাবলাম চিন্তার বিষয় , আমাকে জানায় নাই কিন্তু দুঃখ তাহলে আমার আইডিয়া সে ইউজ করলো ,মনে মনে খুশি হলাম যাই হোক ছোটো ভাই প্রেমে পড়েছে ,বড় ভাই এদিকে সিঙ্গেল তবুও সে ক্রেডিট বা কম কি বেচারা মনে হয় বেশী দেখা করতে পারে না তাই এতো বিরহ ,সময় করে ফোন দিলাম ,ফোন দেবার পর প্রথমে অপাশ থেকেই কিছু চিৎকার অতপর কান্না অতপর আমার কতটুক প্রবোধ বাণী ,সেখানে কি কথা হল তা ছোটো ভাই আর বড় ভাই মাঝেকার ভাষা । পাঠকদের জন্য সারমর্ম সরূপ এখানে আমার কথা মত বেচারা সেদিন এর পরের সপ্তাহেই সেই মেয়েকে স্কুল ছুটির পর দাড়াতে বলে ,মেয়ে ছুটির পর দাঁড়ায় ,এর পর এই ছেলে এক বিশাল চিঠি ধরিয়ে দেয় তাকে বলে পড়ে নিও, এরপর নাকি চলে আসে যদিও ঘটনা টা আমি কল্পনা করে নেই যে সে লজ্জায় লাল নীল বেগুনি হয়েছিল আর মেয়েটা হয়তো জানে এটাই স্বাভাবিক ,এর পরের দিন মেয়ে তাকে খবর দেয় এবং বলে যে আমার তো বি এফ আসে আপনি জানেন না । আমার বি এফ অমুখ ইঞ্জি ইউনির তমুখ ডিপারমেন্ট এ পড়ে ………………..(ব্যাকগ্রাউন্ডে বজ্রপাতের ইমো) এরপর সেই ছেলেকে আমি প্রবোধ দিতে গেলে বলে ভাই !!! ,আমিও তার দুক্ষে দুঃখিত বলি কি বলবি বল ...,এর পর তার পরবর্তী বোধোদয় হল যে এখন যা অবস্থা এই পিচ্চি পিচ্চি মেয়েও এঙ্গেজড ,সামনে থেকে খুজে বের করতে হবে কোন পরিচিত আন্টি আছে নাকি বা কারো সন্তান হবে এমন কোন আন্টি ,আমি তো পুরাই হতবাক কেন?? সে বলে যে তাহলে তার যদি মেয়ে হয় তাহলে সেই মেয়েকে প্রপোজ করবো জন্মের পর পরই আর যাতে এঙ্গেজড হতে না পারে ……………….আমি আর কি বলবো ছোটোখাট একটা হার্টএট্যাক হয়ে গেল আমার এই তাহলে হবে ভবিষ্যতে ….. বিদ্র : ঘটনা এবং চরিত্র গুলো কিছুটা বাস্তব এবং কিছুটা কাল্পনিক ,কারো সাথে মিলে গেলে তা চিপা গোবেষক ছাক্কু কোনোভাবেই দায়ী নন ......
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।