আমি আগা গোড়ায় মোড়ানো পুরোপুরি একজন মুক্তমনা মানুষ। গত কয়েকদিনে সূর্যের উপরিপৃষ্ঠে কয়েকটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে করে সৌরঝড়ে আগামী কয়েকদিনে বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট, টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিঘœ ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূর্য থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়া মৌলিক কণার স্রোত বা সৌরবায়ু পৃথিবীর আয়নমন্ডলে আঘাত হানার কারণে এ বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই স্যাটেলাইট, টেলিযোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সমুদ্র ও বায়ুমন্ডল প্রসাশনের মহাশূণ্য আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের বিজ্ঞানী যোসেফ কানচেস বলেন, "আসন্ন এ সৌরঝড় মাঝারি থেকে শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। "
তিনি জানান, চলতি সপ্তাহেই সৌরঝড়ের প্রভাব পড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) স্যাটেলাইটে। ফলে বিশ্বে স্যাটেলাইট নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবে।
সৌরবায়ুর কারণে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণের মেরুবর্তী অঞ্চলে মেরুজ্যোতিও দেখা দিতে পারে বলে জানান কানচেস।
পৃথিবীর বায়ুুমন্ডলের উপরিস্তরের পরমাণুর সঙ্গে সৌরবায়ু বাহিত উত্তপ্ত মৌলিক কণার সংঘর্ষে সৃষ্টি হয় মেরুজ্যোতি।
এতে মেরু সংলগ্ন এলাকগুলো থেকে রাতের আকাশে বিস্ময়কর আলোর নাচন দেখা যায়।
সূর্যে সংঘটিত কোনোকিছুর প্রভাব পৃথিবীতে পড়া বিরল ঘটনা। তবে অতীতে এমন ঘটনা ঘটার নজির আছে।
১৯৮৯ সালে সৌরঝড়ের প্রভাবে কানাডার কুইবেক প্রদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়। এতে কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দুর্ভোগে পড়ে কুইবেকের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সৌরঝড় রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫৯ সালে। তখন বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা টেলিগ্রাফেই সীমাবদ্ধ ছিল।
সৌরঝড়ের কারণে বিশ্বব্যাপী টেলিগ্রাফ কার্যালয়গুলো অচল হয়ে পড়ে। আর উত্তর মেরুতে এত বড় মেরুজ্যোতি সৃষ্টি হয় যে তা প্রায় কর্কটক্রান্তি এলাকায় অবস্থিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকেও দেখা গিয়েছিলো।
কিছু টেলিগ্রাফ কর্মী তড়িতাহত হয়েছিলেন।
কোথাও কোথাও টেলিগ্রাফের কাগজে আগুন ধরে গিয়েছিলো।
সা¤প্রতিক সময়ে ওই ধরনের সৌরঝড় হলে বিশ্বব্যাপী ২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে এ সপ্তাহের সৌরঝড় এতো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নাও ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন কানচেস।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।