আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যশোর জেলায় ১২ মাসে ১১২ খুন

ক্ষমতার দাপট ও শীর্ষ নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে সন্ত্রাসীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ফলে এখনও মৃত্যু উপতক্যায় পরিনত রয়েছে যশোর অঞ্চল। এ সব সন্ত্রাসীদের হাতে গত বছর যশোর জেলায় মা-বাবার কোল খালি হয়েছে ১১২ জনের। বিগত দু’দশক ধরে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের অঙ্গরাজ্য হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে যশোর জেলা। রাজনৈতিক কোন্দল, খাল-বিল দখল, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও পক্ষ প্রতিপক্ষের হামলায় একের পর এক খুন হয় পক্ষ প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী, নিরিহ ও রাজনৈতিক ব্যক্তি।

বিগত দিনে এদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সাংবাদিকরাও। প্রশাসনের চাপে সন্ত্রাসীরা সাধারনত অবস্থান পরিবর্তন করে ঘন ঘন। এভাবে উঠতি ও পুরানো সন্ত্রাসীরা তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সূত্র মতে, ১৯৯১ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত যশোর জেলায় খুন হতো বিশেষ করে আন্ডারওয়ার্র্ল্ড জগতের পক্ষ-প্রতিপক্ষরা। প্রায়ই দিন শোনা যেত পক্ষ-প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের গুলি, বোমা মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এরপর ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গুলি করে হত্যা কিছুটা কম হলেও বোমা মেরে মানুষ খুন করা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এরপর ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সালের দু’বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সন্ত্রাসীরা জেন হারিয়ে গিয়েছিল যশোরের বুক থেকে। এরপর সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে যশোরের মেরুকরণ পাল্টে যায়। যশোরের দু’ প্রভাবশালী ব্যক্তি দুটিভাগে বিভক্ত হয়ে শুরু করে রাজনৈতিক সহিংসতা। এ সহিংসতা যশোর জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছিল।

এরপর গত ৯ নভেম্বর যশোর জেলায় পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন জয়দেব কুমার ভদ্র। যোগদানের পর তিনি যশোর জেলাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। প্রতিশ্র“তি হিসাবে যশোরের পুলিশ প্রশাসন শুরু করে সন্ত্রাস ও মাদক আটকে ব্যাপক অভিযান। অভিযানে পুলিশের যথেষ্ট পরিমান সাফল্য থাকলেও সন্ত্রাসীরা থেমে নেই তাদের কার্যক্রমে। পুলিশের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে তারা পুলিশ সুপার যোগদানের মাত্র ৫২ দিনের মধ্যেও মায়ের কোল খালি করেছে ১৭ জনের।

এসব খুন সহ গোটা ১২মাসে তারা কেড়ে নিয়েছে ১১২টি তাজা প্রাণ। যার মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ৫৮জন, চৌগাছা উপজেলায় ৪জন, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৭ জন, অভয়নগর উপজেলায় ৭ জন, মনিরামপুর উপজেলায় ১৪জন শার্শা উপজেলা ১২ জন, কেশবপুর উপজেলায় ৪জন ও ঝিকরগাছা উপজেলায় ৬জন খুন হয়েছে। এদের মধ্যে গুলি ও বোমামেরে ১৪জন, কুপিয়ে ২০জন, পিটিয়ে ২৬জন, শ্বাসরোধ করে ২০জন, আগুনে পুড়িয়ে ১জন, গলাটিপে ১জন, জবাই করে ১জন, ধর্ষনের পর হত্যা ২জন, ছুরিকাঘাতে ১২জন ও বিভিন্ন ভাবে ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব খুনের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী রয়েছে ১৬জন। ‍বিস্তার‍ি‍ত... দ‍ে‍খত‍ে পার‍ে‍ন ওয়ান ‍নিউজ 'এ http://www.1newsbd.com/index.php/crime/3325-2012-12-31-15-58-07 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।