অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বাইরে অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়ে উপার্জিত অর্থ গেটওয়ে সেবার মাধ্যমে দেশে আনা যাবে। আগে ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়া এই অর্থ আনা যেত না। সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার পর্যন্ত এ ভাবে আনা যাবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। সোমবার সে নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অনলাইনসেবা রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনতে ঝামেলা এড়াতেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার মাধ্যমে বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার পর্যন্ত অর্থ দেশে আনা যাবে। সেবা রফতানি বাবদ পাওনা অর্থ অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের হিসাবে (কস্ট কালেকশন অ্যাকাউন্ট) স্থানান্তরিত হবে। পরে ওই ব্যাংক সংশ্লিষ্ট গ্রাহক হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ জমা করার ব্যবস্থা করবে।
এতে আরো বলা হয়, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সেবার অর্থ সহজে দেশে আনতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে গ্রাহকের হিসাবে অর্থ জমা করার আগে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট লেনদেন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত লেনদেন মাসিক বিবরণীতে তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করতে হবে।
ফলে এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করে ফ্রি ল্যান্সসেবা রপ্তানিকারকরা ঝামেলাবিহীন ভাবে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সহজে তাদের আয় দেশে আনতে পারবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইন সেবা রপ্তানিকারকরা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েতে হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে অনলাইন ব্যবস্থায় ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রক্রিয়া ইত্যাদি সেবা জনপ্রিয় হচ্ছে।
আর এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ব্যাংক ব্যবস্থায় আনতে হতো। বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এভাবে অর্থ পরিশোধে করতে অনীহা প্রকাশ করতো।
প্রসঙ্গত, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রভাইডার (ওপিজিএসপি) একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন মুদ্রা আদান প্রদান সংস্থা। এই সংস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা আনার কাজ পরিচালনা করতে পারবে।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।