গত বিশ্বকাপের পর থেকেই সেস ফেব্রিগাসকে আবার ন্যু ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু করেছিল বার্সেলোনা। স্পেনে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় উদযাপন করতে গিয়ে তাঁকে বার্সেলোনার জার্সিও পরিয়ে দিয়েছিলেন কার্লোস পুয়োল। ফেব্রিগাস নিজেও তাঁর ছোটবেলার ক্লাবে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষাটা গোপন করেননি। কিন্তু অনেকটা সময় ধরেই ট্রান্সফার ফি নিয়ে সমঝোতা হচ্ছিল না বার্সেলোনা ও আর্সেনালের। অবশেষে ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফেব্রিগাসকে ছাড়তে রাজি হয়েছে আর্সেনাল।
আজ সোমবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনায় যোগ দেবেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আর্সেনালে এসেছিলেন ফেব্রিগাস। এরপর খুব দ্রুতই তিনি পরিণত হন আর্সেনাল মাঝমাঠের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়ে। ২০০৮ সালে অধিনায়কের বাহুবন্ধনীও তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। গানারদের জার্সি গায়ে প্রায় ৩০০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
গোল করেছেন ৫৭টি। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ফুটবলারকে ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছে আর্সেনাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে কিছুটা হতাশই মনে হয়েছে। গতকাল ক্লাবের ওয়েবসাইটের এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোনোভাবেই ফেব্রিগাসকে ছাড়তে চাইনি। শেষ পর্যন্তও চেষ্টা করে গেছি তাঁকে আর্সেনালেই রাখার জন্য।
যা-ই হোক, তার পরও আর্সেনালে অনেক অবদান রাখার জন্য তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর ভবিষ্যত্ সাফল্যও কামনা করছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।