ওজন কমানোর জন্য শুধু কম খেলেই চলবে না। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। নয়ত হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
তবে নিদ্রাহীনতায় মানুষের ওজন বেড়ে যায় বা ঘুম ও ওজনের মধ্যে সম্পর্ক কিভাবে কার্যকর হয়, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য গবেষণাটিতে পাওয়া না গেলেও ঘুমকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেন্ট লুক'স-রুজভেল্ট হাসপাতালের নিউইয়র্ক ওবেসিটি রিচার্স সেন্টার পরিচালিত গবেষণার এই ফলাফল আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকদের মধ্যে অন্যতম ফিলাডেলফিয়ার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিøপ অ্যান্ড সিøপ ডিজঅর্ডারস-এ অধ্যয়নরত মিশেল গ্রান্ডনার রয়টার্সকে বলেন, "কেউ যদি নিজের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করে তাহলে তার এটা মনে রাখা উচিত যে, পর্যাপ্ত ঘুমও সুস্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। "
৩০ ও ৪০ বছর বয়সী স্বাভাবিক ওজনের ৩০ জন নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ রাত করে দুই মেয়াদে একটি গবেষণা কেন্দ্রে ছিলেন।
প্রথম মেয়াদে প্রতি রাতেই তাদেরকে নয় ঘন্টা করে ঘুমাতে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে তাদেরকে কেবল চার ঘন্টা করে ঘুমের সুযোগ দেওয়া হয়।
উভয়ক্ষেত্রেই প্রথম চারদিন তাদেরকে নিয়মমাফিক খাবার দেওয়া হয় এবং বাকি দিনটিতে তাদের ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রতিদিন তারা কতটা ক্যালরি খরচ করছেন এবং নিজিদের কতটা সক্রিয় মনে করছেন সেসব তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা।
প্রাপ্ততথ্য থেকে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীরা যখন পর্যাপ্ত ঘুমিয়েছিলেন তখন তারা সবাই দৈনিক প্রায় ২৬০০ ক্যালরি খরচ করেছেন। যখন তাদের কম ঘুমাতে দেওয়া হয়েছে তখন তারা শেষ দিনে গড়ে ২৮০০ ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করেছেন।
একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এ ঘটনা অব্যাহত থাকলে নিদ্রাহীন ব্যক্তিদের স্থুল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি বলে গবেষণাটিতে বলা হয়েছে।
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ক্লান্ত থাকা অবস্থায় আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের সিদ্ধান্ত তেমন নিতে পারি না।
গ্র্যান্ডনার বলেন, কম ঘুমের সঙ্গে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন রোগের সংযোগ রয়েছে। আর এসব রোগের সঙ্গে আবার ওজনের সম্পর্কও রয়ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।