আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের বর্ষাক্রান্ত ক্ষ্যাপা নাগরিক ভাবনাগুলো

আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন খসখসে রোদ্দুরে ভিজে একটুকরো তড়িৎ অনুধাবন ভদ্রলোকটির, "...নৈঃশব্দ্য মরে গেছে।" এতে সায় দেয়া হোক মাথা খানিক দুলিয়ে, কারণ আমাদের অজান্তে ফুটপাতে শেকড় গেড়েছে বর্ণবাদী পোষ্টার, কেঠো প্রত্যঙ্গ আর স্বল্পায়ু পদক্ষেপেরা। তাই এই দীর্ঘায়িত বর্ষাকালে আমরা মিউনিসিপ্যাল নাগরিকেরা ছাতার আড়ালে শুকনো দীর্ঘঃশ্বাস লুকাই, "শিগগিরই রাস্তার কাদাপানিতে শোলমাছে মত ঘাই দেবে দ্রোহী উন্মাদেরা"- এমনকিছুর আশায়। অথচ আগের মতই সবকিছু, রাজপথের দুপাশের বৈপরীত্যে আমরা রোমাঞ্চ খুঁজে পাই। অবশ্য দেখার চোখ রয়েছে যাদের, তারা দেখবে স্কুলব্যাগে টিফিনবক্সের অস্তিত্ব, প্রতিটি রেলক্রসিংয়ে সমান্তরাল কিছু প্রাণঘাতী সেকেন্ড, ঘর্মাক্ত সিটের হাতল, কর্কশ মরুকরণের সংকেত, ফেলে যাওয়া একপাটি ছেঁড়া জুতো... উত্তরে এবার সংক্ষিপ্ত শীতের আভাস -দ্বাবিংশতম বর্ষণে ভিজে চুপসে যাওয়া মাঝবয়েসী আরেক ভদ্রলোকের কথায় আমরা মনযোগ ঘুরিয়ে নিতে পারি, ঘেয়ো কুকুরের শরীরে একটা গন্ধ রয়েছে যেটা ভেজা নাগরিকদের শরীরেও খুঁজে পাওয়া যায়। সহজ সমাধানে সবগুলো শহুরে দুর্গন্ধ এক করে নাও, কচি ঘাস কিংবা শরতের আভাস পাওয়া যাবে। পুড়ছে সস্তা তামাক, চকচকে শ্যুর গায়ে কাদার কলঙ্ক, নেভী ব্লু শার্টের কলারে এঁটে থাকা কয়েক ফোটা ঘুম, আবর্জনা অমর পলিমারে... সবকিছু চুলোয় যাক! ত্রিশোর্দ্ধ ঐ রমণীর মেরুনরঙা হ্যান্ডব্যাগ ভর্তি শুধু চকোলেট, এইরকম একটা দাঁতালো কল্পনা করতে গিয়ে আন্দাজ করি, বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা আমরা নিপাট ভদ্রোলেকেরা এভাবেই বেঁচে যাচ্ছি সকালগুলো...  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.