যশোর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বিবাহিত ও মাদকসেবীদের কমিটি উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবিতে রোববার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ছাত্রলীগ মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ, সিটি কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ ও কমার্স কলেজ শাখার যৌথ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মিছিলে যশোর সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি খালেদুর রহমান টিটোর অনুসারীরা অংশ নেন।
এমপির বাড়ির সামনে ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে বের হয়ে মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের ফায়ার সার্ভিসের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলের সম্মুখভাগে ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মুক্ত, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোফরাদ হাসান অরিন্দ ও আরাফাত রহমান, ছাত্রলীগ এমএম কলেজ শাখার নেতা নিয়াজ মাহমুদ শাহিন, সিটি কলেজ শাখার নেতা শাহিনুর রহমান শাহিন, পলিটেকনিক শাখার নেতা সাজ্জাদ হোসেন মানিক ও কমার্স কলেজ শাখার নেতা সোহাগ।
মিছিল থেকে যশোর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে প্রত্যখ্যান করে ‘বিবাহিতদের কমিটি মানি না মানবো না, মাদকসেবীদের কমিটি মানি না মানবো না’ সেøাগান দেওয়া হয়।
এছাড়া এ কমিটি গঠনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলী রেজা রাজু ও সাধারণ সম্পাদক ও যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদারকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধেও অশ্লীল সেøাগান দেওয়া হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিখন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করীম রহমান বিবাহিত। ছাত্র রাজনীতির মতো বয়সও তাদের নেই।
তারা জানান, রিয়াদের একটি ছেলে যশোর বাদশা ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউটের ছাত্র।
অভিযোগকারীরা বলেন, লিখনসহ কমিটির অনেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি।
কিছুদিন আগে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে প্রকৃত ছাত্র নেতাদের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।