প্রতিদিন স্বপ্নকে ধাওয়া করি। স্বপ ছোব বলে বেচে আছি।
ভর্‚তকীর ফাদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিভাগ। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে একদিকে বাড়ছে জ্বালানীর ব্যবহার অন্যদিকে বাড়ছে ভ‚র্তকীর পরিমান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সংশ্লিষ্টরা বলছে আর্ন্তজাতিক বাজারে ক্রমাগত বাড়ছে জ্বালানী তেলের দাম।
সাথে সাথে বাড়ছে ভ‚র্তকীর পরিমান। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরী বাজারে জ্বালানী মূল্য পূনঃ র্নিধারন না করলে হুমকীর মধ্যে পড়বে জ্বালানী খাত।
পিডিবি সুত্রে জানাগেছে, ক্রমাগত বিদ্যুৎ খাতে ভ‚র্তকীর পরিমান বৃদ্ধি পাচেছ। প্রতি বছরই এ ভ‚র্তকীর পরিমান আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পিডিবি, চায় বিদ্যুৎতের মূল্য বাড়িয়ে ভ‚র্তকীর পরিমান কমাতে।
পিডিবি থেকে জানাগেছে গত ১০-১১ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভ‚র্তকীর পরিমান ছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে এর পরিমান দাড়াবে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎতের মূল্য পূনঃর্নিধারন না করা হলে পরের অর্থ বছরে এর পরিমান দাড়াবে ১০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে পিডিবির চেয়্যারম্যান এস এম আলমগীর কবির বলেন, এভাবে ক্রমাগত ভ‚র্তকী দিয়ে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। অন্যদিকে ক্রমাগত ভ‚র্তকী দিয়ে এ সেক্টরের উন্নয়নও করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন রাষ্ট্রের ¯^ার্থে সময়ের সাথে বিদ্যুৎতের মূল্যও পুনঃনির্ধারন করা উচিত।
এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য ২০২০ সালের মধ্যে মোট ১২ হাজার ৪,শ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র র্নিমানের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে সরকার। যার মধ্যে ২০১২ সালের মধ্যে সালের মধ্যে নতুন ২১৫৭ মেগাওয়াট, ২০১৩ সালের মধ্যে নতুন ২৬৭৪ মেগাওয়াট, ২০১৪ সালের মধ্যে নতুন ২৩২৩ মেগাওয়াট, ২০১৫ সালের মধ্যে আরো ২৩৫০ মেগাওয়াট, ২০১৬ সালের মধ্যে ২৮০০ মেগাওয়াট, ২০১৭ সালের মধ্যে ১৪৫০ মেগাওয়াট, ২০১৮ সালের মধ্যে ২৮৫০ মেগাওয়াট, ২০১৯ সালের মধ্যে আরো ১৪০০ মেগাওয়াট, এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ কয়লা, গ্যাস এবং পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলেও ইতোমধ্যে ২০০৯ সাল থেকে ১১ সাল পর্যন্ত কুইক রেন্টাল, রেন্টাল যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র র্নিমান করেছে তার অধিকাংশই ডিজেল,র্ফানেস, জ্বালানী র্নিভর। ফলে দ্রুুত বিদ্যুৎ পেতে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরবিচিছন্ন জ্বালানী সরবরাহ করতে হবে।
এ অবস্থায় আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে ৬৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানীর দরকার হবে। যার জন্য ভ‚র্তকীর পরিমান দাড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম র্কপোরেশনের (বিপিসির) চেয়াম্যান মেজর (অব) মোক্তাদির আলী ভ‚র্তকীর বিষয়ে বলেন গত ১০-১১ অর্থ বছরে জ্বালানী তেল আমদানী করতে ভ‚র্তকীর পরিমান ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে এর পরিমান হবে ২৬ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন প্রতিনিয়ত বিশ্ব বাজারে জ্বালানীর তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে আমরা শতভাগ জ্বালানী তেল আমদানী র্নিভর রাষ্ট্র। এ অবস্থায় আমাদের দেশে আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথে ঠিক রেখে জ্বালানীর মুল্য পূনঃ র্নিধারন না করলে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে। তিনি বলেন আমাদের দেশে ভ‚র্তকীর অবস্থা এমন এক পর্যায়ে এসে পড়েছে যে র্অথের সংকটের কারনে অনেক সময় তেল আমদানীকারক দেশের সংশ্লিষ্টদের সাথে কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে কষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন ভবিষৎতে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তার ¯^ার্থে এখনই উচিত হবে জ্বালানী মূল্য পুনঃ র্নিধারন করা।
এ বিষয়ে জ্বালানী সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জ্বালানী নিরাপত্তার ¯^ার্থে আমাদের ট্যারিফ আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথে মিলিয়ে ঠিক করা উচিত।
তিনি বলেন, গত অর্থ বছরে আমাদের ৩৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানী দরকার ছিল। কিন্তু আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে জ্বালানীর পরিমান হবে ৬৮ লাখ মেট্রিক টন। এ অবস্থায় ভ‚র্তকীর পরিমান কমাতে এবং জ্বালানী নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে ট্যারিফ বিশ্ব বাজারের সাথে ঠিক রেখে অভ্যন্তরীন বাজারে র্নিধারনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন এভাবে ভ‚র্তকী দিয়ে কোন সংস্থার এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
সচিব আরো বলেন, জ্বালানীর বিশ্ব বাজার সব সময় অনিশ্চিত।
আমেরিকার মতো দেশ অন্তত এক থেকে দেড় বছরের জ্বালানী মজুদ রাখে । আমাদের দেশে মাত্র ৯ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানী মজুদের ব্যবস্থা আছে। যা মাত্র দেড় মাস চলবে। তবে তিনি বলেন বর্তমানে মজুদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে। অন্তত যাতে ১৪ লাখ টন জ্বালানী মজুদ রাখা যায় যা কমপক্ষে ৩ মাস চলবে সরকার তার ব্যবস্থা করছে।
এদিকে সরকারের ভ‚র্তকীর বিষয়ে চট্রগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম শামসুল আলম বিইআরসির এক সেমিনারে বলেন বিদ্যুৎখাতে জ্বালানীর ভ‚র্তকীর সুবিদা এ দেশের সাধারন জনগন পায় না। সুবিদা পাচ্ছে কিছু সুবিদাভোগী কুইক রেন্টাল ও বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভবিষৎতের জ্বালানী সংকটের বিবেচনা করে জ্বালানী নিরাপত্তা দিবসের এক সেমিনারে বলেন, জ্বালানী সংকট অনুধাবন করে সকলের উচিত জ্বালনী সাশ্রয়ী হওয়া। ভবিষৎতে গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক জ্বালানী গৃহকাজে ব্যবহারের জন্য আর না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন পৃথীবির কোনদেশেই গৃহকাজে গ্যাস সরাসরি সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করা হয় না। সবাই লিকুইড গ্যাস ব্যবহার করে।
আমাদেরও তাই করা উচিত।
এদিকের সব ধরনের জ্বালানীর মূল্য দেশের অভ্যন্তরে পুনঃ র্নিধারন নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভ‚ইয়া সংবাদকে বলেন, কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান র্দীঘদিন ভ‚র্তকী দিয়ে চলতে পারে না। তিনি বলেন কোন রাষ্টের উন্নয়নে এটা অর্থনীতির পরিপন্থি। তিনি বলেন জনগনের ¯^ার্থে র্ভুতকী দিতে হবে তবে তারও একটা মাত্রা থাকা উচিত। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিদ্যুৎসহ অন্যান্য জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তবে তিনি বলেন জনগনের কথা বিবেচনা করে মূল্য বৃদ্ধি যেমন ক্রমাš^য়ে করতে হবে তেমনি বিদ্যুৎ সরবরাহও ¯^াভাবিক রাখতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। যদিও আমাদের দেশে এটা একটা নিয়মে পরিনত হয়েছে।
####
ভ‚র্তকীর ফাদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত
লুৎফর রহমান কাকন
ভর্‚তকীর ফাদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিভাগ। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে একদিকে বাড়ছে জ্বালানীর ব্যবহার অন্যদিকে বাড়ছে ভ‚র্তকীর পরিমান।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সংশ্লিষ্টরা বলছে আর্ন্তজাতিক বাজারে ক্রমাগত বাড়ছে জ্বালানী তেলের দাম। সাথে সাথে বাড়ছে ভ‚র্তকীর পরিমান। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরী বাজারে জ্বালানী মূল্য পূনঃ র্নিধারন না করলে হুমকীর মধ্যে পড়বে জ্বালানী খাত।
পিডিবি সুত্রে জানাগেছে, ক্রমাগত বিদ্যুৎ খাতে ভ‚র্তকীর পরিমান বৃদ্ধি পাচেছ। প্রতি বছরই এ ভ‚র্তকীর পরিমান আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফলে পিডিবি, চায় বিদ্যুৎতের মূল্য বাড়িয়ে ভ‚র্তকীর পরিমান কমাতে। পিডিবি থেকে জানাগেছে গত ১০-১১ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভ‚র্তকীর পরিমান ছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে এর পরিমান দাড়াবে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎতের মূল্য পূনঃর্নিধারন না করা হলে পরের অর্থ বছরে এর পরিমান দাড়াবে ১০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে পিডিবির চেয়্যারম্যান এস এম আলমগীর কবির বলেন, এভাবে ক্রমাগত ভ‚র্তকী দিয়ে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
অন্যদিকে ক্রমাগত ভ‚র্তকী দিয়ে এ সেক্টরের উন্নয়নও করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন রাষ্ট্রের ¯^ার্থে সময়ের সাথে বিদ্যুৎতের মূল্যও পুনঃনির্ধারন করা উচিত।
এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য ২০২০ সালের মধ্যে মোট ১২ হাজার ৪,শ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র র্নিমানের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে সরকার। যার মধ্যে ২০১২ সালের মধ্যে সালের মধ্যে নতুন ২১৫৭ মেগাওয়াট, ২০১৩ সালের মধ্যে নতুন ২৬৭৪ মেগাওয়াট, ২০১৪ সালের মধ্যে নতুন ২৩২৩ মেগাওয়াট, ২০১৫ সালের মধ্যে আরো ২৩৫০ মেগাওয়াট, ২০১৬ সালের মধ্যে ২৮০০ মেগাওয়াট, ২০১৭ সালের মধ্যে ১৪৫০ মেগাওয়াট, ২০১৮ সালের মধ্যে ২৮৫০ মেগাওয়াট, ২০১৯ সালের মধ্যে আরো ১৪০০ মেগাওয়াট, এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ কয়লা, গ্যাস এবং পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলেও ইতোমধ্যে ২০০৯ সাল থেকে ১১ সাল পর্যন্ত কুইক রেন্টাল, রেন্টাল যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র র্নিমান করেছে তার অধিকাংশই ডিজেল,র্ফানেস, জ্বালানী র্নিভর।
ফলে দ্রুুত বিদ্যুৎ পেতে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরবিচিছন্ন জ্বালানী সরবরাহ করতে হবে। এ অবস্থায় আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে ৬৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানীর দরকার হবে। যার জন্য ভ‚র্তকীর পরিমান দাড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম র্কপোরেশনের (বিপিসির) চেয়াম্যান মেজর (অব) মোক্তাদির আলী ভ‚র্তকীর বিষয়ে বলেন গত ১০-১১ অর্থ বছরে জ্বালানী তেল আমদানী করতে ভ‚র্তকীর পরিমান ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে এর পরিমান হবে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন প্রতিনিয়ত বিশ্ব বাজারে জ্বালানীর তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে আমরা শতভাগ জ্বালানী তেল আমদানী র্নিভর রাষ্ট্র। এ অবস্থায় আমাদের দেশে আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথে ঠিক রেখে জ্বালানীর মুল্য পূনঃ র্নিধারন না করলে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে। তিনি বলেন আমাদের দেশে ভ‚র্তকীর অবস্থা এমন এক পর্যায়ে এসে পড়েছে যে র্অথের সংকটের কারনে অনেক সময় তেল আমদানীকারক দেশের সংশ্লিষ্টদের সাথে কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে কষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন ভবিষৎতে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তার ¯^ার্থে এখনই উচিত হবে জ্বালানী মূল্য পুনঃ র্নিধারন করা।
এ বিষয়ে জ্বালানী সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জ্বালানী নিরাপত্তার ¯^ার্থে আমাদের ট্যারিফ আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথে মিলিয়ে ঠিক করা উচিত। তিনি বলেন, গত অর্থ বছরে আমাদের ৩৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানী দরকার ছিল। কিন্তু আগামী ১১-১২ অর্থ বছরে জ্বালানীর পরিমান হবে ৬৮ লাখ মেট্রিক টন। এ অবস্থায় ভ‚র্তকীর পরিমান কমাতে এবং জ্বালানী নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে ট্যারিফ বিশ্ব বাজারের সাথে ঠিক রেখে অভ্যন্তরীন বাজারে র্নিধারনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন এভাবে ভ‚র্তকী দিয়ে কোন সংস্থার এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
সচিব আরো বলেন, জ্বালানীর বিশ্ব বাজার সব সময় অনিশ্চিত। আমেরিকার মতো দেশ অন্তত এক থেকে দেড় বছরের জ্বালানী মজুদ রাখে । আমাদের দেশে মাত্র ৯ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানী মজুদের ব্যবস্থা আছে। যা মাত্র দেড় মাস চলবে। তবে তিনি বলেন বর্তমানে মজুদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে।
অন্তত যাতে ১৪ লাখ টন জ্বালানী মজুদ রাখা যায় যা কমপক্ষে ৩ মাস চলবে সরকার তার ব্যবস্থা করছে।
এদিকে সরকারের ভ‚র্তকীর বিষয়ে চট্রগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম শামসুল আলম বিইআরসির এক সেমিনারে বলেন বিদ্যুৎখাতে জ্বালানীর ভ‚র্তকীর সুবিদা এ দেশের সাধারন জনগন পায় না। সুবিদা পাচ্ছে কিছু সুবিদাভোগী কুইক রেন্টাল ও বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভবিষৎতের জ্বালানী সংকটের বিবেচনা করে জ্বালানী নিরাপত্তা দিবসের এক সেমিনারে বলেন, জ্বালানী সংকট অনুধাবন করে সকলের উচিত জ্বালনী সাশ্রয়ী হওয়া। ভবিষৎতে গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক জ্বালানী গৃহকাজে ব্যবহারের জন্য আর না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন পৃথীবির কোনদেশেই গৃহকাজে গ্যাস সরাসরি সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করা হয় না।
সবাই লিকুইড গ্যাস ব্যবহার করে। আমাদেরও তাই করা উচিত।
এদিকের সব ধরনের জ্বালানীর মূল্য দেশের অভ্যন্তরে পুনঃ র্নিধারন নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভ‚ইয়া সংবাদকে বলেন, কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান র্দীঘদিন ভ‚র্তকী দিয়ে চলতে পারে না। তিনি বলেন কোন রাষ্টের উন্নয়নে এটা অর্থনীতির পরিপন্থি। তিনি বলেন জনগনের ¯^ার্থে র্ভুতকী দিতে হবে তবে তারও একটা মাত্রা থাকা উচিত।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিদ্যুৎসহ অন্যান্য জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তবে তিনি বলেন জনগনের কথা বিবেচনা করে মূল্য বৃদ্ধি যেমন ক্রমাš^য়ে করতে হবে তেমনি বিদ্যুৎ সরবরাহও ¯^াভাবিক রাখতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। যদিও আমাদের দেশে এটা একটা নিয়মে পরিনত হয়েছে।
#### ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।