প্রবাসী
হরিদাস যে গ্রামে জন্মগ্রহন করিয়াছিল তাহার নাম এখন হরিদাসপুর। এই সে পবিত্র গ্রামে যে গ্রাম আজ ও সাক্ষ্য বহন করিয়া চলিয়াছে হরিদাসের । তাহার পবিত্র ঈশ্বর ধর্ম আজ সর্বজন সমাদৃত। তাহার ঈশ্বর দর্শন এবং ঈশ্বর পাঠশালার অবস্থানও এই পুন্যভুমিতে।
হরিদাস তাহার কিতাবে ঈশ্বরের নির্দেশাবলী বিস্তারিত লিপি বদ্ধ করিয়ছিল ।
সেই কিতাবের অমৃতবানী হরিদাস ভক্তদের জন্য এক পরিপুর্ন জীবন দর্শন। একবার এক নাসারা ব্যাঙ্গপুর্বক বলিয়াছিল “ জীবন ধর্ষন” সেই নাসারা হরিদাসের ভক্তদের হীনজ্ঞান করিয়া যে বক্তব্য দিয়াছিল তাহার ফলে সমগ্র হরিদাসপুরের বাসিন্দারা সোচ্চার হয়। ফলশ্রুতিতে হরিদাসের কিতাব মোতাবেক প্রথম প্রস্তর নিক্ষেপ এবং অবশেষে শিরচ্ছেদ করা হইয়াছিল। সেই হইতে আর কেহ হরিদাসকে ব্যাঙ্গ করিতে সাহস করে নাই।
শেক্সপেয়ারের বিচারের দাবীতে হরিদাসপুরের মানুষরা আজ জাগিয়া উঠিয়াছে।
শেক্সপেয়ার নামক এক নাসারা প্রায় ৪০০ বছর পুর্বে এক খানি কিতাব লিখিয়াছিল “ The taming of the shrew” । বাংলায় বইটি অনুদিত হইয়াছিল “মুখরা রমনী বশীকরন” নামে। কিতাবখানিতে ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত সমস্ত নির্দেশাবলী উপেক্ষা করিয়া এক অভিনব তথ্য উপস্থাপন করিয়াছিল।
ঈশ্বর পাঠশালার জনৈক শিক্ষকের বদৌলতে সে তথ্য আজ উদাঘাটিত হইয়াছে। ইতি মধ্যে ঐ নাসারা দেশের দুতাবাসে অগ্নি সংযোগ করা হইয়াছে ।
নাসারার কুশ পুত্তলিকা দাহন করা হইয়াছে। হরিদাস ভক্ত বৃন্দের তরফ হইতে স্মারক লিপি দেওয়া হইয়াছে নাসারার বইটি বাজেয়াপ্ত করিতে হইবে এবং নাসারার সমাধিক্ষেত্রে “ হরিদাস উপাসনাগার” স্থাপন করিতে হইবে।
হরিদাস ভক্তদের দাবী তাহাদের পবিত্র কিতাবে মুখরা রমনী বশীকরনের যে পন্থা লিপিবদ্ধ ছিল তাহা হইতে নাসারা শেক্সপেয়ার শিক্ষা না গ্রহন করিয়া সম্পুর্ন নিজস্ব পন্থা উপস্থাপন করিয়াছে।
ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত মুখরা রমনী বশীকরন পন্থা হইল “ভর্তসনা, রমনীকে শয্যাত্যাগে বাধ্য করা এবং প্রহার। রমনীরা গরুছাগল নহে তাহাদের যেখানে সেখানে ইচ্ছামত প্রহার করা যাইবে না।
মৃদু প্রহার করিতে হইবে । মুখমন্ডলে প্রহার করা যাইবে না, সবার সামনে প্রহার করা যাইবে না”
নাসারার বিচারের দাবীতে সমগ্র হরিদাসপুর আজ উত্তাল। সদ্য সমাপ্ত ঐতিহাসিক জনসভায় হুশিয়ার বানী উচ্চারন করা হইয়াছে আগামী ২৪ শতাব্দীর মধ্যে নাসারার বিচার না করিলে হরিদাস ভক্তরা যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করিলে তাহার জন্য সরকারই দায়ী থাকিবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।